কম মূল্যে ডিম আমদানি করে ভোক্তাদের দিতে চাই : বাণিজ্যমন্ত্রী

কৃষি মন্ত্রণালয় পজিটিভ হলে ডিম আমদানি করা হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত থেকে ডিম আমদানি করে কম মূল্যে ভোক্তাদের দেয়ার পক্ষে আমি। আজই কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম নির্ধারণ বিষয়ে কাগজ পাঠাব। তবে কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টিও দেখতে হবে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘মিট দ্য ওকাব উইথ টিপু মুনশি’ শীর্ষক আলোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে ভোক্তা ও কৃষক উভয়কেই দেখতে হবে। যথেষ্ট হিমাগার না থাকায় অনেক পেঁয়াজ পচে যায়। ফলে সেপ্টেম্বরে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজ আমদানি করার চিন্তা করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমরা চীন থেকে কিছুটা সরে আসছি। তারপরও আমাদের আমদানিতে চীন-ভারতের ওপর নির্ভরতা আছে। মূলত আমাদের ইন্ডাস্ট্রি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্ভরশীলতা থাকবে। বৈশ্বিক চাওয়া মেন মেইড ফাইবার আমাদের নেই। তাই বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে। সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

রোহিঙ্গারা যে যাবে না, তা এখন বুঝা যাচ্ছে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যদিও প্রথমে তাদের মানবিক কারণে জায়গা দেয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার মাধ্যমেই মায়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। মায়ানমারে কিছু গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেপা চুক্তি নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ দুই পক্ষ বসে ভারতের সঙ্গে সেপা চুক্তির বিষয়ে সমাধান করা হবে। ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ-এফটিএ চুক্তি করার চেষ্টা চলছে।

অনুষ্ঠানে ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন ওকাব সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠুসহ ওকাব নেতারা।

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২০ সফর ১৪৪৪

কম মূল্যে ডিম আমদানি করে ভোক্তাদের দিতে চাই : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কৃষি মন্ত্রণালয় পজিটিভ হলে ডিম আমদানি করা হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত থেকে ডিম আমদানি করে কম মূল্যে ভোক্তাদের দেয়ার পক্ষে আমি। আজই কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম নির্ধারণ বিষয়ে কাগজ পাঠাব। তবে কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টিও দেখতে হবে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘মিট দ্য ওকাব উইথ টিপু মুনশি’ শীর্ষক আলোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে ভোক্তা ও কৃষক উভয়কেই দেখতে হবে। যথেষ্ট হিমাগার না থাকায় অনেক পেঁয়াজ পচে যায়। ফলে সেপ্টেম্বরে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজ আমদানি করার চিন্তা করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমরা চীন থেকে কিছুটা সরে আসছি। তারপরও আমাদের আমদানিতে চীন-ভারতের ওপর নির্ভরতা আছে। মূলত আমাদের ইন্ডাস্ট্রি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্ভরশীলতা থাকবে। বৈশ্বিক চাওয়া মেন মেইড ফাইবার আমাদের নেই। তাই বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে। সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

রোহিঙ্গারা যে যাবে না, তা এখন বুঝা যাচ্ছে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যদিও প্রথমে তাদের মানবিক কারণে জায়গা দেয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার মাধ্যমেই মায়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। মায়ানমারে কিছু গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেপা চুক্তি নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ দুই পক্ষ বসে ভারতের সঙ্গে সেপা চুক্তির বিষয়ে সমাধান করা হবে। ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ-এফটিএ চুক্তি করার চেষ্টা চলছে।

অনুষ্ঠানে ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন ওকাব সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠুসহ ওকাব নেতারা।