দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীসহ আরও ২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছে শরীক দল জাতীয় পার্টির নেতাও। এদিকে দলীয় মনোনয়নের বাইরে গিয়ে আরও দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও সেটাকে সাপোর্টিং বলছেন দুই প্রার্থী। তাদের শঙ্কা, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর ব্যাংক ঋনের সমস্যা রয়েছে। আর সেই কারণেই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে। একারনে জেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাকী ২ জন প্রার্থী হয়েছেন। আর দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী বলছেন, ওই দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিবেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে উৎসব মুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রার্থীরা। এদিন চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (সদর) ফরিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী আজিজুল ইমাম চৌধুরী বলেন, দলীয় মনোনয়নপত্র একজনকে দেয়া হয়। এই মনোনয়ন আমাকে দেয়া হয়েছে। এরপরও অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়, পরে তারা মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হওয়ার প্রত্যাহার করে নেয়। এটা দলের একটা নির্দেশনা থাকে। আমিও তেমন আশা করছি যে বাকীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিবেন।
প্রার্থী তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা জানতে পারি যে ইমাম চৌধুরী ঋণ খেলাপী। পরে ইমাম চৌধুরী আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন যে তার ব্যাংকে সমস্যা আছে। এরপর দলীয় (জেলা আওয়ামীলীগের) সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোন কারনে তিনি ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে প্রার্থীতা থাকবে না। এজন্য দলের পক্ষ থেকে আমাকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে যাতে করে ওই রকম কোন সমস্যা হলে আমি প্রার্থী হবো। তবে দলীয় প্রার্থী পরিবতর্নের একটি সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মনোনয়ন দাখিল করা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (সদর) ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে সার্পোটিং রাখা হয়েছে কিছু যদি সমস্যা হয়। অন্য কোন কারন নাই। ইমাম চৌধুরী সাহেবের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা প্রত্যাহার করবো। আমাদের জেলা কমিটির দলীয়ভাবে এটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি, যাদের মধ্যে একজন থাকবো।
এদিকে দিনাজপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমরা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছি। জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং সাধারন সদস্য’র ১৩টি পদের বিপরীতে ৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্যর ৫টি পদের বিপরীতে ১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই ও ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১৭ অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটার রয়েছেন ১৪৭৯ জন। এখন ভোট গ্রহনের যে বাকী কাজগুলো আছে তা শান্তিপূর্ণভাবেই করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২০ সফর ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীসহ আরও ২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছে শরীক দল জাতীয় পার্টির নেতাও। এদিকে দলীয় মনোনয়নের বাইরে গিয়ে আরও দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও সেটাকে সাপোর্টিং বলছেন দুই প্রার্থী। তাদের শঙ্কা, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর ব্যাংক ঋনের সমস্যা রয়েছে। আর সেই কারণেই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে। একারনে জেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাকী ২ জন প্রার্থী হয়েছেন। আর দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী বলছেন, ওই দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিবেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে উৎসব মুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রার্থীরা। এদিন চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (সদর) ফরিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী আজিজুল ইমাম চৌধুরী বলেন, দলীয় মনোনয়নপত্র একজনকে দেয়া হয়। এই মনোনয়ন আমাকে দেয়া হয়েছে। এরপরও অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়, পরে তারা মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হওয়ার প্রত্যাহার করে নেয়। এটা দলের একটা নির্দেশনা থাকে। আমিও তেমন আশা করছি যে বাকীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিবেন।
প্রার্থী তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা জানতে পারি যে ইমাম চৌধুরী ঋণ খেলাপী। পরে ইমাম চৌধুরী আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন যে তার ব্যাংকে সমস্যা আছে। এরপর দলীয় (জেলা আওয়ামীলীগের) সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোন কারনে তিনি ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে প্রার্থীতা থাকবে না। এজন্য দলের পক্ষ থেকে আমাকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে যাতে করে ওই রকম কোন সমস্যা হলে আমি প্রার্থী হবো। তবে দলীয় প্রার্থী পরিবতর্নের একটি সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মনোনয়ন দাখিল করা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (সদর) ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে সার্পোটিং রাখা হয়েছে কিছু যদি সমস্যা হয়। অন্য কোন কারন নাই। ইমাম চৌধুরী সাহেবের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা প্রত্যাহার করবো। আমাদের জেলা কমিটির দলীয়ভাবে এটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি, যাদের মধ্যে একজন থাকবো।
এদিকে দিনাজপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমরা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছি। জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং সাধারন সদস্য’র ১৩টি পদের বিপরীতে ৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্যর ৫টি পদের বিপরীতে ১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই ও ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১৭ অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটার রয়েছেন ১৪৭৯ জন। এখন ভোট গ্রহনের যে বাকী কাজগুলো আছে তা শান্তিপূর্ণভাবেই করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।