মুগদা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সংকট চরমে

রাজধানীর মুগদা ও এর আশপাশের এলাকায় গ্যাস সংকট চরমে। মুগদা, মদিনাবাগ ও মান্ডা এলাকায় দিনের বেশিরভাগ সময়ই গ্যাস থাকে না। এ বিষয়ে বার বার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

দক্ষিণ মুগদাপাড়ার বেসরকারি সংগঠন ‘শাহবুদ্দিন-আছিয়া ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান আহমেদুল কবির জাকির জানিয়েছেন, ‘রান্নাসহ আনুষঙ্গিক কাজে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছেন। আবার নিম্নবৃত্তদের দোকান, হোটেল থেকে খাবার কিনে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এ সংকট সমাধানে এলাকাবাসী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।’

জানা গেছে, মুগদায় অনেক দিন ধরেই গ্যাস সংকট। বিশেষ করে দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনিতে গত ছয় মাস ধরে গ্যাস সংকট চলছে। সকাল ৬টায় গ্যাস চলে যাওয়ার পর দিনে আর গ্যাস থাকে না। রাত ১১টার পর গ্যাস আসলেও পাইপ দিয়ে এক ঘণ্টার মতো পানি পড়ে তারপর গ্যাস পাওয়া যায়।

আহমেদুল কবির জাকির বলেন, ‘আমাদের এলাকার গ্যাস পাইপ লাইনটি ১৯৮০ সালে স্থাপন করা হয়। তখন ছিল এক ইঞ্চির পাইপ। এলাকায় তখন ১০-১২টি বাড়ি ছিল। এখন এলাকায় ৭৪টি বাড়ি এবং প্রায় ৬০০ পরিবার বসবাস করে।’

তিনি জানান, গ্যাস সংকট হলে ২০০৯ সালে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস কতর্তৃপক্ষ তিন বছর পর ২০১৩ সালে এলাকায় তিন ইঞ্চির পাইপ স্থাপন করে। কিন্তু তারা আগের এক ইঞ্চির পাইপের সঙ্গে (তিন জায়গায় টাই করে) এ লাইন সংযুক্ত করে দেয়। এতে পুরোনো এক ইঞ্চির পাইপ দিয়েই বাড়িগুলোতে গ্যাস যায়। নতুন পাইপ লাগানোর পর বেশ কয়েক বছর ভালোই চলছিল। কিন্তু বর্তমানে আগের সেই এক ইঞ্চির পাইপ লাইন প্রায়ই অকেজো হয়ে গেছে। এ কারণে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

জানা গেছে, গ্যাস সংকটের কারণে স্থানীয় লোকজনকে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকে দোকান থেকে পাউরুটি কিনে খেয়েও দিন পার করছেন। মদিনাবাগে গত ছয় মাস ধরেই এলাকায় গ্যাস সংকট চলছে।

আহমেদুল কবির বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা সকালে স্কুলে যায়; কিন্তু তাদের নাস্তাও ঠিকমতো বানানো যায় না। দুপুরে রান্না করা যায় না। রান্না করতে হয় রাতে। মহিলাদের রাত জেগে রান্না করতে হচ্ছে। আগে দেখতাম শীতকালে গ্যাস সংকট হয়, এখন দেখছি গরমকালেও গ্যাস সংকট। এভাবে কতদিন চলা যায়। এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।’

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪

মুগদা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সংকট চরমে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর মুগদা ও এর আশপাশের এলাকায় গ্যাস সংকট চরমে। মুগদা, মদিনাবাগ ও মান্ডা এলাকায় দিনের বেশিরভাগ সময়ই গ্যাস থাকে না। এ বিষয়ে বার বার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

দক্ষিণ মুগদাপাড়ার বেসরকারি সংগঠন ‘শাহবুদ্দিন-আছিয়া ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান আহমেদুল কবির জাকির জানিয়েছেন, ‘রান্নাসহ আনুষঙ্গিক কাজে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছেন। আবার নিম্নবৃত্তদের দোকান, হোটেল থেকে খাবার কিনে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এ সংকট সমাধানে এলাকাবাসী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।’

জানা গেছে, মুগদায় অনেক দিন ধরেই গ্যাস সংকট। বিশেষ করে দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনিতে গত ছয় মাস ধরে গ্যাস সংকট চলছে। সকাল ৬টায় গ্যাস চলে যাওয়ার পর দিনে আর গ্যাস থাকে না। রাত ১১টার পর গ্যাস আসলেও পাইপ দিয়ে এক ঘণ্টার মতো পানি পড়ে তারপর গ্যাস পাওয়া যায়।

আহমেদুল কবির জাকির বলেন, ‘আমাদের এলাকার গ্যাস পাইপ লাইনটি ১৯৮০ সালে স্থাপন করা হয়। তখন ছিল এক ইঞ্চির পাইপ। এলাকায় তখন ১০-১২টি বাড়ি ছিল। এখন এলাকায় ৭৪টি বাড়ি এবং প্রায় ৬০০ পরিবার বসবাস করে।’

তিনি জানান, গ্যাস সংকট হলে ২০০৯ সালে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস কতর্তৃপক্ষ তিন বছর পর ২০১৩ সালে এলাকায় তিন ইঞ্চির পাইপ স্থাপন করে। কিন্তু তারা আগের এক ইঞ্চির পাইপের সঙ্গে (তিন জায়গায় টাই করে) এ লাইন সংযুক্ত করে দেয়। এতে পুরোনো এক ইঞ্চির পাইপ দিয়েই বাড়িগুলোতে গ্যাস যায়। নতুন পাইপ লাগানোর পর বেশ কয়েক বছর ভালোই চলছিল। কিন্তু বর্তমানে আগের সেই এক ইঞ্চির পাইপ লাইন প্রায়ই অকেজো হয়ে গেছে। এ কারণে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

জানা গেছে, গ্যাস সংকটের কারণে স্থানীয় লোকজনকে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকে দোকান থেকে পাউরুটি কিনে খেয়েও দিন পার করছেন। মদিনাবাগে গত ছয় মাস ধরেই এলাকায় গ্যাস সংকট চলছে।

আহমেদুল কবির বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা সকালে স্কুলে যায়; কিন্তু তাদের নাস্তাও ঠিকমতো বানানো যায় না। দুপুরে রান্না করা যায় না। রান্না করতে হয় রাতে। মহিলাদের রাত জেগে রান্না করতে হচ্ছে। আগে দেখতাম শীতকালে গ্যাস সংকট হয়, এখন দেখছি গরমকালেও গ্যাস সংকট। এভাবে কতদিন চলা যায়। এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।’