সাজাপ্রাপ্ত আসামির নামে বেতন উত্তোলন!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী কলারোয়ার সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক শেখ তামিম আজাদ মেরিনের নামে সরকারি বেতন উত্তোলন হচ্ছে। এতে করে উপজেলা আ.লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দরা বলছেন কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার আসামী তামিম আজাদ মেরিনকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সাড়ে ৪বছর জেল দেন। সে বর্তমানে ১বছর ধরে জেলে থেকে সাজা ভোগ করছেন। কোন সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারীর সাজা হলে তার আর চাকুরি থাকে না। অথচ শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার আসামী কলারোয়ার সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক শেখ তামিম আজাদ মেরিনের বেতন উত্তোলন হচ্ছে কিভাবে ? এদিকে ১৩নং ক্রমিকে ১০০২৯২৭ সূচক নং বেতন সিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব ও সভাপতি কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস আগস্ট মাসের বেতন স্বাক্ষর করেছেন। আর তাদের স্বাক্ষরে ৩০ আগস্ট বেতন উত্তোলন হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ওই বেতন সিটি শেখ তামিম আজাদ মেরিনকে সাময়িক বরখাস্ত লেখে ১২,৭৪০ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন-২০২১সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০জন নেতা-কর্মীকে ৪ থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। আর সেই থেকে তারা সাজা ভোগ করছেন। এদিকে সাতক্ষীরার এক সিনিয়র আইনজীবি বলেন,সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা ৪২(১) অনুযায়ী কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন আদালত যদি ফৌজদারি অপরাধে মৃত্যুদন্ড বা এক বছরের বেশি কারাদন্ড প্রদান করেন তাহলে দন্ড ঘোষণার পরপরই উক্ত কর্মচারী চাকরি হতে বরখাস্ত হবেন।

অর্থাৎ এক বছরের বেশি কারাদন্ড হলে অথবা ফাঁসির আদেশ হলে তিনি চাকরি হতে বরখাস্ত হবেন। এখানে আইনে অপরাধের ধরন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন বিধিবিধান নেই। অর্থাৎ একজন সরকারি কর্মচারী তার অফিসের মামলা বা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, দাম্পত্য, সম্পত্তি সম্পর্কিত যে কোন ধরণের ফৌজদারি মামলায় উক্ত দন্ডে দন্ডিত হলে চাকরি হতে বরখাস্ত হবেন। এখানে অপরাধ মূখ্য বিষয়,কি ধরণের অপরাধ তা মূখ্য বিষয় নয়।

এবিষয়ে কলারোয়ার সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের ফোনে এবং প্রধান শিক্ষক আবদুর রবের ফোনে রাতে কল দিলে রিসিভ না করায় তাদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২০ সফর ১৪৪৪

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নামে বেতন উত্তোলন!

প্রতিনিধি, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী কলারোয়ার সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক শেখ তামিম আজাদ মেরিনের নামে সরকারি বেতন উত্তোলন হচ্ছে। এতে করে উপজেলা আ.লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দরা বলছেন কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার আসামী তামিম আজাদ মেরিনকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সাড়ে ৪বছর জেল দেন। সে বর্তমানে ১বছর ধরে জেলে থেকে সাজা ভোগ করছেন। কোন সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারীর সাজা হলে তার আর চাকুরি থাকে না। অথচ শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার আসামী কলারোয়ার সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক শেখ তামিম আজাদ মেরিনের বেতন উত্তোলন হচ্ছে কিভাবে ? এদিকে ১৩নং ক্রমিকে ১০০২৯২৭ সূচক নং বেতন সিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব ও সভাপতি কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস আগস্ট মাসের বেতন স্বাক্ষর করেছেন। আর তাদের স্বাক্ষরে ৩০ আগস্ট বেতন উত্তোলন হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ওই বেতন সিটি শেখ তামিম আজাদ মেরিনকে সাময়িক বরখাস্ত লেখে ১২,৭৪০ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন-২০২১সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০জন নেতা-কর্মীকে ৪ থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। আর সেই থেকে তারা সাজা ভোগ করছেন। এদিকে সাতক্ষীরার এক সিনিয়র আইনজীবি বলেন,সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা ৪২(১) অনুযায়ী কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন আদালত যদি ফৌজদারি অপরাধে মৃত্যুদন্ড বা এক বছরের বেশি কারাদন্ড প্রদান করেন তাহলে দন্ড ঘোষণার পরপরই উক্ত কর্মচারী চাকরি হতে বরখাস্ত হবেন।

অর্থাৎ এক বছরের বেশি কারাদন্ড হলে অথবা ফাঁসির আদেশ হলে তিনি চাকরি হতে বরখাস্ত হবেন। এখানে আইনে অপরাধের ধরন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন বিধিবিধান নেই। অর্থাৎ একজন সরকারি কর্মচারী তার অফিসের মামলা বা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, দাম্পত্য, সম্পত্তি সম্পর্কিত যে কোন ধরণের ফৌজদারি মামলায় উক্ত দন্ডে দন্ডিত হলে চাকরি হতে বরখাস্ত হবেন। এখানে অপরাধ মূখ্য বিষয়,কি ধরণের অপরাধ তা মূখ্য বিষয় নয়।

এবিষয়ে কলারোয়ার সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের ফোনে এবং প্রধান শিক্ষক আবদুর রবের ফোনে রাতে কল দিলে রিসিভ না করায় তাদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।