জীবনের দিশা খুঁজে পেলেন ৩৬ বেকার তরুণ-তরুণী

রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরাতে ‘পিসফুলি’ চেষ্টা চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এসএম কিবরিয়া। পেশায় ট্যুর গাইড। সঠিক প্রশিক্ষণ আর নির্দেশনার অভাবে আয় হচ্ছিল না তার। আর্থিক টানাপড়েনে হতাশ হয়ে পড়েন কিবরিয়া। এই সময়ে ডাক আসে অপরাধ জগতের। টাকার জন্য অপরাধের অন্ধকার গলিতে পা বাড়ানোর আগেই পেলেন নতুন দিশা। র‌্যাবের আয়োজনে যুক্ত হলেন নবজাগরণ কর্মশালায়। একজন ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করার পরে সফল না হওয়ার পেছনের ঘাটতিগুলো পেয়ে গেলেন কিবরিয়া। জানতে পারলেন সঠিক উপায়ে পর্যটকদের বিনোদন দেয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতের নানা উপায়। এবার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত নতুন জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এবার হতে চান আদর্শ একজন ট্যুর অপারেটর।

কিবরিয়ার মতো বিভিন্ন কাজে প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবন বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন হোসাইন, সাবরিনা সুমির মতো তরুণ-তরুণীরা। যারা একটা সময়ে পরিচিত ছিলেন অপরাধী পরিবারের সদস্য ও বেকার। এবার সেলাই মেশিন, ফটোগ্রাফি, সার্ফিং, হোটেল বয়, হাউজ কিপিং ও ট্যুর গাইড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।

এদিকে অপরাধ দমনে র‌্যাবের এমন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ অন্যরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা অপরাধে জড়িয়ে গেছে তারা নয়। যারা অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাদেরকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। তাদেরকে আলোর পথ দেখিয়ে যাব। এটি একটি সাহসী উদ্যোগ। আমরা চাই আমাদের সমাজের অবহেলিত মানুষগুলো সবার সহযোগিতায় গর্বিত মানুষ হয়ে উঠবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার পর আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। বিশেষ করে কক্সবাজারের মানুষ। রোহিঙ্গাদের নিচ্ছে না মায়ানমার। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। অত্যন্ত ‘পিসফুলি’ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে রোহিঙ্গা নাগরিকরা ফিরে যেতে পারেন।

‘নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল বিকেলে লংবিচ হোটেলের বলরুমে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে র‌্যাব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের জায়গা ছোট, কিন্তু মানুষ অনেক বেশি। অথচ তার ওপরে দেখেন মায়ানমার বড় রাষ্ট্র হয়েও তারা তাদের নাগরিকদের বিতাড়িত করছেন। রোহিঙ্গার ঢল যখন নামলো তখন অনেকেই বলেছিলেন আটকে দেই।

তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, বিজিবিকে তোমরা সীমান্ত থেকে সরে দাঁড়াও, ওরা আসুক ওদের আসতে দাও।

তখন প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন, তোমাদের মনে নেই, কয়েক কোটি লোক, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল জীবনটা হাতে নিয়ে। ঠিক সেই রকমই ওরা (রোহিঙ্গারা) পালিয়ে এখানে আসছে। ওরাও তোমাদের মতো। ওদের জীবন রক্ষার সুযোগটা আমরা দিতে চাই। যদিও এখন অনেক সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যাতে করে রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে পারে। খুবই ‘পিসফুলি’ চেষ্টা চলছে।

আমাদের দেশ এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসএসসি, এইচএসসি ও বিএ পাস দিয়ে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা হয় না। এদের মধ্যে হয়তো এক শ্রেণীর অংশ সিভিল সার্ভিসের অফিসার হবে, একটি অংশ হবে কেরানি আর বাকি অংশ হবে বেকার। এজন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা গেলে কীভাবে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরেকটি কথা প্রায়ই বলেন, ‘চাকরির পেছনে না দৌড়িয়ে উদ্যোক্তা হতে।’ উদ্যোক্তা হলে দেশের অর্থনৈতিক যে সম্মৃদ্ধি তা দ্রুত গতিতে হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে র‌্যাব ফোর্সেস শুধু অভিযান নয় কার্যকরী পন্থায় বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রশিক্ষণার্থীদেরকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ শেষে অনেককে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।

পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিভিন্ন উপকরণও দেয়া হবে। আমি আশা করি, এখানে যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে ভবিষ্যতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- হতে নিজেকে বিরত রাখবেন এবং অন্যদেরও বিরত রাখবেন। যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত তারা সে পথ থেকে ফিরে এসে আপনাদের দেখে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ পাবেন।

উল্লেখ্য যে, ‘অপরাধকে না বলুন’- স্লোগান ধারণ করে অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক সাম্প্রতিক স্ট্র্যাটেজির আওতায় নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

নতুন এ কর্মসূচি ‘নবজাগরণ’-এর আওতায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বা ঝুঁকিতে থাকা ৩৬ যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে র‌্যাব। তাদের মধ্যে হোটেল সার্ভিস বয় ৬ জন, সার্ফিং ৫ জন, ট্যুরিস্ট গাইড প্রশিক্ষণ ৫ জন, ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণ ৫ জন, সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ ১০ জন, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ৫ জনকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

image
আরও খবর
‘খালেদা-তারেক’ দুজনই নির্বাচনে ‘প্রার্থী হওয়ার’ অযোগ্য : কাদের
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে : ফখরুল
সাড়ে ৭ বছর পর নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার আহ্বান টিআইবির
স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নতুন আইজিপি হচ্ছেন র‌্যাব ডিজি আবদুল্লাহ আল মামুন
৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন বন্ধ ইলিশ আহরণ
শাহ মোয়াজ্জেম একের পর এক দলবদল করে রাষ্ট্রক্ষমতার কাছেই থাকতেন
ডেঙ্গু : ১৫ দিনে ৪ হাজার ৫১ জন হাসপাতালে
ভারতে কংগ্রেসে আবার ভাঙন, গোয়ার ৮ বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪

