মনোনয়ন জমার শেষ দিনে জেলায় জেলায় উৎসবের আমেজ

কিশোরগঞ্জ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে জেলা পরিষদের তিন পদে গত বৃহস্পতিবার শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭০ জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৯ জন, আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে সংরক্ষিত এলাকা-২ এর বিপরীতে একমাত্র প্রার্থী ইয়াছমীন আক্তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর সারা দেশেই জেলা পরিষদের নির্বাচন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন রেনু, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট হামিদুল আলম চৌধুরী নিউটন, যুবলীগ নেতা আশিক জামান এলিন, তাড়াইলের আওয়ামী লীগ কর্মি মো. আজিজুল হক ও শহরের ব্যবসায়ী মো. সেলিম। ১৩টি সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪৯ জন। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৫টি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৫ জন। এদের মধ্যে সংরক্ষিত এলাকা নং-২ এ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন একমাত্র প্রার্থী ইয়াছমীন আক্তার। মনোয়নপত্র বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর। ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানিয়েছেন, এবার জেলা পরিষদের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৫৫০ জন। ভোট দেবেন ৮টি পৌরসভার মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ, ১৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইসচেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান, আর ১০৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বার এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারগণ। নির্বাচনে ১৩টি কেন্দ্র এবং ২৬টি বুথ বা কক্ষ থাকবে। এবার চেয়ারম্যান পদে জামাতন নেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে। আর সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে জমানাত নেয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা করে। এই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম।

মানিকগঞ্জ

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন দুইজন, সরক্ষিত নারী সদন্য পদে ১৪জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৩ জন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম বজলুল হক।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার ছিলো জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম বজলুল হক।

এছাড়া সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) ৪জন , ২ নং ওয়ার্ডে (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬ জন ও ৩ নং ওয়ার্ডে (সিংগাইর ও হরিরামপুর) সরক্ষিত সদস্য পদে ৪ জন নারী প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। দৌলতপুর উপজেলা ১ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪ জন, ঘিওর উপজেলা ২ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৩জন, শিবালয় উপজেলা ৩ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২জন, সাটুরিয়া উপজেলা ৪নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৩জন , মানিকগগঞ্জ সদর উপজেলা ৫নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২ জন, হরিরামপুর উপজেলা ৬নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪ জন ও সিংগাইর উপজেলা ৭ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক এবং সদস্য পদে মধুপুর আসনে শফি উদ্দিন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে ওই দুই পদে একক প্রার্থী হলেও তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলার সুযোগ নেই। প্রত্যাহার ও যাচাই-বাছাই শেষে একক প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরও জানান, ১২টি সাধারণ সদস্য পদের মধ্যে ১১টি ও চারটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের বিপরীতে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর খান মেনু ও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ মজিদ সুমন। এরমধ্যে ফজলুর রহমান খান ফারুক আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। পরে আলমগীর খান মেনু দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে দিনভর বৈঠক শেষে আহমদ মজিদ সুমন মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পরে তিনি মায়ের হাত দিয়ে মনোনয়নপত্রটি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের হাতে তুলে দেন।

নড়াইল

প্রতিনিধি, নড়াইল

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন দলীয় দুই প্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার শেষ দিনে তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। অপর দুই প্রার্থী হলেন-লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু এবং জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক আ’লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ বিপ্লব। এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ১১ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তার মধ্যে দলীয় প্রার্থীর বাইরে দু’জন বিদ্রোহী হলেন। তবে নির্বাচনে অন্য রাজনৈতিক দলের কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

এদিকে জেলা পরিষদ সদস্য পদে সংরক্ষিত-১ আসনে চারজন ও সংরক্ষিত-২ আসনে তিনজন এবং সাধারণ-১ আসনে ও ২ আসনে পাঁচজন করে, আর সাধারণ-৩ আসনে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে দলীয় নেতাদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সহ-সভাপতি নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা পরিষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, কালিয়া পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, নড়াইল পৌর আ’লীগের সভাপতি মলয় কুন্ডুসহ নেতাকর্মীরা।

আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি বিজয়ী হবো। বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। ইনশাল্লাহ বিজয়ী হবো। অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, নড়াইলের দুই এমপি মহোদয়সহ দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের চেষ্টা করব। যদি তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন, তাহলে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ১৯ সফর ১৪৪৪

