ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণে ৫ সুপারিশ

সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫২৭ জন শনাক্ত

দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ পাঁচ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

গতকাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৯তম সভা জুমের মাধ্যমে হয়। সভায় করোনা সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা শেষে যে পাঁচ সুপারিশ গৃহীত হয় সেগুলো হলোÑ প্রথমত, সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা। হাত ধোয়া বা সেনিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করা। দ্বিতীয়ত, যারা করোনা টিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি, তাদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। তৃতীয়ত, বন্ধ স্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাপ্তরিক সভা যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করা। চতুর্থত, অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভায় মাস্ক পরিধান করা ও পঞ্চমত, বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে উদ্যোগী করা।

গেল সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে গতকাল। করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফের পাঁচশ’ ছাড়িয়েছে, যা সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিকে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ১২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৬১৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশে। শনিবার এই হার ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ছিল। সর্বশেষ দৈনিক শনাক্তের হার এর চেয়ে বেশি ছিল গত ১৬ জুলাই, সেদিন শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।

নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬১৪ জন হয়েছে। গত একদিনে করোনায় কারোও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা আগের দিনের মতই ২৯ হাজার ৩৩৯ জন রয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৮৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৬১৫ জন।

২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৫৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ১৪৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

image

ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, পরামর্শক কমিটি সবাইকে সতর্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলেছে। গতকাল রাজধানীর সড়কে দেখা গেছে রিকশাচালক মাস্ক পরেছেন কিন্তু শিক্ষিত হয়েও যাত্রীদ্বয় সচেতন নন -সংবাদ

আরও খবর
সতর্কতার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ
ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত আবার পর্যালোচনা করবে ইসি
২০২৩ সালে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে
আজ স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ
প্রতিবাদলিপি দিয়ে মায়ানমারকে সতর্ক করলো বাংলাদেশ
তুমব্রু সীমান্তের তিনশ’ পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হতে পারে 
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীর বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ২১ সফর ১৪৪৪

ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণে ৫ সুপারিশ

সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫২৭ জন শনাক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, পরামর্শক কমিটি সবাইকে সতর্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলেছে। গতকাল রাজধানীর সড়কে দেখা গেছে রিকশাচালক মাস্ক পরেছেন কিন্তু শিক্ষিত হয়েও যাত্রীদ্বয় সচেতন নন -সংবাদ

দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ পাঁচ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

গতকাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৯তম সভা জুমের মাধ্যমে হয়। সভায় করোনা সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা শেষে যে পাঁচ সুপারিশ গৃহীত হয় সেগুলো হলোÑ প্রথমত, সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা। হাত ধোয়া বা সেনিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করা। দ্বিতীয়ত, যারা করোনা টিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি, তাদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। তৃতীয়ত, বন্ধ স্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাপ্তরিক সভা যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করা। চতুর্থত, অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভায় মাস্ক পরিধান করা ও পঞ্চমত, বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে উদ্যোগী করা।

গেল সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে গতকাল। করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফের পাঁচশ’ ছাড়িয়েছে, যা সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিকে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ১২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৬১৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশে। শনিবার এই হার ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ছিল। সর্বশেষ দৈনিক শনাক্তের হার এর চেয়ে বেশি ছিল গত ১৬ জুলাই, সেদিন শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।

নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬১৪ জন হয়েছে। গত একদিনে করোনায় কারোও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা আগের দিনের মতই ২৯ হাজার ৩৩৯ জন রয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৮৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৬১৫ জন।

২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৫৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ১৪৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।