জীবনের দিশা খুঁজে পেলেন ৩৬ বেকার তরুণ-তরুণী

রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরাতে ‘পিসফুলি’ চেষ্টা চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাসুদ রানা, কক্সবাজার থেকে

image

এসএম কিবরিয়া। পেশায় ট্যুর গাইড। সঠিক প্রশিক্ষণ আর নির্দেশনার অভাবে আয় হচ্ছিল না তার। আর্থিক টানাপড়েনে হতাশ হয়ে পড়েন কিবরিয়া। এই সময়ে ডাক আসে অপরাধ জগতের। টাকার জন্য অপরাধের অন্ধকার গলিতে পা বাড়ানোর আগেই পেলেন নতুন দিশা। র‌্যাবের আয়োজনে যুক্ত হলেন নবজাগরণ কর্মশালায়। একজন ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করার পরে সফল না হওয়ার পেছনের ঘাটতিগুলো পেয়ে গেলেন কিবরিয়া। জানতে পারলেন সঠিক উপায়ে পর্যটকদের বিনোদন দেয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতের নানা উপায়। এবার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত নতুন জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এবার হতে চান আদর্শ একজন ট্যুর অপারেটর।

কিবরিয়ার মতো বিভিন্ন কাজে প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবন বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন হোসাইন, সাবরিনা সুমির মতো তরুণ-তরুণীরা। যারা একটা সময়ে পরিচিত ছিলেন অপরাধী পরিবারের সদস্য ও বেকার। এবার সেলাই মেশিন, ফটোগ্রাফি, সার্ফিং, হোটেল বয়, হাউজ কিপিং ও ট্যুর গাইড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।

এদিকে অপরাধ দমনে র‌্যাবের এমন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ অন্যরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা অপরাধে জড়িয়ে গেছে তারা নয়। যারা অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাদেরকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। তাদেরকে আলোর পথ দেখিয়ে যাব। এটি একটি সাহসী উদ্যোগ। আমরা চাই আমাদের সমাজের অবহেলিত মানুষগুলো সবার সহযোগিতায় গর্বিত মানুষ হয়ে উঠবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার পর আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। বিশেষ করে কক্সবাজারের মানুষ। রোহিঙ্গাদের নিচ্ছে না মায়ানমার। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। অত্যন্ত ‘পিসফুলি’ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে রোহিঙ্গা নাগরিকরা ফিরে যেতে পারেন।

‘নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল বিকেলে লংবিচ হোটেলের বলরুমে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে র‌্যাব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের জায়গা ছোট, কিন্তু মানুষ অনেক বেশি। অথচ তার ওপরে দেখেন মায়ানমার বড় রাষ্ট্র হয়েও তারা তাদের নাগরিকদের বিতাড়িত করছেন। রোহিঙ্গার ঢল যখন নামলো তখন অনেকেই বলেছিলেন আটকে দেই।

তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, বিজিবিকে তোমরা সীমান্ত থেকে সরে দাঁড়াও, ওরা আসুক ওদের আসতে দাও।

তখন প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন, তোমাদের মনে নেই, কয়েক কোটি লোক, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল জীবনটা হাতে নিয়ে। ঠিক সেই রকমই ওরা (রোহিঙ্গারা) পালিয়ে এখানে আসছে। ওরাও তোমাদের মতো। ওদের জীবন রক্ষার সুযোগটা আমরা দিতে চাই। যদিও এখন অনেক সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যাতে করে রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে পারে। খুবই ‘পিসফুলি’ চেষ্টা চলছে।

আমাদের দেশ এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসএসসি, এইচএসসি ও বিএ পাস দিয়ে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা হয় না। এদের মধ্যে হয়তো এক শ্রেণীর অংশ সিভিল সার্ভিসের অফিসার হবে, একটি অংশ হবে কেরানি আর বাকি অংশ হবে বেকার। এজন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা গেলে কীভাবে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরেকটি কথা প্রায়ই বলেন, ‘চাকরির পেছনে না দৌড়িয়ে উদ্যোক্তা হতে।’ উদ্যোক্তা হলে দেশের অর্থনৈতিক যে সম্মৃদ্ধি তা দ্রুত গতিতে হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে র‌্যাব ফোর্সেস শুধু অভিযান নয় কার্যকরী পন্থায় বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রশিক্ষণার্থীদেরকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ শেষে অনেককে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।

পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিভিন্ন উপকরণও দেয়া হবে। আমি আশা করি, এখানে যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে ভবিষ্যতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- হতে নিজেকে বিরত রাখবেন এবং অন্যদেরও বিরত রাখবেন। যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত তারা সে পথ থেকে ফিরে এসে আপনাদের দেখে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ পাবেন।

উল্লেখ্য যে, ‘অপরাধকে না বলুন’- স্লোগান ধারণ করে অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক সাম্প্রতিক স্ট্র্যাটেজির আওতায় নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

নতুন এ কর্মসূচি ‘নবজাগরণ’-এর আওতায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বা ঝুঁকিতে থাকা ৩৬ যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে র‌্যাব। তাদের মধ্যে হোটেল সার্ভিস বয় ৬ জন, সার্ফিং ৫ জন, ট্যুরিস্ট গাইড প্রশিক্ষণ ৫ জন, ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণ ৫ জন, সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ ১০ জন, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ৫ জনকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।