ভোলা-বরিশাল রুটের ফেরি কৃষ্ণচূড়ার স্টাফ ( লস্কর) আমিনুল ইসলাম ( ২৫)। ইলিশ মাছ ধরেত গিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার এ দুর্ঘটনার পর থেকে তাকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড , পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস বিভাগের ডুবুরী টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত হদিস মিলে নি। তীব্র ঘূর্ণণ ¯্রােতের টানে তলিয়ে যান আমিনুল। এদিকে ৪ মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রী , মা ও বাবা শামিম মিয়া খাবর পেয়ে ঝালকাঠি জেলোর নলছিটি উপজেলার বাড়ি থেকে ছুটে আসেন ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে।
ফেরির ম্যানেজার কাওসার আহমেদ জানান, ভোলার ফায়াসসার্ভিস বিভাগের ডুবুরী ইউনিট না থাকায় পটুয়াখালি থেকে ডুবুরী টিম এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করতে ৩ ঘন্টা চলে যায়। এ জন্য ক্ষোভ জানান পরিবারের সদস্যরা। ফায়ারসার্ভিস বিভাগের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের ডুবুরী ইউনিট চালুর জন্য প্রস্তাবনা রয়েছে। এখন বরিশাল থেকে এনে কাজ করাতে হচ্ছে। ফেরিরে ম্যানেজার জানান সকাল সাড়ে ৮টায় ফেরি কৃষ্ণচূড়া ভেদুরিয়া ঘাট থেকে বাস, ট্রাকসহ যানবাহন লোড দিয়ে বরিশালের লাহারহাট ঘাটের উদ্দেশ্যে ছাড়বে ওই সময় আমিনুল দেখেন একটি ইলিশ মাছ ফেরির পাশ দিয়ে ভেসে যাচ্ছে। মাছটি তুলতে গিয়ে তিনি ছিলিপ কেটে উপুর হয়ে নদীতে পড়ে যান।
পড়ার পর তার দু হাত উপরের দিকে একবার উচু করতে দেখা যায়। এর পর ¯্রােতের টানের মুহুর্তে কোথায় চলে গেছে তা খুজে পাওয়া যায় নি। তাৎক্ষনিক ফেরির স্টাফরা লগি ফেলে বয়া ফেলে খুজতে থাকেন। এর পর কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস টিমকে খবর দেয়া হয়। ট্রলার নিয়ে তাদের স্টাফরা নদীতে মাইকিং করছেন। জেলেদের জানানো হয়, খোজার জন্য। এদিকে স্বামী নিখোঁজের খবর পেয়ে ভেদুরিয়া ঘাটে আসা নববধূ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ভোর রাত ৪টার দিকেও একবার ফোনে কথা হয় বলেও জানাতে থাকেন। খবর পেয়ে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামও স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, লস্কর আমিনুলের উচিত হয় নি এভাবে ভেসে যাওয়া মাছ তুলতে চেস্টা করা। কেউ কেউ জানান মাছটি মরা ছিল। ভোলা স্বার্থরক্ষা উন্নয়ন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম. হাবিবুর রহমান জানান, নদীতে ভেসে যাওয়া মাছ মরা কি জীবিত তা বড় কথা নয়, কিন্তু একজন ফেরির স্টাফ দায়িত্বে থেকে তা ধরতে বা তুলতে চেষ্টা করাটা সমিচীন ছিল না। তবে ভোলার ভেদুরিয়া ও লাহারহাট রুট খুব একটা রুদ্র নয়। তাৎক্ষনিক ডুবুরী দিয়ে অভিযান চালালে তাকে উদ্ধার করা হয় তো সম্ভব হতো। তাই ভোলায় ডুবুরী ইউনিট চালুর দাবি জানান তিনি।
রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২০ সফর ১৪৪৪
প্রতিনিধি, ভোলা
ভোলা-বরিশাল রুটের ফেরি কৃষ্ণচূড়ার স্টাফ ( লস্কর) আমিনুল ইসলাম ( ২৫)। ইলিশ মাছ ধরেত গিয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার এ দুর্ঘটনার পর থেকে তাকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড , পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস বিভাগের ডুবুরী টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত হদিস মিলে নি। তীব্র ঘূর্ণণ ¯্রােতের টানে তলিয়ে যান আমিনুল। এদিকে ৪ মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রী , মা ও বাবা শামিম মিয়া খাবর পেয়ে ঝালকাঠি জেলোর নলছিটি উপজেলার বাড়ি থেকে ছুটে আসেন ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে।
ফেরির ম্যানেজার কাওসার আহমেদ জানান, ভোলার ফায়াসসার্ভিস বিভাগের ডুবুরী ইউনিট না থাকায় পটুয়াখালি থেকে ডুবুরী টিম এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করতে ৩ ঘন্টা চলে যায়। এ জন্য ক্ষোভ জানান পরিবারের সদস্যরা। ফায়ারসার্ভিস বিভাগের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ জানান, তাদের ডুবুরী ইউনিট চালুর জন্য প্রস্তাবনা রয়েছে। এখন বরিশাল থেকে এনে কাজ করাতে হচ্ছে। ফেরিরে ম্যানেজার জানান সকাল সাড়ে ৮টায় ফেরি কৃষ্ণচূড়া ভেদুরিয়া ঘাট থেকে বাস, ট্রাকসহ যানবাহন লোড দিয়ে বরিশালের লাহারহাট ঘাটের উদ্দেশ্যে ছাড়বে ওই সময় আমিনুল দেখেন একটি ইলিশ মাছ ফেরির পাশ দিয়ে ভেসে যাচ্ছে। মাছটি তুলতে গিয়ে তিনি ছিলিপ কেটে উপুর হয়ে নদীতে পড়ে যান।
পড়ার পর তার দু হাত উপরের দিকে একবার উচু করতে দেখা যায়। এর পর ¯্রােতের টানের মুহুর্তে কোথায় চলে গেছে তা খুজে পাওয়া যায় নি। তাৎক্ষনিক ফেরির স্টাফরা লগি ফেলে বয়া ফেলে খুজতে থাকেন। এর পর কোস্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস টিমকে খবর দেয়া হয়। ট্রলার নিয়ে তাদের স্টাফরা নদীতে মাইকিং করছেন। জেলেদের জানানো হয়, খোজার জন্য। এদিকে স্বামী নিখোঁজের খবর পেয়ে ভেদুরিয়া ঘাটে আসা নববধূ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ভোর রাত ৪টার দিকেও একবার ফোনে কথা হয় বলেও জানাতে থাকেন। খবর পেয়ে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামও স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, লস্কর আমিনুলের উচিত হয় নি এভাবে ভেসে যাওয়া মাছ তুলতে চেস্টা করা। কেউ কেউ জানান মাছটি মরা ছিল। ভোলা স্বার্থরক্ষা উন্নয়ন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম. হাবিবুর রহমান জানান, নদীতে ভেসে যাওয়া মাছ মরা কি জীবিত তা বড় কথা নয়, কিন্তু একজন ফেরির স্টাফ দায়িত্বে থেকে তা ধরতে বা তুলতে চেষ্টা করাটা সমিচীন ছিল না। তবে ভোলার ভেদুরিয়া ও লাহারহাট রুট খুব একটা রুদ্র নয়। তাৎক্ষনিক ডুবুরী দিয়ে অভিযান চালালে তাকে উদ্ধার করা হয় তো সম্ভব হতো। তাই ভোলায় ডুবুরী ইউনিট চালুর দাবি জানান তিনি।