মনোনয়ন জমার শেষ দিনে জেলায় জেলায় উৎসবের আমেজ

image

কিশোরগঞ্জ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে জেলা পরিষদের তিন পদে গত বৃহস্পতিবার শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৭০ জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৯ জন, আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে সংরক্ষিত এলাকা-২ এর বিপরীতে একমাত্র প্রার্থী ইয়াছমীন আক্তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর সারা দেশেই জেলা পরিষদের নির্বাচন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন রেনু, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট হামিদুল আলম চৌধুরী নিউটন, যুবলীগ নেতা আশিক জামান এলিন, তাড়াইলের আওয়ামী লীগ কর্মি মো. আজিজুল হক ও শহরের ব্যবসায়ী মো. সেলিম। ১৩টি সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪৯ জন। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৫টি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৫ জন। এদের মধ্যে সংরক্ষিত এলাকা নং-২ এ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন একমাত্র প্রার্থী ইয়াছমীন আক্তার। মনোয়নপত্র বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর। ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানিয়েছেন, এবার জেলা পরিষদের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৫৫০ জন। ভোট দেবেন ৮টি পৌরসভার মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ, ১৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইসচেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান, আর ১০৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বার এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারগণ। নির্বাচনে ১৩টি কেন্দ্র এবং ২৬টি বুথ বা কক্ষ থাকবে। এবার চেয়ারম্যান পদে জামাতন নেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা করে। আর সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে জমানাত নেয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা করে। এই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম।

মানিকগঞ্জ

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন দুইজন, সরক্ষিত নারী সদন্য পদে ১৪জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৩ জন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম বজলুল হক।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার ছিলো জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মহীউদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম বজলুল হক।

এছাড়া সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) ৪জন , ২ নং ওয়ার্ডে (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬ জন ও ৩ নং ওয়ার্ডে (সিংগাইর ও হরিরামপুর) সরক্ষিত সদস্য পদে ৪ জন নারী প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। দৌলতপুর উপজেলা ১ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪ জন, ঘিওর উপজেলা ২ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৩জন, শিবালয় উপজেলা ৩ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২জন, সাটুরিয়া উপজেলা ৪নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৩জন , মানিকগগঞ্জ সদর উপজেলা ৫নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২ জন, হরিরামপুর উপজেলা ৬নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪ জন ও সিংগাইর উপজেলা ৭ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক এবং সদস্য পদে মধুপুর আসনে শফি উদ্দিন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে ওই দুই পদে একক প্রার্থী হলেও তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলার সুযোগ নেই। প্রত্যাহার ও যাচাই-বাছাই শেষে একক প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরও জানান, ১২টি সাধারণ সদস্য পদের মধ্যে ১১টি ও চারটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের বিপরীতে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর খান মেনু ও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ মজিদ সুমন। এরমধ্যে ফজলুর রহমান খান ফারুক আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। পরে আলমগীর খান মেনু দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে দিনভর বৈঠক শেষে আহমদ মজিদ সুমন মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পরে তিনি মায়ের হাত দিয়ে মনোনয়নপত্রটি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের হাতে তুলে দেন।

নড়াইল

প্রতিনিধি, নড়াইল

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন দলীয় দুই প্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার শেষ দিনে তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। অপর দুই প্রার্থী হলেন-লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু এবং জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক আ’লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ বিপ্লব। এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ১১ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তার মধ্যে দলীয় প্রার্থীর বাইরে দু’জন বিদ্রোহী হলেন। তবে নির্বাচনে অন্য রাজনৈতিক দলের কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

এদিকে জেলা পরিষদ সদস্য পদে সংরক্ষিত-১ আসনে চারজন ও সংরক্ষিত-২ আসনে তিনজন এবং সাধারণ-১ আসনে ও ২ আসনে পাঁচজন করে, আর সাধারণ-৩ আসনে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছে দলীয় নেতাদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সহ-সভাপতি নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা পরিষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, কালিয়া পৌর মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, নড়াইল পৌর আ’লীগের সভাপতি মলয় কুন্ডুসহ নেতাকর্মীরা।

আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি বিজয়ী হবো। বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। ইনশাল্লাহ বিজয়ী হবো। অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, নড়াইলের দুই এমপি মহোদয়সহ দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের চেষ্টা করব। যদি তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন, তাহলে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।