ভারতে পোশাক রপ্তানি বেড়ে দ্বিগুণ

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকপণ্য রপ্তানিতে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও পোশাক রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেশভিত্তিক রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এই দুই মাসে ভারতে প্রায় ১৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এটি প্রায় দ্বিগুণ।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ভারতে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিলেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। সেই হিসাবে ভারতে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশ ৩৪৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে জার্মানিতে রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, স্পেন এবং ফ্রান্সে রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৫২ ও ৩৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক পণ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ। যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ৬৪ ও ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে চীন ও রাশিয়ায় পোশাক রপ্তানি কমেছে। চীন ও রাশিয়ায় যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ ও ৫৮ দশমিক ২৯ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।

গত দুই অর্থবছরে সব দেশেই বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেশ বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতে। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছিল ৭২ কোটি ডলার (ওভেন ৪০ কোটি ও নিট ৩১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার)।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানি থেকে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার ডলার, প্লাস্টিকদ্রব্য থেকে ৩ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং কটন ও কটন প্রোডাক্টস থেকে ৪ কোটি ডলারের মতো আয় হয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে মাত্র তিনটি অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি হয়েছে, তাও সেটা গত তিন বছরে। তার আগের বছরগুলোয় ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ১৯ সফর ১৪৪৪

ভারতে পোশাক রপ্তানি বেড়ে দ্বিগুণ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকপণ্য রপ্তানিতে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও পোশাক রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেশভিত্তিক রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এই দুই মাসে ভারতে প্রায় ১৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এটি প্রায় দ্বিগুণ।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ভারতে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিলেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। সেই হিসাবে ভারতে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশ ৩৪৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে জার্মানিতে রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, স্পেন এবং ফ্রান্সে রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৫২ ও ৩৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক পণ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ। যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ৬৪ ও ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে চীন ও রাশিয়ায় পোশাক রপ্তানি কমেছে। চীন ও রাশিয়ায় যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ ও ৫৮ দশমিক ২৯ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।

গত দুই অর্থবছরে সব দেশেই বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেশ বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতে। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছিল ৭২ কোটি ডলার (ওভেন ৪০ কোটি ও নিট ৩১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার)।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানি থেকে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার ডলার, প্লাস্টিকদ্রব্য থেকে ৩ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং কটন ও কটন প্রোডাক্টস থেকে ৪ কোটি ডলারের মতো আয় হয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে মাত্র তিনটি অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি হয়েছে, তাও সেটা গত তিন বছরে। তার আগের বছরগুলোয় ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে।