শারদোৎসবে কেনাকাটায় ধুম, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বাড়তি সুবিধা

আগামী ২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। ইতিমধ্যেই পূজা উপলক্ষে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে পূজার কেনা-বেচা। শহরের বিভিন্ন মার্কেট, বিপনী বিতান ও শপিংমলে চলছে কেনা-কাটা। এবার কেনা-কাটায় কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ করা গেছে। কেনা- কাটায় লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া।

সরজমিনে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, দোকানিরা ক্রেতাদের চাহিদামতো কাপড়- চোপড় দোকানে তুলেছেন। ক্রেতারাও দোকানগুলোতে পাচ্ছেন তাদের পছন্দসই কাপড়। ক্রেতারা তাদের পছন্দের জামা কাপড় মোবাইলে ছবি তুলে ইমু, ভিডিওকল, হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন তাদের স্বজনদের কাছে। স্বজনরা সেই ছবি দেখে পছন্দ করলেই তারা কাপড়-চোপড় কিনে ফেলছেন। এযেন প্রযুক্তি নির্ভর বেচা- কেনা।

শহরের নিউ মার্কেটে দেখা হয় ক্রেতা সুমা বনিকের সাথে। তিনি বলেন, কসবা উপজেলার চন্ডিদ্বার গ্রামে তাঁর শ্বশুর বাড়ি। ব্রাক্ষণবাড়িয়া পৌর এলাকার বনিক পাড়ায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। তিনি বলেন, পূজার জন্য শ্বশুর বাড়ির স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। দোকান থেকে আমি পছন্দসই কাপড়- চোপড় মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে স্বজনদের দেখাচ্ছি। স্বজনরা সেই কাপড় দেখে পছন্দ করে দেয়ার পর তাদের পছন্দসই কাপড় কিনেছি। তিনি বলেন, কসবা থেকে সকলকে নিয়ে এসে জামা কাপড় কেনা সম্ভব না। তাই প্রযুক্তির কল্যাণে ভিডিও কলের মাধ্যমে যার যার পছন্দ মত জামা কাপড় - চোপড় কিনেছি।

একই মার্কেটে সুব্রত রায় নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আমি আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে এসেছি তার জন্য কাপড় কিনতে। বাড়িতে আমার আরো দুই মেয়ে আছে। দোকান থেকে কাপড় - চোপড় পছন্দ করে মোবাইলে ছবি তুলে তাদেরকে পাঠিয়েছি। তারা পছন্দ করার পর তাদের জন্যও কিনেছি।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়ার গৃহবধূ শিল্পী সাহা বলেন, পূজার বেশি দিন আর বাকি নেই। তিনি বলেন, তাঁর বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। বাবা, মা, ছোট দুই ভাইকে পূজার উপহার দিতে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদেরকে কাপড়- চোপড় পছন্দ করাই। তারা পছন্দ করার পর তাদের জন্য কাপড় কিনি।

শহরের নিউ মার্কটের এলিগ্যান্স গার্মেন্টসের বিক্রেতা মাসুম শেখ বলেন, পূজার বেচা- কেনা শুরু হলেও তেমন জমেনি। আগামী সপ্তাহ থেকে পূজার বেচা- কেনা বাড়বে বলে আশা করি। তিনি বলেন, ক্রেতারা এখন প্রযুক্তি নির্ভর। মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে, ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ক্রেতারা আত্মীয় স্বজনের জন্য কাপড়-চোপড় কিনছেন।

শহরের ফরিদ উদ্দিন -আনোয়ারা টাওয়ার (এফ.এ.টাওয়ার) এর ইজি লাইক ফ্যাশনের মালিক এমরান বলেন, পূজার বেচা- কেনা শুরু হলেও এখনো পুরোপুরি জমে উঠেনি। এখন ক্রেতারা এসে ঘুরে ঘুরে জামা কাপড় দেখছেন। দোকানের জামা- কাপড়ের ছবি তুলে ভিডিও কল, ম্যাসেঞ্জার, ইমু ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের দেখাচ্ছেন। তারা পছন্দ করলে তারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরাও সেভাবে দেখাচ্ছি।

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২০ সফর ১৪৪৪

শারদোৎসবে কেনাকাটায় ধুম, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বাড়তি সুবিধা

জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাক্ষণবাড়িয়া

image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নিউ মার্কেটে ভিডিওকলে পূজার কাপড়-চোপড় স্বজনদের দেখাচ্ছেন ক্রেতারা -সংবাদ

আগামী ২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। ইতিমধ্যেই পূজা উপলক্ষে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে পূজার কেনা-বেচা। শহরের বিভিন্ন মার্কেট, বিপনী বিতান ও শপিংমলে চলছে কেনা-কাটা। এবার কেনা-কাটায় কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ করা গেছে। কেনা- কাটায় লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া।

সরজমিনে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, দোকানিরা ক্রেতাদের চাহিদামতো কাপড়- চোপড় দোকানে তুলেছেন। ক্রেতারাও দোকানগুলোতে পাচ্ছেন তাদের পছন্দসই কাপড়। ক্রেতারা তাদের পছন্দের জামা কাপড় মোবাইলে ছবি তুলে ইমু, ভিডিওকল, হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন তাদের স্বজনদের কাছে। স্বজনরা সেই ছবি দেখে পছন্দ করলেই তারা কাপড়-চোপড় কিনে ফেলছেন। এযেন প্রযুক্তি নির্ভর বেচা- কেনা।

শহরের নিউ মার্কেটে দেখা হয় ক্রেতা সুমা বনিকের সাথে। তিনি বলেন, কসবা উপজেলার চন্ডিদ্বার গ্রামে তাঁর শ্বশুর বাড়ি। ব্রাক্ষণবাড়িয়া পৌর এলাকার বনিক পাড়ায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। তিনি বলেন, পূজার জন্য শ্বশুর বাড়ির স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। দোকান থেকে আমি পছন্দসই কাপড়- চোপড় মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে স্বজনদের দেখাচ্ছি। স্বজনরা সেই কাপড় দেখে পছন্দ করে দেয়ার পর তাদের পছন্দসই কাপড় কিনেছি। তিনি বলেন, কসবা থেকে সকলকে নিয়ে এসে জামা কাপড় কেনা সম্ভব না। তাই প্রযুক্তির কল্যাণে ভিডিও কলের মাধ্যমে যার যার পছন্দ মত জামা কাপড় - চোপড় কিনেছি।

একই মার্কেটে সুব্রত রায় নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আমি আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে এসেছি তার জন্য কাপড় কিনতে। বাড়িতে আমার আরো দুই মেয়ে আছে। দোকান থেকে কাপড় - চোপড় পছন্দ করে মোবাইলে ছবি তুলে তাদেরকে পাঠিয়েছি। তারা পছন্দ করার পর তাদের জন্যও কিনেছি।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়ার গৃহবধূ শিল্পী সাহা বলেন, পূজার বেশি দিন আর বাকি নেই। তিনি বলেন, তাঁর বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। বাবা, মা, ছোট দুই ভাইকে পূজার উপহার দিতে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদেরকে কাপড়- চোপড় পছন্দ করাই। তারা পছন্দ করার পর তাদের জন্য কাপড় কিনি।

শহরের নিউ মার্কটের এলিগ্যান্স গার্মেন্টসের বিক্রেতা মাসুম শেখ বলেন, পূজার বেচা- কেনা শুরু হলেও তেমন জমেনি। আগামী সপ্তাহ থেকে পূজার বেচা- কেনা বাড়বে বলে আশা করি। তিনি বলেন, ক্রেতারা এখন প্রযুক্তি নির্ভর। মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে, ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ক্রেতারা আত্মীয় স্বজনের জন্য কাপড়-চোপড় কিনছেন।

শহরের ফরিদ উদ্দিন -আনোয়ারা টাওয়ার (এফ.এ.টাওয়ার) এর ইজি লাইক ফ্যাশনের মালিক এমরান বলেন, পূজার বেচা- কেনা শুরু হলেও এখনো পুরোপুরি জমে উঠেনি। এখন ক্রেতারা এসে ঘুরে ঘুরে জামা কাপড় দেখছেন। দোকানের জামা- কাপড়ের ছবি তুলে ভিডিও কল, ম্যাসেঞ্জার, ইমু ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের দেখাচ্ছেন। তারা পছন্দ করলে তারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরাও সেভাবে দেখাচ্ছি।