ফের বাড়লো ডিমের দাম?

তিন দিনের ব্যবধানে সবজিতেও বেড়েছে

ভ্যানে করে রাজধানীর মহাখালী স্কুল রোড ও তার আশপাশের এলাকায় খুচরা দোকানে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার প্যারাগন কোম্পানির ডিম বিক্রি করেন শিমুল ইসলাম। সকালে খুচরা দোকানে দোকানে ডিম দিয়ে যান আর দিন শেষে এসব দোকান থেকে বিক্রিত ডিমের টাকা উঠানো শুরু করেন। পাঁচ হাত ঘুরে ডিম পান ক্রেতারা। শিমুল চতুর্থ হাত (খুচরা পাইকার)। প্রথম হাত ফার্মের মালিক, দ্বিতীয় পাইকার, তৃতীয় আড়তদার আর পঞ্চম খুচরা বিক্রেতা/দোকান।

গতকাল সকাল ১০টায় মহাখালী স্কুল রোডেই বিভিন্ন দোকানে ডিম সরবরাহর সময় কথা হয় শিমুল ইসলামের সঙ্গে। ডিম কি হিসেবে, কত করে বিক্রি করছেন আর কিনতে কত পড়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে শিমুল বলেন, ‘আমরা শ, ভাও (১০০ ডিম) ১১২০ টাকায় বিক্রি করছি। আড়তদার থেকে কিনেছি শ, ভাও (১০০ ডিম) ১১০০ টাকায়।’

আবার ডিমের দাম বাড়লো কেন, কারা বাড়ালো? এমন প্রশ্নের উত্তরে শিমুল বলেন, কোম্পানির লোকেরা আর যাদের এর আগে ফাইন করেছে তাই তারা উসুল করার জন্য সবাই মিলে ডিমের দাম বাড়াইছে।’

ডিমের দাম ও বেঁচা-বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে মহাখালীর খুচরা ডিম বিক্রেতা আবু আহম্মেদ বলেন, হঠাৎ ডিমে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কিছুটা কমেছে। আগে যিনি ১ ডজন ডিম কিনতেন এখন তিনি ১ হালি কিনছেন। এভাবে দাম বাড়লে মানুষ কিনবে কিভাবে? তিনদিন আগেও তো ১ ডজন ডিম আমরাই বিক্রি করেছি ১২০ টাকায়, সেই ডিমই এখন বিক্রি করছি ১৫০ টাকায়। আমরা যেদিন যে দামে কিনি সেদিন সে দামে বিক্রি করি।

এ সময় খুচরা বিক্রেতা আবু আহম্মেদের দোকানে ডিম কিনতে আসা বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করা সাহজাহান মিয়া বলেন, আগে মাঝেমধ্যে মাছ-মাংস কিনতাম। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পর থেকে মাছ-মাংস কেনার সামর্থ্যই হারিয়ে ফেলেছি। এখন ডিমটাই মাঝে মধ্যে কিনে খাই। সেই ডিমের দামটা আবারও বাড়লো! ম্যাজাজটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আয় তো বাড়লো না, ব্যয়টা বেড়েই যাচ্ছে। বাঁচার পথ দেখছি না।’

গতকাল সরেজমিন বাজার পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে কথা হয় নিম্নআয়ের লোকজন ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। বাজারে পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে অসহায়ত্বের কথা জানান তারা।

মহাখালী কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির ১ ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা আর ফার্মের মুরগির ১ ডজন সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

ডিমের পাশাপাশি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। আর সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।

এদিকে তিন দিনের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম। কোন কোন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে জাত ও মান ভেদে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, করোলা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, কাকরোল-ঢেঁড়স ৫০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা টমেটো ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা বাজারে ফের কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে আগের দামেই পেপে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫ টাকায়।

হঠাৎ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শ্যামলী কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. স্বপন মিয়া জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজরে আসা বিক্রেতাদের থেকে কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট করে সব সবজি কিনে কেজিপ্রতি ২০ টাকা লাভ করছে।

তবে বাড়ন্ত বাজারে কিছুটা কমেছে ইলিশ মাছের দাম। আগে ১ কেজি ওজনের যে ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হতো ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা সে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। ১২০০ গ্রাম থেকে থেকে দেড় কেজির ওপর ওজনের যে ইলিশ বিক্রি হতো প্রতিকেজি ২০০০ থেকে ২২০০ সে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায়।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকার মেসার্স তুহিন পোল্ট্রির মালিক সাকিউল আলম তুহিন বলেন, ‘আমরা এখন একটু দাম পাচ্ছি। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দর চলছে। এই দর অন্যান্য সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশিই। কারণ মুরগির বাচ্চার দাম বেশি, ফিডের দাম অনেক বেড়েছে। ওষুধ, তুষের দাম বাড়তি। খামারের অন্যান্য খাবারের দামও বেড়েছে।’

সৈয়দপুরের ফারিশা পোল্ট্রির তত্ত্বাবধায়ক মো. নোয়াব মিয়া বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেড়েছে, একই সঙ্গে খামারের ব্যয়ও বেড়েছে। গরমকালে খামারে বহু বাচ্চা মারা যায়, একদিন বয়সী বাচ্চার দামও বেশি পড়ে। একই কারণে ডিমের উৎপাদন কমে যায়, যে কারণে বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম এখন কিছুটা বেশি।’

রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা ও একটি বীমা কোম্পানির কর্মী মো. জামাল হোসাইন বলেন, ‘বাজারে গেলে দেখি সবকিছুর দামই আকাশচুম্বী, যা কিনতে যাই তাতেই নতুন বাড়তি দাম। হিসাব করেও কুলানো যাচ্ছে না। প্রয়োজনের চেয়েও কম কিনে ঘরে ফিরতে হয়। এভাবে আর সম্ভব হচ্ছে না।’

ডিম ও মুরগি ছাড়াও বাড়তে শুরু করেছে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের দাম। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, দুই থেকে তিন মাস আগে পাঙ্গাস মাছ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হলেও সেগুলো এখন কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে।

অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছ কয়েক মাস আগে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

রামপুরা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদুল হুদা জানান, কম আয়ের মানুষজন হয় পাঙ্গাস, না হয় তেলাপিয়া কেনে। এগুলোর দাম বাড়ায় এখন বিক্রিও কিছুটা কমেছে।

অন্য মাছের মধ্যে রুই ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাতল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, টেংরা ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ১৯ সফর ১৪৪৪

ফের বাড়লো ডিমের দাম?

তিন দিনের ব্যবধানে সবজিতেও বেড়েছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

ভ্যানে করে রাজধানীর মহাখালী স্কুল রোড ও তার আশপাশের এলাকায় খুচরা দোকানে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার প্যারাগন কোম্পানির ডিম বিক্রি করেন শিমুল ইসলাম। সকালে খুচরা দোকানে দোকানে ডিম দিয়ে যান আর দিন শেষে এসব দোকান থেকে বিক্রিত ডিমের টাকা উঠানো শুরু করেন। পাঁচ হাত ঘুরে ডিম পান ক্রেতারা। শিমুল চতুর্থ হাত (খুচরা পাইকার)। প্রথম হাত ফার্মের মালিক, দ্বিতীয় পাইকার, তৃতীয় আড়তদার আর পঞ্চম খুচরা বিক্রেতা/দোকান।

গতকাল সকাল ১০টায় মহাখালী স্কুল রোডেই বিভিন্ন দোকানে ডিম সরবরাহর সময় কথা হয় শিমুল ইসলামের সঙ্গে। ডিম কি হিসেবে, কত করে বিক্রি করছেন আর কিনতে কত পড়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে শিমুল বলেন, ‘আমরা শ, ভাও (১০০ ডিম) ১১২০ টাকায় বিক্রি করছি। আড়তদার থেকে কিনেছি শ, ভাও (১০০ ডিম) ১১০০ টাকায়।’

আবার ডিমের দাম বাড়লো কেন, কারা বাড়ালো? এমন প্রশ্নের উত্তরে শিমুল বলেন, কোম্পানির লোকেরা আর যাদের এর আগে ফাইন করেছে তাই তারা উসুল করার জন্য সবাই মিলে ডিমের দাম বাড়াইছে।’

ডিমের দাম ও বেঁচা-বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে মহাখালীর খুচরা ডিম বিক্রেতা আবু আহম্মেদ বলেন, হঠাৎ ডিমে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কিছুটা কমেছে। আগে যিনি ১ ডজন ডিম কিনতেন এখন তিনি ১ হালি কিনছেন। এভাবে দাম বাড়লে মানুষ কিনবে কিভাবে? তিনদিন আগেও তো ১ ডজন ডিম আমরাই বিক্রি করেছি ১২০ টাকায়, সেই ডিমই এখন বিক্রি করছি ১৫০ টাকায়। আমরা যেদিন যে দামে কিনি সেদিন সে দামে বিক্রি করি।

এ সময় খুচরা বিক্রেতা আবু আহম্মেদের দোকানে ডিম কিনতে আসা বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করা সাহজাহান মিয়া বলেন, আগে মাঝেমধ্যে মাছ-মাংস কিনতাম। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পর থেকে মাছ-মাংস কেনার সামর্থ্যই হারিয়ে ফেলেছি। এখন ডিমটাই মাঝে মধ্যে কিনে খাই। সেই ডিমের দামটা আবারও বাড়লো! ম্যাজাজটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আয় তো বাড়লো না, ব্যয়টা বেড়েই যাচ্ছে। বাঁচার পথ দেখছি না।’

গতকাল সরেজমিন বাজার পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে কথা হয় নিম্নআয়ের লোকজন ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। বাজারে পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে অসহায়ত্বের কথা জানান তারা।

মহাখালী কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির ১ ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা আর ফার্মের মুরগির ১ ডজন সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

ডিমের পাশাপাশি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। আর সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।

এদিকে তিন দিনের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম। কোন কোন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে জাত ও মান ভেদে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, করোলা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, কাকরোল-ঢেঁড়স ৫০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা টমেটো ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা বাজারে ফের কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে আগের দামেই পেপে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫ টাকায়।

হঠাৎ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শ্যামলী কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. স্বপন মিয়া জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজরে আসা বিক্রেতাদের থেকে কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট করে সব সবজি কিনে কেজিপ্রতি ২০ টাকা লাভ করছে।

তবে বাড়ন্ত বাজারে কিছুটা কমেছে ইলিশ মাছের দাম। আগে ১ কেজি ওজনের যে ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হতো ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা সে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। ১২০০ গ্রাম থেকে থেকে দেড় কেজির ওপর ওজনের যে ইলিশ বিক্রি হতো প্রতিকেজি ২০০০ থেকে ২২০০ সে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায়।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকার মেসার্স তুহিন পোল্ট্রির মালিক সাকিউল আলম তুহিন বলেন, ‘আমরা এখন একটু দাম পাচ্ছি। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দর চলছে। এই দর অন্যান্য সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশিই। কারণ মুরগির বাচ্চার দাম বেশি, ফিডের দাম অনেক বেড়েছে। ওষুধ, তুষের দাম বাড়তি। খামারের অন্যান্য খাবারের দামও বেড়েছে।’

সৈয়দপুরের ফারিশা পোল্ট্রির তত্ত্বাবধায়ক মো. নোয়াব মিয়া বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেড়েছে, একই সঙ্গে খামারের ব্যয়ও বেড়েছে। গরমকালে খামারে বহু বাচ্চা মারা যায়, একদিন বয়সী বাচ্চার দামও বেশি পড়ে। একই কারণে ডিমের উৎপাদন কমে যায়, যে কারণে বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম এখন কিছুটা বেশি।’

রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা ও একটি বীমা কোম্পানির কর্মী মো. জামাল হোসাইন বলেন, ‘বাজারে গেলে দেখি সবকিছুর দামই আকাশচুম্বী, যা কিনতে যাই তাতেই নতুন বাড়তি দাম। হিসাব করেও কুলানো যাচ্ছে না। প্রয়োজনের চেয়েও কম কিনে ঘরে ফিরতে হয়। এভাবে আর সম্ভব হচ্ছে না।’

ডিম ও মুরগি ছাড়াও বাড়তে শুরু করেছে পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের দাম। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, দুই থেকে তিন মাস আগে পাঙ্গাস মাছ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হলেও সেগুলো এখন কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে।

অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছ কয়েক মাস আগে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

রামপুরা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী ফরিদুল হুদা জানান, কম আয়ের মানুষজন হয় পাঙ্গাস, না হয় তেলাপিয়া কেনে। এগুলোর দাম বাড়ায় এখন বিক্রিও কিছুটা কমেছে।

অন্য মাছের মধ্যে রুই ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাতল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, টেংরা ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।