পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে পুতিনকে হুঁশিয়ারি বাইডেনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে রাশিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন বাইডেন।

সানডে’স সিক্সটি মিনিটের প্রোগ্রামের প্রিভিউতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যদি রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক ও কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করে তবে রাশিয়াকে উদ্দেশ্য করে বাইডেনের বার্তা কী হবে। জবাবে বাইডেন বলেন, ‘করবেন না (পারমাণবিক বোমা ব্যবহার) করবেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আপনি যুদ্ধের চেহারা (পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করলে) পরিবর্তন করবেন।’

বাইডেন বলেন, ‘এবং তারা কী করবে, তার ওপর নির্ভর করবে, কী প্রতিক্রিয়া ঘটবে।’ বাইডেন পুতিনকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে রাশিয়া যদি ইউক্রেনে পারমাণবিক বা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ‘পরিণাম’ ভোগ করবে।

রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সীমিত পরিসরেও পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করে, তাতে পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে? তা বলা মুশকিল। তবে বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি পারমাণবিক, রাসায়নিক বা জীবাণু অস্ত্রের হামলা চালায়, যুক্তরাষ্ট্র চুপ করে বসে থাকবে না।

রাশিয়া বারবার বলে এসেছে, দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতি হলো রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকিতে পড়লেই শুধু পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে দেশটি। ১৯৯১ সালে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলো আর কৌশলগত চিন্তার অংশ নয়। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা ক্রমে বাড়ছে।

১৯৬২ সালে কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক সংঘাতে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এখন প্রায় ৫০ বছর পর এসে আবারও ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পারমাণবিক সংঘাতের বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে আসছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। এদিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ওয়ারশোতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ওয়ারশো মেমোরেন্ডাম নামে পরিচিত।

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২০ সফর ১৪৪৪

পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে পুতিনকে হুঁশিয়ারি বাইডেনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে রাশিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন বাইডেন।

সানডে’স সিক্সটি মিনিটের প্রোগ্রামের প্রিভিউতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যদি রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক ও কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করে তবে রাশিয়াকে উদ্দেশ্য করে বাইডেনের বার্তা কী হবে। জবাবে বাইডেন বলেন, ‘করবেন না (পারমাণবিক বোমা ব্যবহার) করবেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আপনি যুদ্ধের চেহারা (পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করলে) পরিবর্তন করবেন।’

বাইডেন বলেন, ‘এবং তারা কী করবে, তার ওপর নির্ভর করবে, কী প্রতিক্রিয়া ঘটবে।’ বাইডেন পুতিনকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে রাশিয়া যদি ইউক্রেনে পারমাণবিক বা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ‘পরিণাম’ ভোগ করবে।

রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সীমিত পরিসরেও পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করে, তাতে পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে? তা বলা মুশকিল। তবে বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি পারমাণবিক, রাসায়নিক বা জীবাণু অস্ত্রের হামলা চালায়, যুক্তরাষ্ট্র চুপ করে বসে থাকবে না।

রাশিয়া বারবার বলে এসেছে, দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতি হলো রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকিতে পড়লেই শুধু পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে দেশটি। ১৯৯১ সালে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলো আর কৌশলগত চিন্তার অংশ নয়। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা ক্রমে বাড়ছে।

১৯৬২ সালে কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক সংঘাতে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এখন প্রায় ৫০ বছর পর এসে আবারও ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পারমাণবিক সংঘাতের বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে আসছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। এদিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ওয়ারশোতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ওয়ারশো মেমোরেন্ডাম নামে পরিচিত।