আ’লীগ-বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পল্লবী রণক্ষেত্র

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পল্লবী ৬ নম্বর বাজারের পশ্চিম পাশে মুকুল ফৌজ মাঠে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। অন্যদিকে সদ্য প্রয়াত নেতা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণে পল্লবী ১২ নম্বর সেকশনের ডি ব্লকের ঈদগাহ মাঠে শোকসভার আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ।

গতকাল দুপুর ২টার পর পল্লবী ৬ নম্বর মুসলিম বাজার এলাকায় ওই সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম।

তিনি বলেন, দুই দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যেতে থাকলে উত্তেজনা শুরু হয়। ‘৬ নম্বর মুসলিম বাজারের কাছ দিয়ে দুই পক্ষের মিছিল যাওয়ার সময় বিএনপির মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের মিছিলে ঢিল নিক্ষেপ করে কেউ। এতে উত্তেজনা বাড়ে এবং দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল ও দোকানপাট। রাজধানীর পল্লবীতে কাছাকাছি দূরত্বে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশকে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে দেখা যায়। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সক্রিয় হলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় যান চলাচল বিঘ্নিত হয় ও দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেন্স) উদয় কুমার মন্ডল জানান, আওয়ামী লীগের সভাটি বেলা আড়াইটার দিকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টার দিকে শেষ হয়। অন্যদিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির সমাবেশ আর হয়নি।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য-সচিব আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে সেখানে সমাবেশ করতে নেতাকর্মীদের আসতে বলেছি। নেতাকর্মীরা যখন মিছিল নিয়ে আসছিল, তখনই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিসোঁঠা নিয়ে হামলা চালায়, পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।

‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদের আমাদের এই কর্মসূচি চলছে রাজধানীর বিভিন্ন থানায়। সেখানে এই হামলার ঘটনা প্রমাণ করে, তারা ফ্যাসিস্ট কায়দায় আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রুখে দিতে চায়।’

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের থানা কমিটির পূর্বনির্ধারিত একটি সমাবেশ ছিল। কিন্তু একই জায়গায় বিএনপিও সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। পরে বিএনপি জায়গা পরিবর্তন করলেও দূরত্ব কাছাকাছি ছিল।’

কাছাকাছি উভয় দলের কর্মসূচি থাকায় সব ধরনের ঝামেলা এড়ানোর ‘নির্দেশনা’ ছিল মন্তব্য করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘কিছু অতি উৎসাহী মানুষ এসব ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে।’

পল্লবী থানার ওসি পারভেজ বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। বিএনপির কোন সমাবেশ হচ্ছে না। তারা চলে গেছে।’

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪

আ’লীগ-বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পল্লবী রণক্ষেত্র

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে গতকাল মুসলিম বাজার এলাকায় পাশাপাশি সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ হয় -সংবাদ

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পল্লবী ৬ নম্বর বাজারের পশ্চিম পাশে মুকুল ফৌজ মাঠে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। অন্যদিকে সদ্য প্রয়াত নেতা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণে পল্লবী ১২ নম্বর সেকশনের ডি ব্লকের ঈদগাহ মাঠে শোকসভার আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ।

গতকাল দুপুর ২টার পর পল্লবী ৬ নম্বর মুসলিম বাজার এলাকায় ওই সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম।

তিনি বলেন, দুই দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যেতে থাকলে উত্তেজনা শুরু হয়। ‘৬ নম্বর মুসলিম বাজারের কাছ দিয়ে দুই পক্ষের মিছিল যাওয়ার সময় বিএনপির মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের মিছিলে ঢিল নিক্ষেপ করে কেউ। এতে উত্তেজনা বাড়ে এবং দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল ও দোকানপাট। রাজধানীর পল্লবীতে কাছাকাছি দূরত্বে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশকে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে দেখা যায়। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সক্রিয় হলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় যান চলাচল বিঘ্নিত হয় ও দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেন্স) উদয় কুমার মন্ডল জানান, আওয়ামী লীগের সভাটি বেলা আড়াইটার দিকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টার দিকে শেষ হয়। অন্যদিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির সমাবেশ আর হয়নি।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য-সচিব আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে সেখানে সমাবেশ করতে নেতাকর্মীদের আসতে বলেছি। নেতাকর্মীরা যখন মিছিল নিয়ে আসছিল, তখনই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিসোঁঠা নিয়ে হামলা চালায়, পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।

‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদের আমাদের এই কর্মসূচি চলছে রাজধানীর বিভিন্ন থানায়। সেখানে এই হামলার ঘটনা প্রমাণ করে, তারা ফ্যাসিস্ট কায়দায় আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রুখে দিতে চায়।’

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের থানা কমিটির পূর্বনির্ধারিত একটি সমাবেশ ছিল। কিন্তু একই জায়গায় বিএনপিও সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। পরে বিএনপি জায়গা পরিবর্তন করলেও দূরত্ব কাছাকাছি ছিল।’

কাছাকাছি উভয় দলের কর্মসূচি থাকায় সব ধরনের ঝামেলা এড়ানোর ‘নির্দেশনা’ ছিল মন্তব্য করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘কিছু অতি উৎসাহী মানুষ এসব ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে।’

পল্লবী থানার ওসি পারভেজ বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। বিএনপির কোন সমাবেশ হচ্ছে না। তারা চলে গেছে।’