বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ১৯ জন
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ১৯ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে দেশের ৬১ জেলায় আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট হবে। গতকাল ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬১ জেলা পরিষদের মধ্যে ১৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সে হিসেবে ৩১ শতাংশ জেলা পরিষদে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী নেই। এর আগে ২০১৬ সালেও ১৯ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে এই তিন পদে নির্বাচনের জন্য ২ হাজার ৮৬০ জন মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৬২ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। সংরক্ষিত আসনে ১৯৮৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৭১৫ জন মনোনয়ন জমা দেন।
একক প্রার্থী যে ১৯ জেলায় :
একক বা একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করা জেলাগুলো হলো- গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ এবং সিলেট।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য (মেম্বার) পদে ভোট হয়। আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।
নির্দলীয় এই নির্বাচনে ৬১ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী সমর্থন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর।
এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর।
প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ (স্থানীয় সরকার) নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল।
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ১৯ জন
নিজস্ব বার্তা পরিবেশ
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ১৯ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে দেশের ৬১ জেলায় আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট হবে। গতকাল ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬১ জেলা পরিষদের মধ্যে ১৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সে হিসেবে ৩১ শতাংশ জেলা পরিষদে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী নেই। এর আগে ২০১৬ সালেও ১৯ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে এই তিন পদে নির্বাচনের জন্য ২ হাজার ৮৬০ জন মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৬২ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। সংরক্ষিত আসনে ১৯৮৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৭১৫ জন মনোনয়ন জমা দেন।
একক প্রার্থী যে ১৯ জেলায় :
একক বা একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করা জেলাগুলো হলো- গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ এবং সিলেট।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য (মেম্বার) পদে ভোট হয়। আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।
নির্দলীয় এই নির্বাচনে ৬১ জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী সমর্থন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এসব প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর।
এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর।
প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ (স্থানীয় সরকার) নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল।