জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও জেলা জাপার সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনায় জাপার দুর্গ বলে পরিচিত রংপুরে আবারও জাপার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। আপাত দৃষ্টিতে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের জয় হলেও আগামী দিনের রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
দল থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর রাঙ্গা জিএম কাদেরকে দেখে নেয়া এবং রংপুরে রাজনীতি কিভাবে করেন তিনি এ কথা বলার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই রাঙ্গা ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে কথাগুলো রাগ করে বলেছিলেন এবং তার সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া না দেখানোর নির্দেশ দেয়াসহ তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলেন। তবে সবকিছুর মূলে আগামী সংসদ নির্বাচনে রওশন এরশাদের ভূমিকা, তার ছেলে সাদ এরশাদের অবস্থান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানা কথা এখন দলের নেতাকর্মীদের মুখে মুখে।
রওশন এরশাদের পক্ষে নেই নেতাকর্মীরা সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের পক্ষে রংপুরে এক শতাংশ নেতাকর্মীও নেই। এমনকি তার স্বামী প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের পৈতৃক নিবাস রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় অবস্থিত স্কাই ভিউ বাসার এরশাদের একমাত্র ভাতিজা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি আসিফ শাহারিয়ারসহ কেউই তার পক্ষে নেই। এরশাদ মারা যাওয়ার পর তার ছেলে সাদ এরশাদকে অনেকটা জোর করেই এরশাদের নিজ আসন রংপুর সদর-৩ আসনে উপনির্বাচনে দলের মনোনয়ন দিয়েছিলেন রওশন এরশাদ। সেই সময় জিএম কাদের রাজি না থাকলেও ‘মেনে’ নিয়েছিলেন। তাছাড়া সাদ এরশাদ প্রয়াত এরশাদ থাকাকালে তাকে রংপুরের মানুষ কোনদিন দেখেওনি বলে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে উপনির্বাচনে সাদ এরশাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থী না দেয়ায় তিনি জয়ী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর সাদ এরশাদ কালেভদ্রে আসেন, এ নিয়ে ওই নির্বাচনী এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ।
যে কারণে জিএম কাদের ক্ষুব্ধ
জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের লালমনিরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য। তিনি আগামী নির্বাচনে ওই আসনে (লালমনিরহাট) তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরকে মনোনয়ন দিয়ে এমপি বানাতে চান। তিনি (জিএম কাদের) রংপুর সদর আসনে নির্বাচন করতে চান। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি এ ঘোষণা দিয়ে এসেছেন। যেখানে এখন রওশন এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ এমপি। ফলে সাদ এরশাদ জিএম কাদেরের ওপর ক্ষুব্ধ, কারণ তার আসনে জিএম কাদের নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে রাঙ্গা একদিকে যেমন রওশন এরশাদের আস্থাভাজন অন্যদিকে রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে তার একটা শক্ত অবস্থান আছে। কিন্তু আগামী নির্বাচনে রংপুর-১ আসনে রাঙ্গার পরিবর্তে তার (জিএম কাদের) ভাতিজা আসিফ শহারিয়ারকে মনোনয়ন দিতে চান। অথচ ওই আসনে রাঙ্গা তিনবারের এমপি। ফলে রাঙ্গাকে আগেই সরিয়ে দিয়ে তার ভাতিজার পথ পরিষ্কার করতে চান বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন। রওশন এরশাদ রংপুরের রাজনীতিতে কোন ফ্যাক্টর নন বলেই মনে করেন দলের নেতাকর্মীরা।
কারণ রওশন এরশাদ তার স্বামী এরশাদ মারা যাওয়ার পর রংপুরে একবার এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক কখনো ছিল না। ফলে রওশন এরশাদ আলাদা দল করলেও তার সঙ্গে রংপুরের কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। এ বাস্তবতায় রাঙ্গা নিজেও বিষয়টি অনুধাবন করেন। এছাড়া সিটি মেয়র হিসেবে মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ‘মুকুটহীন সম্রাট’ হয়ে গেছেন। তার প্রভাব অনেকটাই একচ্ছত্র। সে কারণে জিএম কাদের অনেকটাই তার ওপর নির্ভরশীল। আর রাঙ্গা তার আগের মতো প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। এর প্রমাণ মিলেছে দল থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর যে ধরনের প্রতিক্রিয়া তিনি আশা করেছিলেন সেটা হয়নি। আপাতদৃষ্টিতে জিএম কাদেরের অবস্থান শক্ত বলেই মনে করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, সবকিছু বুঝে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন রাঙ্গা।
এ ব্যাপারে মহানগর জাপার সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরসহ মহানগর জাপার সংখ্যাগরিষ্ট অংশ জিএম কাদেরের পক্ষে। তাছাড়া আসছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিএম কাদের মোস্তফাকে আবারও মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছেন অনেক আগেই। সে কারণে জিএম কাদের ভালো অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে জিএম কাদের রংপুর সদর-৩ আসনে প্রার্থী হোন এটা দলের অনেকেই চান না, কারণ তার কোন এলাকায় পরিচিতি নেই এবং তার পরিবারের কেউ কেউ এখানে প্রার্থী হতে চান। ফলে অনেক সমীকরণ কাজ করছে। এতকিছুর পরও জাতীয় পার্টি এ ঘটনায় বেশ ‘চাঙ্গা’ হয়েছে। আগে মাসেও একদিন অফিস খোলা হতো না, এখন সব সময় সরগম থাকছে বলে দাবি স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
লালমনিরহাটে রাঙ্গার কুশপুত্তলিকা দাহ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে পার্টির লালমনিরহাট জেলার নেতাকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোল চত্বরে জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সেখানেই পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা।
পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য-সচিব আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে কুশপুত্তলিকা দাহ শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা সদস্য-সচিব মো. অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা শাখার ছাত্র সমাজ আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম জাকির প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের কয়েকশ’ নেতাকর্র্মী উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ১৯ সফর ১৪৪৪
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও জেলা জাপার সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনায় জাপার দুর্গ বলে পরিচিত রংপুরে আবারও জাপার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। আপাত দৃষ্টিতে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের জয় হলেও আগামী দিনের রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
দল থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর রাঙ্গা জিএম কাদেরকে দেখে নেয়া এবং রংপুরে রাজনীতি কিভাবে করেন তিনি এ কথা বলার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই রাঙ্গা ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে কথাগুলো রাগ করে বলেছিলেন এবং তার সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া না দেখানোর নির্দেশ দেয়াসহ তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলেন। তবে সবকিছুর মূলে আগামী সংসদ নির্বাচনে রওশন এরশাদের ভূমিকা, তার ছেলে সাদ এরশাদের অবস্থান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানা কথা এখন দলের নেতাকর্মীদের মুখে মুখে।
রওশন এরশাদের পক্ষে নেই নেতাকর্মীরা সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের পক্ষে রংপুরে এক শতাংশ নেতাকর্মীও নেই। এমনকি তার স্বামী প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের পৈতৃক নিবাস রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় অবস্থিত স্কাই ভিউ বাসার এরশাদের একমাত্র ভাতিজা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি আসিফ শাহারিয়ারসহ কেউই তার পক্ষে নেই। এরশাদ মারা যাওয়ার পর তার ছেলে সাদ এরশাদকে অনেকটা জোর করেই এরশাদের নিজ আসন রংপুর সদর-৩ আসনে উপনির্বাচনে দলের মনোনয়ন দিয়েছিলেন রওশন এরশাদ। সেই সময় জিএম কাদের রাজি না থাকলেও ‘মেনে’ নিয়েছিলেন। তাছাড়া সাদ এরশাদ প্রয়াত এরশাদ থাকাকালে তাকে রংপুরের মানুষ কোনদিন দেখেওনি বলে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে উপনির্বাচনে সাদ এরশাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থী না দেয়ায় তিনি জয়ী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর সাদ এরশাদ কালেভদ্রে আসেন, এ নিয়ে ওই নির্বাচনী এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ।
যে কারণে জিএম কাদের ক্ষুব্ধ
জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের লালমনিরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য। তিনি আগামী নির্বাচনে ওই আসনে (লালমনিরহাট) তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরকে মনোনয়ন দিয়ে এমপি বানাতে চান। তিনি (জিএম কাদের) রংপুর সদর আসনে নির্বাচন করতে চান। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি এ ঘোষণা দিয়ে এসেছেন। যেখানে এখন রওশন এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ এমপি। ফলে সাদ এরশাদ জিএম কাদেরের ওপর ক্ষুব্ধ, কারণ তার আসনে জিএম কাদের নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে রাঙ্গা একদিকে যেমন রওশন এরশাদের আস্থাভাজন অন্যদিকে রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে তার একটা শক্ত অবস্থান আছে। কিন্তু আগামী নির্বাচনে রংপুর-১ আসনে রাঙ্গার পরিবর্তে তার (জিএম কাদের) ভাতিজা আসিফ শহারিয়ারকে মনোনয়ন দিতে চান। অথচ ওই আসনে রাঙ্গা তিনবারের এমপি। ফলে রাঙ্গাকে আগেই সরিয়ে দিয়ে তার ভাতিজার পথ পরিষ্কার করতে চান বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন। রওশন এরশাদ রংপুরের রাজনীতিতে কোন ফ্যাক্টর নন বলেই মনে করেন দলের নেতাকর্মীরা।
কারণ রওশন এরশাদ তার স্বামী এরশাদ মারা যাওয়ার পর রংপুরে একবার এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক কখনো ছিল না। ফলে রওশন এরশাদ আলাদা দল করলেও তার সঙ্গে রংপুরের কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। এ বাস্তবতায় রাঙ্গা নিজেও বিষয়টি অনুধাবন করেন। এছাড়া সিটি মেয়র হিসেবে মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ‘মুকুটহীন সম্রাট’ হয়ে গেছেন। তার প্রভাব অনেকটাই একচ্ছত্র। সে কারণে জিএম কাদের অনেকটাই তার ওপর নির্ভরশীল। আর রাঙ্গা তার আগের মতো প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। এর প্রমাণ মিলেছে দল থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর যে ধরনের প্রতিক্রিয়া তিনি আশা করেছিলেন সেটা হয়নি। আপাতদৃষ্টিতে জিএম কাদেরের অবস্থান শক্ত বলেই মনে করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, সবকিছু বুঝে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন রাঙ্গা।
এ ব্যাপারে মহানগর জাপার সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরসহ মহানগর জাপার সংখ্যাগরিষ্ট অংশ জিএম কাদেরের পক্ষে। তাছাড়া আসছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিএম কাদের মোস্তফাকে আবারও মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছেন অনেক আগেই। সে কারণে জিএম কাদের ভালো অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে জিএম কাদের রংপুর সদর-৩ আসনে প্রার্থী হোন এটা দলের অনেকেই চান না, কারণ তার কোন এলাকায় পরিচিতি নেই এবং তার পরিবারের কেউ কেউ এখানে প্রার্থী হতে চান। ফলে অনেক সমীকরণ কাজ করছে। এতকিছুর পরও জাতীয় পার্টি এ ঘটনায় বেশ ‘চাঙ্গা’ হয়েছে। আগে মাসেও একদিন অফিস খোলা হতো না, এখন সব সময় সরগম থাকছে বলে দাবি স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
লালমনিরহাটে রাঙ্গার কুশপুত্তলিকা দাহ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে পার্টির লালমনিরহাট জেলার নেতাকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোল চত্বরে জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সেখানেই পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা।
পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য-সচিব আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে কুশপুত্তলিকা দাহ শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা সদস্য-সচিব মো. অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা শাখার ছাত্র সমাজ আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম জাকির প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের কয়েকশ’ নেতাকর্র্মী উপস্থিত ছিলেন।