চিঠি : মুগদাপাড়ায় তীব্র গ্যাস সংকট

মুগদাপাড়ায় তীব্র গ্যাস সংকট

রাজধানীর মুগদা, মদিনাবাগ, মান্ডা এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময়ই গ্যাস থাকে না। বিশেষ করে দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনিতে গত ছয় মাস ধরে গ্যাস সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন সকাল ৬টায় গ্যাস চলে যায়, আর রাত ১১টার পরে আসে। তাও পাইপ দিয়ে এক ঘণ্টার মতো পানি পড়ে তারপর গ্যাস পাওয়া যায়।

এই এলাকায় ১৯৮০ সালে এক ইঞ্চির পাইপ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়। তখন এখানে মাত্র ১০-১২টি বাড়ি ছিল। এখন ৭৪টি বাড়িতে প্রায় ৬০০ পরিবার বসবাস করে। গ্যাস সংকট সৃষ্টি হলে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে তিন ইঞ্চির পাইপ স্থাপন করে। কিন্তু তারা ওই আগের এক ইঞ্চির পাইপের সঙ্গে (তিন জায়গায় টাই করে) এ লাইন সংযুক্ত করে দেয়। এতে পুরনো এক ইঞ্চির পাইপ দিয়েই বাড়িগুলোতে গ্যাস যায়। নতুন পাইপ লাগানোর পর বেশ কয়েক বছর ভালোই চলছিল। কিন্তু বর্তমানে আগের সেই এক ইঞ্চির পাইপ লাইন প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। এ কারণে বর্তমানে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

রান্নাসহ আনুষঙ্গিক কাজে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সংকট মোকাবেলার চেষ্টা করছেন। নিম্নবিত্তদের দোকান, হোটেল থেকে খাবার কিনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় এমনিতেই তারা আর্থিকসহ নানান সংকটে পড়েছে, গ্যাস না থাকায় এ সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। আগে দেখতাম শীতকালে গ্যাস সংকট হয়, এখন দেখছি গরমকালেও চরম গ্যাস সংকট। এ ব্যাপারে বারবার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। এদিকে তাদের কোন নজর নেই বলে মানে হয়; কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলা যায়, এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। তাই গ্যাস সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আহমেদুল কবির জাকির

মুগদাপাড়া, ঢাকা

আরও খবর

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০২ আশ্বিন ১৪২৯ ১৮ সফর ১৪৪৪

চিঠি : মুগদাপাড়ায় তীব্র গ্যাস সংকট

মুগদাপাড়ায় তীব্র গ্যাস সংকট

রাজধানীর মুগদা, মদিনাবাগ, মান্ডা এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময়ই গ্যাস থাকে না। বিশেষ করে দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনিতে গত ছয় মাস ধরে গ্যাস সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন সকাল ৬টায় গ্যাস চলে যায়, আর রাত ১১টার পরে আসে। তাও পাইপ দিয়ে এক ঘণ্টার মতো পানি পড়ে তারপর গ্যাস পাওয়া যায়।

এই এলাকায় ১৯৮০ সালে এক ইঞ্চির পাইপ দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়। তখন এখানে মাত্র ১০-১২টি বাড়ি ছিল। এখন ৭৪টি বাড়িতে প্রায় ৬০০ পরিবার বসবাস করে। গ্যাস সংকট সৃষ্টি হলে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে তিন ইঞ্চির পাইপ স্থাপন করে। কিন্তু তারা ওই আগের এক ইঞ্চির পাইপের সঙ্গে (তিন জায়গায় টাই করে) এ লাইন সংযুক্ত করে দেয়। এতে পুরনো এক ইঞ্চির পাইপ দিয়েই বাড়িগুলোতে গ্যাস যায়। নতুন পাইপ লাগানোর পর বেশ কয়েক বছর ভালোই চলছিল। কিন্তু বর্তমানে আগের সেই এক ইঞ্চির পাইপ লাইন প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। এ কারণে বর্তমানে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

রান্নাসহ আনুষঙ্গিক কাজে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। মধ্যবিত্তরা অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সংকট মোকাবেলার চেষ্টা করছেন। নিম্নবিত্তদের দোকান, হোটেল থেকে খাবার কিনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় এমনিতেই তারা আর্থিকসহ নানান সংকটে পড়েছে, গ্যাস না থাকায় এ সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। আগে দেখতাম শীতকালে গ্যাস সংকট হয়, এখন দেখছি গরমকালেও চরম গ্যাস সংকট। এ ব্যাপারে বারবার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। এদিকে তাদের কোন নজর নেই বলে মানে হয়; কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলা যায়, এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। তাই গ্যাস সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আহমেদুল কবির জাকির

মুগদাপাড়া, ঢাকা