­প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপের সনদ পেলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আইসিটি শিক্ষা দিতে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট ও বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) যৌথভাবে একটি প্রজেক্ট পরিচালনা করছে। ‘প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপ’ নামের এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ২৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে সনদ দেয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বেসিস কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, বিআইটিএমের সিইও তালুকদার মোহাম্মাদ সাব্বির, বেসিস পরিচালক তানভির হাসান খান, বেসিসের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও ডাব্লিউপি ডেভেলপারের কর্তধার এম আসিফ রহমান এবং বেসিসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আবু ইসা মুহাম্মদ মইনুদ্দিন। এছাড়া প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ও জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের সেক্রেটারি জেনারেল নূর মোহাম্মাদ আলী নিপুণ এবং প্রজেক্ট লিড সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি এবং এদের মধ্যে আনুমানিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই এখনও বেকার রয়ে গেছেন, কারণ তাদের শিক্ষা ও দক্ষতার ভিত্তিতে দেশের বর্তমান চাকরির বাজারে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ কম। প্রযুক্তিগত বিপ্লবের এই যুগে আইসিটি শিক্ষা ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে যুক্ত হওয়া প্রায় অসম্ভব।

প্রকল্পটি সম্পর্কে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির অংশ হিসেবে প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপ আমাদের ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস। ভবিষ্যতে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণের আওতায় আমরা মাদ্রাসা শিক্ষকদের আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দিয়েছি যাতে আরও অধিক সংখ্যক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আইসিটি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা যায়।

বিআইটিএমর সিইও তালুকদার মোহাম্মদ সাব্বির বলেন, সিএসআর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিআইটিএম এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা জাতিসংঘের এসডিজির মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে অবদান রাখার চেষ্টা করছি। প্রকল্পটিতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বিডিঅ্যাপস, বাংলাদেশ পজিটিভ ফাউন্ডেশন, লাইটশোর ফাউন্ডেশন এবং পেন্সিলবক্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ­

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ২১ সফর ১৪৪৪

­প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপের সনদ পেলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

image

সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আইসিটি শিক্ষা দিতে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্ট ও বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) যৌথভাবে একটি প্রজেক্ট পরিচালনা করছে। ‘প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপ’ নামের এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ২৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে সনদ দেয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বেসিস কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, বিআইটিএমের সিইও তালুকদার মোহাম্মাদ সাব্বির, বেসিস পরিচালক তানভির হাসান খান, বেসিসের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও ডাব্লিউপি ডেভেলপারের কর্তধার এম আসিফ রহমান এবং বেসিসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আবু ইসা মুহাম্মদ মইনুদ্দিন। এছাড়া প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ও জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের সেক্রেটারি জেনারেল নূর মোহাম্মাদ আলী নিপুণ এবং প্রজেক্ট লিড সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি এবং এদের মধ্যে আনুমানিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই এখনও বেকার রয়ে গেছেন, কারণ তাদের শিক্ষা ও দক্ষতার ভিত্তিতে দেশের বর্তমান চাকরির বাজারে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ কম। প্রযুক্তিগত বিপ্লবের এই যুগে আইসিটি শিক্ষা ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে যুক্ত হওয়া প্রায় অসম্ভব।

প্রকল্পটি সম্পর্কে জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির অংশ হিসেবে প্রজেক্ট হোয়াইট ক্যাপ আমাদের ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস। ভবিষ্যতে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণের আওতায় আমরা মাদ্রাসা শিক্ষকদের আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দিয়েছি যাতে আরও অধিক সংখ্যক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আইসিটি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা যায়।

বিআইটিএমর সিইও তালুকদার মোহাম্মদ সাব্বির বলেন, সিএসআর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিআইটিএম এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা জাতিসংঘের এসডিজির মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে অবদান রাখার চেষ্টা করছি। প্রকল্পটিতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বিডিঅ্যাপস, বাংলাদেশ পজিটিভ ফাউন্ডেশন, লাইটশোর ফাউন্ডেশন এবং পেন্সিলবক্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ­