বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দুজনই ‘আইন অনুযায়ী’ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
‘বেগম খালেদা জিয়া এবং তার অবর্তমানে তারেক রহমান বিএনপির নেতা’- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে তারা দুজনই নির্বাচনের অযোগ্য। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি। রাজনীতি না করার শর্তে যিনি মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, বিপদ দেখে এমন পলায়নপ্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়?’
‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সন্ত্রাস তারাই করে যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। জনকল্যাণে যাদের কোন ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না, তারাই সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়- বিএনপিও তাই করছে।’
‘সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত।’ আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী।’
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায় এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায়। বিএনপির সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন মতামত নেয়া হয়নি। কোন সংলাপ করা হয়নি। আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি।’
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দুজনই ‘আইন অনুযায়ী’ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
‘বেগম খালেদা জিয়া এবং তার অবর্তমানে তারেক রহমান বিএনপির নেতা’- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে তারা দুজনই নির্বাচনের অযোগ্য। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি। রাজনীতি না করার শর্তে যিনি মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, বিপদ দেখে এমন পলায়নপ্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়?’
‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সন্ত্রাস তারাই করে যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। জনকল্যাণে যাদের কোন ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না, তারাই সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়- বিএনপিও তাই করছে।’
‘সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত।’ আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী।’
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায় এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায়। বিএনপির সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন মতামত নেয়া হয়নি। কোন সংলাপ করা হয়নি। আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি।’