আগামী দুই দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে আগামী ৫ দিন মধ্যে আবারও দেশের বেশিরভাগ স্থানে হালকা, কয়েকটি স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে, অর্থাৎ বৃষ্টি প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
গতকাল সকালে ঢাকায় এক পশলা বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাট কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় রাস্তার কাজ চলছে সেসব এলাকায় পানি জমে পথচারীদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। বেলা গড়ালেও আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। রাজধানীর কোথাও কোথাও সারাদিনই থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার জানান, আজ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট, এই পাঁচ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় (২৬ থেকে ৫০ শতাংশ স্থানে) বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় (১ থেকে ২৫ শতাংশ স্থান) বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, গত শনিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ ছিল বৃষ্টিহীন। এ সময়ে ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ২১ সফর ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
আগামী দুই দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে আগামী ৫ দিন মধ্যে আবারও দেশের বেশিরভাগ স্থানে হালকা, কয়েকটি স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে, অর্থাৎ বৃষ্টি প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
গতকাল সকালে ঢাকায় এক পশলা বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাট কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় রাস্তার কাজ চলছে সেসব এলাকায় পানি জমে পথচারীদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। বেলা গড়ালেও আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। রাজধানীর কোথাও কোথাও সারাদিনই থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার জানান, আজ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট, এই পাঁচ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় (২৬ থেকে ৫০ শতাংশ স্থানে) বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় (১ থেকে ২৫ শতাংশ স্থান) বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, গত শনিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ ছিল বৃষ্টিহীন। এ সময়ে ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।