মায়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণ আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মায়ানমার অভ্যন্তরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরিত হয়ে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামে এক বাংলাদেশি তরুণ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু হেডম্যানপাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলার সংলগ্নে মায়ানমারের অভ্যন্তরে মাইনটি বিস্ফোরিত হয়। আহত তরুণ ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু হেডম্যানপাড়া এলাকার অং কিউ থাইং তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে। এদিকে এ ঘটনার পর সীমান্তের লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মায়ানমার সীমান্তে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বিজিপির মধ্যে লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় আরিফ উল্লাহ জানান, তুমব্রু হেডম্যানপাড়ার স্থানীয়দের গবাদিপশু ঘাস খেতে খেতে মাঝে মধ্যে সীমান্তের ওপারে চলে যায়। ফলে সেগুলো ফিরিয়ে আনতে মালিকদের সীমান্ত এলাকায় যেতে হয়। গতকালও অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা তার গরু চরা?নোর সময় সীমান্তের ওপারে চলে গেলে সেটি ফিরিয়ে আনতে যান। সেখানে মায়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরিত হয়ে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যার পা গোড়ালিসহ পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।

আহতের মা ইয়াং মে চাকমা বলেন, শুক্রবার দুপুরে গরু আনতে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যাসহ কয়েকজন যুবক সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে যায়। তখন হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় তার ছেলে। পরে তাকে দ্রুত কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মায়ানমার মাইন পুঁতে রেখেছে। সেই মাইন বিস্ফোরণে তার ছেলে আহত হয়েছে। তার ছেলের বাম পায়ের নিচের অংশ উড়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সীমান্তের ওপার থেকে গরু আনতে গিয়ে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে তমব্রু হেডম্যানপাড়ার একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মায়ানমারের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে প্রতিবছর এ ধরনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমাপাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় আকস্মিক বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মায়ানমার ভূখ-ের মধ্যে এক যুবককে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। ওই যুবকের একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলাসদর হাসপাতালে পাঠান।

কক্সবাজার জেলাসদর হাসপাতালের পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. রিপন চৌধুরী বলেন, বিকেলে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত এক পাহাড়ি যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠান। তার বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জানতে চাইলে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সোহাগ রানা বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে পারব না। কারণ এটি সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয় এ বিষয়ে কিছু জানার থাকলে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি। নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, আমি জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এক যুবক আহত হওয়ার ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। এ ঘটনার পর বিজিবি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়দের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্তের ওপা?রে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল থে?কে নতুন ক?রে শুরু হওয়া গোলাগু?লি এখনও থামেনি। গতকাল সকাল থেকেই সারাদিন ওই এলাকায় গুলির শব্দ শুন?তে পা?চ্ছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়?নের সীমান্ত পিলার ৩৬-এর বিপরীতে আনুমানিক তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পূ?র্বে মায়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির সঙ্গে মায়ানমারের বিজিপির? সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কার?ণে প্রতি?দিনই গোলাগু?লি এবং মর্টার শেল বি?স্ফোর?ণের শব্দ শোনা গেছে।

ত?বে সীমা?ন্তের এপা?রে বাড়?তি সতর্কতা ও গো?য়েন্দা নজরদারি বৃ?দ্ধির কথা জানা?লেন বান্দরবানের পু?লিশ সুপার (এসপি) মো. তা?রিকুল ইসলাম তা?রিক। তি?নি ব?লেন, ‘সীমান্তে সার্বক্ষ?ণিক পু?লিশ এবং গো?য়েন্দা নজরদারি?তে রয়েছে। এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় তারা কাজ কর?ছে। এদিকে, ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে সীমান্তঘেঁষা মায়ানমার ভূখ-ে গোলাগুলি হয়। সেখান থেকে ছোড়া একটি গুলি তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মায়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মায়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ১৯ সফর ১৪৪৪

মায়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণ আহত

বান্দরবান প্রতিনিধি

image

পা উড়ে যাওয়া যুবক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মায়ানমার অভ্যন্তরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরিত হয়ে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামে এক বাংলাদেশি তরুণ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু হেডম্যানপাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলার সংলগ্নে মায়ানমারের অভ্যন্তরে মাইনটি বিস্ফোরিত হয়। আহত তরুণ ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু হেডম্যানপাড়া এলাকার অং কিউ থাইং তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে। এদিকে এ ঘটনার পর সীমান্তের লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মায়ানমার সীমান্তে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বিজিপির মধ্যে লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় আরিফ উল্লাহ জানান, তুমব্রু হেডম্যানপাড়ার স্থানীয়দের গবাদিপশু ঘাস খেতে খেতে মাঝে মধ্যে সীমান্তের ওপারে চলে যায়। ফলে সেগুলো ফিরিয়ে আনতে মালিকদের সীমান্ত এলাকায় যেতে হয়। গতকালও অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা তার গরু চরা?নোর সময় সীমান্তের ওপারে চলে গেলে সেটি ফিরিয়ে আনতে যান। সেখানে মায়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরিত হয়ে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যার পা গোড়ালিসহ পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।

আহতের মা ইয়াং মে চাকমা বলেন, শুক্রবার দুপুরে গরু আনতে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যাসহ কয়েকজন যুবক সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে যায়। তখন হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় তার ছেলে। পরে তাকে দ্রুত কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মায়ানমার মাইন পুঁতে রেখেছে। সেই মাইন বিস্ফোরণে তার ছেলে আহত হয়েছে। তার ছেলের বাম পায়ের নিচের অংশ উড়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সীমান্তের ওপার থেকে গরু আনতে গিয়ে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে তমব্রু হেডম্যানপাড়ার একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মায়ানমারের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে প্রতিবছর এ ধরনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমাপাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় আকস্মিক বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মায়ানমার ভূখ-ের মধ্যে এক যুবককে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। ওই যুবকের একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলাসদর হাসপাতালে পাঠান।

কক্সবাজার জেলাসদর হাসপাতালের পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. রিপন চৌধুরী বলেন, বিকেলে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত এক পাহাড়ি যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠান। তার বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জানতে চাইলে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সোহাগ রানা বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে পারব না। কারণ এটি সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয় এ বিষয়ে কিছু জানার থাকলে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি। নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, আমি জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এক যুবক আহত হওয়ার ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। এ ঘটনার পর বিজিবি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়দের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এর আগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্তের ওপা?রে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল থে?কে নতুন ক?রে শুরু হওয়া গোলাগু?লি এখনও থামেনি। গতকাল সকাল থেকেই সারাদিন ওই এলাকায় গুলির শব্দ শুন?তে পা?চ্ছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়?নের সীমান্ত পিলার ৩৬-এর বিপরীতে আনুমানিক তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পূ?র্বে মায়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির সঙ্গে মায়ানমারের বিজিপির? সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কার?ণে প্রতি?দিনই গোলাগু?লি এবং মর্টার শেল বি?স্ফোর?ণের শব্দ শোনা গেছে।

ত?বে সীমা?ন্তের এপা?রে বাড়?তি সতর্কতা ও গো?য়েন্দা নজরদারি বৃ?দ্ধির কথা জানা?লেন বান্দরবানের পু?লিশ সুপার (এসপি) মো. তা?রিকুল ইসলাম তা?রিক। তি?নি ব?লেন, ‘সীমান্তে সার্বক্ষ?ণিক পু?লিশ এবং গো?য়েন্দা নজরদারি?তে রয়েছে। এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় তারা কাজ কর?ছে। এদিকে, ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে সীমান্তঘেঁষা মায়ানমার ভূখ-ে গোলাগুলি হয়। সেখান থেকে ছোড়া একটি গুলি তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মায়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মায়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।