বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ২ নং নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড নাচনাপাড়া জুগিরহুলা গ্রামে ৮ বছরের লেমুয়া কেজি স্কুলের ১ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদি হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশি মৃতঃ আহম্মেদ খানের ছেলে মোস্তফা খান (৫২) কে আসামী করে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ মোস্তফা খানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছেন।
এদিকে শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং মোস্তফা খানের বিচারের দাবিতে শিশুর সহপাঠীরা গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার লেমুয়া-কাকচিড়া সড়কে মানববন্ধন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিশু তার বাড়ীর কাছে মোস্তফা খানের নির্মাণাধীন বিল্ডিং এ অপর এক শিশুর সঙ্গে খেলতে আসে। এ সময় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সাথে থাকা অপর শিশুটি চলে গেলে আট বছরের শিশুকে একা পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনে ধর্ষণ করে মোস্তফা খান। পরবর্তীতে শিশুটিকে গোসল করাতে গিয়ে মা তার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে আতঙ্কিত হন। এক পর্যায়ে শিশুটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলেন। শিশুটির মুখ থেকে সব ঘটনা শুনে ধর্ষণের শিকার শিশুকে নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক ওই শিশুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় মজুমদার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মোস্তফা খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন ধর্ষকের দৃষ্টান্ত বিচার দাবি করে বলেন ধর্ষকের এমন বিচার করা হোক যাতে আর কোন লোক এভাবে ধর্ষণ করতে সাহস না পায়।
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪
প্রতিনিধি, পাথরঘাটা (বরগুনা)
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ২ নং নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড নাচনাপাড়া জুগিরহুলা গ্রামে ৮ বছরের লেমুয়া কেজি স্কুলের ১ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদি হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশি মৃতঃ আহম্মেদ খানের ছেলে মোস্তফা খান (৫২) কে আসামী করে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ মোস্তফা খানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছেন।
এদিকে শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং মোস্তফা খানের বিচারের দাবিতে শিশুর সহপাঠীরা গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার লেমুয়া-কাকচিড়া সড়কে মানববন্ধন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিশু তার বাড়ীর কাছে মোস্তফা খানের নির্মাণাধীন বিল্ডিং এ অপর এক শিশুর সঙ্গে খেলতে আসে। এ সময় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সাথে থাকা অপর শিশুটি চলে গেলে আট বছরের শিশুকে একা পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনে ধর্ষণ করে মোস্তফা খান। পরবর্তীতে শিশুটিকে গোসল করাতে গিয়ে মা তার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখে আতঙ্কিত হন। এক পর্যায়ে শিশুটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলেন। শিশুটির মুখ থেকে সব ঘটনা শুনে ধর্ষণের শিকার শিশুকে নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক ওই শিশুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় মজুমদার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মোস্তফা খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন ধর্ষকের দৃষ্টান্ত বিচার দাবি করে বলেন ধর্ষকের এমন বিচার করা হোক যাতে আর কোন লোক এভাবে ধর্ষণ করতে সাহস না পায়।