ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে রিটার্ন দাখিলের শর্ত শিথিল

নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, করারোপ যোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে ২০ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ এবং শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে ২ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকসমূহে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর আগে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানান, পাঁচ লাখ টাকার বেশি ব্যাংক ঋণ আবেদনে বা ক্রেডিট কার্ড নেয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল, ট্যাক্স রিটার্নের সংখ্যা এবং আয়কর আদায় বাড়ান।

উল্লেখ্য, আগে একজন উদ্যোক্তা শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) এবং প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্ট জমা দিয়েই ঋণ নিতে পারতেন। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৩৮ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিলের স্লিপ দেখান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব সেবা পেতে রিটার্ন জমা দিতে হবে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয়, ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ, কোন কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হওয়া, ব্যবসায়িক সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ, সন্তান বা পোষ্যের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ালেখা করা ও অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়া।

এছাড়া উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ২১ সফর ১৪৪৪

ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে রিটার্ন দাখিলের শর্ত শিথিল

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, করারোপ যোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে ২০ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ এবং শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে ২ লাখ টাকা সীমা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকসমূহে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর আগে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানান, পাঁচ লাখ টাকার বেশি ব্যাংক ঋণ আবেদনে বা ক্রেডিট কার্ড নেয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল, ট্যাক্স রিটার্নের সংখ্যা এবং আয়কর আদায় বাড়ান।

উল্লেখ্য, আগে একজন উদ্যোক্তা শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) এবং প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্ট জমা দিয়েই ঋণ নিতে পারতেন। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৩৮ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিলের স্লিপ দেখান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব সেবা পেতে রিটার্ন জমা দিতে হবে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয়, ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ, কোন কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হওয়া, ব্যবসায়িক সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ, সন্তান বা পোষ্যের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ালেখা করা ও অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়া।

এছাড়া উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।