কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী

নিবন্ধন করেও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়নি বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, যাদের বেশিরভাগই ছাত্রী। বাল্যবিয়ের কারণে এসব ছাত্রী ঝরে পড়েছে বলে শিক্ষা কর্মকর্তাদের ধারণা। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমদিন সারাদেশে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। যদিও মাঠ পর্যায়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র কুমিল্লা বোর্ডে প্রথমদিন ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে।

সংবাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে। এ পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করেও পরীক্ষার ফরম পূরণ না করায় ঝরে পড়েছে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার হার শহরের চাইতে গ্রামে বেশি এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগ হচ্ছে ছাত্রী। গত বছরের তুলনায় এবার ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। এদিকে এতসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরেপড়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে বেশ আলোচনা চলছে। এদিকে বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই আড়াই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষা। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২ লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে। কিন্তু এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন ফরম পূরণ করেছে। রেজিস্ট্রেশন করেও ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক। ঝরেপড়াদের হার ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ ছাত্রী এবং ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ছাত্র। আবার শহরের চেয়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেশি ঝরে পড়েছে।

রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৩৬ হাজার ৯৪৫ জন পরীক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশন করা ৮৯ হাজার ৫৮১ জন ছাত্রের মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন ৭৮ হাজার ৩৯৬ জন; ঝরে পড়েছে ১১ হাজার ১৮৫ জন। অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন করা এক লাখ ৩০ হাজার ৭০৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন এক লাখ ৪ হাজার ৯৪৭ জন; এর মধ্যে ঝরে পড়েছে ২৫ হাজার ৭৬০ জন। পরিসংখ্যান বলছে, ছেলে শিক্ষার্থীদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়ার সংখ্যা বেশি। ঝরেপড়া মেয়ে শিক্ষার্থীর হার ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ছেলে শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার হার ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।

এদিকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে ৩০ হাজার, যদিও বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী না থাকায় কমে এসেছে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়েছে। ছাত্রীদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ছাত্রদের অনেকে বিভিন্ন কাজেকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তবে কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রস্তুতি কম থাকায় তারা আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার অনেকে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রভাবসহ অর্থনৈতিক নানা সংকটে নিম্নআয়ের পরিবারের ছাত্ররা নানা পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। তবে এতসংখ্যক শিক্ষার্থীর ঝরেপড়া রোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীর পর যে বিষয়টি লক্ষণীয়, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা যাচ্ছে অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ দিয়ে কোন না কোন চাকরি খুঁজছেন। যে কারণে অনেকে রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসছে না।

প্রথম দিনেই অনুপস্থিত আড়াই সহস্রাধিক

গতকাল অনুষ্ঠিত এসএসসির বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে দুই হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এদিন এ বিষয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে এক লাখ ৮১ হাজার ৮১৩ জন। অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান জানান, অনুপস্থিতির হার এক দশমিক পাঁচ শতাংশ। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বোর্ডের অধীন ছয় জেলার ২৭৪টি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে কোন অভিযোগ আসেনি। বাকি পরীক্ষাগুলোও সুন্দরভাবে গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় প্রথম দিনে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় ৭৯ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী ৪২ জন আর ছেলে ৩৭ জন অনুপস্থিত ছিল।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র মতে, ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলার ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করে যথারীতি প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে এসএসসি (জেনারেল) ২৫৩২, দাখিল ৬৪০ ও ভোকেশনাল বিভাগে ২২৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে গেছে। আবার কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধান জানান, তারা পরীক্ষা বাদ দিয়ে গার্মেন্টস বা অন্য কর্ম করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মফিজুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় চাকরি নিয়ে চলে গেছে এবং বেশিরভাগ মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাল?্যবিয়ে হয়েছে।

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪

কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নিবন্ধন করেও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়নি বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, যাদের বেশিরভাগই ছাত্রী। বাল্যবিয়ের কারণে এসব ছাত্রী ঝরে পড়েছে বলে শিক্ষা কর্মকর্তাদের ধারণা। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমদিন সারাদেশে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। যদিও মাঠ পর্যায়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র কুমিল্লা বোর্ডে প্রথমদিন ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে।

সংবাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে। এ পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করেও পরীক্ষার ফরম পূরণ না করায় ঝরে পড়েছে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার হার শহরের চাইতে গ্রামে বেশি এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগ হচ্ছে ছাত্রী। গত বছরের তুলনায় এবার ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। এদিকে এতসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরেপড়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে বেশ আলোচনা চলছে। এদিকে বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই আড়াই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষা। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২ লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে। কিন্তু এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন ফরম পূরণ করেছে। রেজিস্ট্রেশন করেও ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক। ঝরেপড়াদের হার ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ ছাত্রী এবং ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ছাত্র। আবার শহরের চেয়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেশি ঝরে পড়েছে।

রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ৩৬ হাজার ৯৪৫ জন পরীক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশন করা ৮৯ হাজার ৫৮১ জন ছাত্রের মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন ৭৮ হাজার ৩৯৬ জন; ঝরে পড়েছে ১১ হাজার ১৮৫ জন। অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন করা এক লাখ ৩০ হাজার ৭০৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন এক লাখ ৪ হাজার ৯৪৭ জন; এর মধ্যে ঝরে পড়েছে ২৫ হাজার ৭৬০ জন। পরিসংখ্যান বলছে, ছেলে শিক্ষার্থীদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়ার সংখ্যা বেশি। ঝরেপড়া মেয়ে শিক্ষার্থীর হার ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ছেলে শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার হার ১২ দশমিক ৪ শতাংশ।

এদিকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে ৩০ হাজার, যদিও বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী না থাকায় কমে এসেছে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়েছে। ছাত্রীদের অধিকাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ছাত্রদের অনেকে বিভিন্ন কাজেকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তবে কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রস্তুতি কম থাকায় তারা আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার অনেকে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রভাবসহ অর্থনৈতিক নানা সংকটে নিম্নআয়ের পরিবারের ছাত্ররা নানা পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। তবে এতসংখ্যক শিক্ষার্থীর ঝরেপড়া রোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীর পর যে বিষয়টি লক্ষণীয়, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা যাচ্ছে অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ দিয়ে কোন না কোন চাকরি খুঁজছেন। যে কারণে অনেকে রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসছে না।

প্রথম দিনেই অনুপস্থিত আড়াই সহস্রাধিক

গতকাল অনুষ্ঠিত এসএসসির বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে দুই হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এদিন এ বিষয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে এক লাখ ৮১ হাজার ৮১৩ জন। অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান জানান, অনুপস্থিতির হার এক দশমিক পাঁচ শতাংশ। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বোর্ডের অধীন ছয় জেলার ২৭৪টি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে কোন অভিযোগ আসেনি। বাকি পরীক্ষাগুলোও সুন্দরভাবে গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় প্রথম দিনে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় ৭৯ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী ৪২ জন আর ছেলে ৩৭ জন অনুপস্থিত ছিল।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র মতে, ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলার ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করে যথারীতি প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে এসএসসি (জেনারেল) ২৫৩২, দাখিল ৬৪০ ও ভোকেশনাল বিভাগে ২২৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে গেছে। আবার কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধান জানান, তারা পরীক্ষা বাদ দিয়ে গার্মেন্টস বা অন্য কর্ম করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মফিজুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় চাকরি নিয়ে চলে গেছে এবং বেশিরভাগ মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাল?্যবিয়ে হয়েছে।