কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের হারুনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সরকারি গুদামের প্রায় ৮৩ লাখ টাকার ইউরিয়া সার আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের মো. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর (বর্তমানে খুলনা) উপ-পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। হারুন পটুয়াখালী বাফার গুদামের প্রাক্তন ডিপো ইনচার্জ ও উপ-ব্যবস্থাপক (ফয়ার অ্যান্ড সেফটি) থাকাকালে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন।

দুদক জানায়, ২০০৯ সালের ২৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পটুয়াখালী বাফার গুদামে ডিপো ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন হারুন। ওই সময় গুদামের স্টক রেজিস্টার অনুযায়ী মোট ৩ হাজার ৮৭১ মে. টন ইউরিয়া সার মজুত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ৩ হাজার ৫০৩ মে. টন পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৩৬৭ মে. টন সার আত্মসাৎ করে, যার আমদানি মূল্য ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৬ টাকা। তার বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষকের নামে ঋণ মঞ্জুর করে জালিয়াতির মাধ্যমে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের মোড়েলগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার সংস্থার উপপরিচালক মো. শাহরিয়ার জামিল বাদী হয়ে বাগেরহাট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলোÑ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) সাফিয়া বেগম, সৈয়দ শিয়ন সাইফ, অফিসার ক্যাশ (বরখাস্ত) ও একই এলাকার সোনাখালী আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মাসুদ। বাগেরহাটে দুদক কার্যালয় চালুর পর এটিই প্রথম মামলা।

দুদক জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সোনাখালী আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ১২ জন শিক্ষকের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে জন প্রতি ২ লাখ টাকা করে মোট ১২টি ভোগ্যপণ্য ঋণ মঞ্জুর করে। পরবর্তীতে ১২ ঋণের বিপরীতে সর্বমোট ২৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। যা বর্তমান সুদাসলে ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৪৫২ টাকা। সরকারি কর্মচারী হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এসব অর্থ আত্মসাৎ করায় তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ২১ সফর ১৪৪৪

খুলনায় ইউরিয়া সার আত্মসাৎ

কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের হারুনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকারি গুদামের প্রায় ৮৩ লাখ টাকার ইউরিয়া সার আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের মো. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর (বর্তমানে খুলনা) উপ-পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। হারুন পটুয়াখালী বাফার গুদামের প্রাক্তন ডিপো ইনচার্জ ও উপ-ব্যবস্থাপক (ফয়ার অ্যান্ড সেফটি) থাকাকালে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন।

দুদক জানায়, ২০০৯ সালের ২৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পটুয়াখালী বাফার গুদামে ডিপো ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন হারুন। ওই সময় গুদামের স্টক রেজিস্টার অনুযায়ী মোট ৩ হাজার ৮৭১ মে. টন ইউরিয়া সার মজুত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ৩ হাজার ৫০৩ মে. টন পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৩৬৭ মে. টন সার আত্মসাৎ করে, যার আমদানি মূল্য ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৬ টাকা। তার বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষকের নামে ঋণ মঞ্জুর করে জালিয়াতির মাধ্যমে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের মোড়েলগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার সংস্থার উপপরিচালক মো. শাহরিয়ার জামিল বাদী হয়ে বাগেরহাট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলোÑ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) সাফিয়া বেগম, সৈয়দ শিয়ন সাইফ, অফিসার ক্যাশ (বরখাস্ত) ও একই এলাকার সোনাখালী আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মাসুদ। বাগেরহাটে দুদক কার্যালয় চালুর পর এটিই প্রথম মামলা।

দুদক জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সোনাখালী আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ১২ জন শিক্ষকের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে জন প্রতি ২ লাখ টাকা করে মোট ১২টি ভোগ্যপণ্য ঋণ মঞ্জুর করে। পরবর্তীতে ১২ ঋণের বিপরীতে সর্বমোট ২৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। যা বর্তমান সুদাসলে ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৪৫২ টাকা। সরকারি কর্মচারী হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এসব অর্থ আত্মসাৎ করায় তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।