অবৈধ যানবাহনের দখলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক : নিত্য দুর্ঘটনায় ঝরছে প্রাণ

সারাদেশের মহাসড়কে অবৈধ (অনিবন্ধিত) তিন চাকার বাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধের জন্য সার্কুলার জারি করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু কার আইনকে মানে! দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমবঙ্গের ২১ জেলার ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক, এর মধ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দমোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের অবাধে চলছে অবৈধ যানবাহন যেমন, থ্রী হুলার, আটো রিকশা, ইজিবাইক, মাহিদ্রা,নছিমন-করিমন ও ভটভটি। এ মহাসড়কে দ্রুতগামী যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে আইনকে কোন তোয়াক্কা না করে চলছে প্রতিনিয়ত। এই অবৈধ (অনিবন্ধিত) তিন চাকার যানবাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধের জন্য যাদের উপর নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেন ঘুমিয়ে আছে! যে কারণে গোয়ালন্দমোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত মহাসড়কে দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা তার সঙ্গে বাড়ছে নিহত ও আহতদের সংখ্যা। পবিারের আয়ের প্রধানকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালন্দমোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে,শত শত অবৈধ যানবাহন যেমন, থ্রী হুলার, আটো রিকশা, ইজিবাইক, মাহিদ্রা,নছিমন-করিমন ও ভটভটি,আলম সাধু, এছাড়াও শ্যালো ইঞ্জিন ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে তৈরিকরা থ্রী হুলার এসব অবৈধ যানবাহনের যার নেই কোনো বৈধতা। তাও আবার চলছে, প্রতিনিয়ত হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়েই। আর এসকল যাবাহনের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। সরেজমিন গিয়ে আরো দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট মডেল হাই স্কুলের সামনে মহাসড়কের ট্রলারঘাট বানিয়ে নিয়মিত গরু,আনা নেওয়া করছে স্থানীয় ভাবে তৈরিকরা শতাধিক অবৈধ থ্রী হুলার। এ ছাড়া অবৈধ থ্রী হুলার, নসিমন, করিমন দিয়ে দৌলতদিয়া থেকে গোয়ালন্দমোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বালু, সিমেন্ট, কাঠ, খড়ি, পাটসহ বিভিন্ন পন্য আনা নেয়া করছে। এব্যাপারে, নছিমন, করিমন, ভটভটি ব্যবহারকারী গরু ব্যবসায়ী, বাচ্চু মোল্লা বলেন, নছিমন, করিমন, ভটভটি দিয়ে তারা গরু আনা-নেওয়া করেন, কারণ খরচ বাঁচাতে মিনি ট্রাকের বিকল্প হিসেবে এই যানবাহন ব্যবহার করে থাকেন।

আরো একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, অবৈধ থ্রী হুলার, আটো রিকশা, ইজিবাইক, নছিমন-করিমন ও ভটভটি একেবারেই অনিরাপদ ঝুঁকিপূর্ণ তবুও চলছে আইনকে অমান্য করে দেখার যেন কেই নেই। জানা যায়, এসব গাড়ি গুলো ব্রেক সিস্টেম ভালো নয়, নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন, চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং প্রশিক্ষন নেই লাইসেন্স প্রায় সময় মালপত্রসহ গাড়ি উল্টে ঘটছে নিয়মিত দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন(২২৮৪) সাধারণ সম্পাদক ‘মো.আ.রশিদ বলেন, শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যানবাহন চালকদের কোনো প্রশিক্ষন নেই। মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারন এই অবৈধ যানবাহন, নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ সকল শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি অবৈধ যানবাহন, তাও আবার চলছে হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে প্রতিনিয়ত। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন বন্ধের জোর দাবী জানান তিনি’। এছাড়া স্থানীয় বাস শ্রমিকদের অভিযোগ, পুলিশের সামনে দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করলেও এগুলো বন্ধ করার জন্য নেওয়া হচ্ছে না স্থায়ী কোনো আইনগত ব্যবস্থা।

রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ‘মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মহাসড়কে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি।

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যে সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে, দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ’।

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪

অবৈধ যানবাহনের দখলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক : নিত্য দুর্ঘটনায় ঝরছে প্রাণ

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

image

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : অবৈধ নসিমন চলছে মহাসড়কে। নীরব ভুমিকায় প্রশাসন, প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। ছবিটি গোয়ালন্দ সড়ক থেকে তোলা -সংবাদ

সারাদেশের মহাসড়কে অবৈধ (অনিবন্ধিত) তিন চাকার বাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধের জন্য সার্কুলার জারি করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু কার আইনকে মানে! দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমবঙ্গের ২১ জেলার ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক, এর মধ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দমোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের অবাধে চলছে অবৈধ যানবাহন যেমন, থ্রী হুলার, আটো রিকশা, ইজিবাইক, মাহিদ্রা,নছিমন-করিমন ও ভটভটি। এ মহাসড়কে দ্রুতগামী যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে আইনকে কোন তোয়াক্কা না করে চলছে প্রতিনিয়ত। এই অবৈধ (অনিবন্ধিত) তিন চাকার যানবাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল বন্ধের জন্য যাদের উপর নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেন ঘুমিয়ে আছে! যে কারণে গোয়ালন্দমোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত মহাসড়কে দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা তার সঙ্গে বাড়ছে নিহত ও আহতদের সংখ্যা। পবিারের আয়ের প্রধানকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালন্দমোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে,শত শত অবৈধ যানবাহন যেমন, থ্রী হুলার, আটো রিকশা, ইজিবাইক, মাহিদ্রা,নছিমন-করিমন ও ভটভটি,আলম সাধু, এছাড়াও শ্যালো ইঞ্জিন ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে তৈরিকরা থ্রী হুলার এসব অবৈধ যানবাহনের যার নেই কোনো বৈধতা। তাও আবার চলছে, প্রতিনিয়ত হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়েই। আর এসকল যাবাহনের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। সরেজমিন গিয়ে আরো দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট মডেল হাই স্কুলের সামনে মহাসড়কের ট্রলারঘাট বানিয়ে নিয়মিত গরু,আনা নেওয়া করছে স্থানীয় ভাবে তৈরিকরা শতাধিক অবৈধ থ্রী হুলার। এ ছাড়া অবৈধ থ্রী হুলার, নসিমন, করিমন দিয়ে দৌলতদিয়া থেকে গোয়ালন্দমোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বালু, সিমেন্ট, কাঠ, খড়ি, পাটসহ বিভিন্ন পন্য আনা নেয়া করছে। এব্যাপারে, নছিমন, করিমন, ভটভটি ব্যবহারকারী গরু ব্যবসায়ী, বাচ্চু মোল্লা বলেন, নছিমন, করিমন, ভটভটি দিয়ে তারা গরু আনা-নেওয়া করেন, কারণ খরচ বাঁচাতে মিনি ট্রাকের বিকল্প হিসেবে এই যানবাহন ব্যবহার করে থাকেন।

আরো একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, অবৈধ থ্রী হুলার, আটো রিকশা, ইজিবাইক, নছিমন-করিমন ও ভটভটি একেবারেই অনিরাপদ ঝুঁকিপূর্ণ তবুও চলছে আইনকে অমান্য করে দেখার যেন কেই নেই। জানা যায়, এসব গাড়ি গুলো ব্রেক সিস্টেম ভালো নয়, নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন, চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং প্রশিক্ষন নেই লাইসেন্স প্রায় সময় মালপত্রসহ গাড়ি উল্টে ঘটছে নিয়মিত দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন(২২৮৪) সাধারণ সম্পাদক ‘মো.আ.রশিদ বলেন, শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যানবাহন চালকদের কোনো প্রশিক্ষন নেই। মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারন এই অবৈধ যানবাহন, নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ সকল শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি অবৈধ যানবাহন, তাও আবার চলছে হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে প্রতিনিয়ত। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন বন্ধের জোর দাবী জানান তিনি’। এছাড়া স্থানীয় বাস শ্রমিকদের অভিযোগ, পুলিশের সামনে দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করলেও এগুলো বন্ধ করার জন্য নেওয়া হচ্ছে না স্থায়ী কোনো আইনগত ব্যবস্থা।

রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ‘মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মহাসড়কে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি।

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যে সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে, দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ’।