ভোটের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে চট্টগ্রামের ডিসিকে

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের পর তার মোনাজাতে অংশ নিয়ে বক্তৃতা দেয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা গতকাল ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, কী ঘটেছিল তা তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে ডিসি “মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শীঘ্রই আপনারা জানতে পারবেন। উনাকে আমরা রাখব না, সরিয়ে দেব।”

তিনি বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া কঠিন। এজন্য তদন্ত হতে হবে। এটা লঘু শাস্তি নয়। এই মুহূর্তে করণীয় একটাই, তাকে সরিয়ে দেয়া। পরেরটা পরে দেখা যাবে। এখন কাজ হলো উনাকে সরিয়ে দিয়ে উপযুক্ত অন্য একজনকে নিয়োগ দেয়া।”

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সরকারদলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের একজন নেতা দলীয় প্রার্থীর জয় কামনা করে মোনাজাত ধরেন।

জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানও মোনাজাতে হাত তোলেন। মোনাজাত শেষে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বক্তৃতাও করেন। উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলাম। এখানে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেউ হঠাৎ মোনাজাত ধরলে তখন কিছু করার থাকে না।”

তবে সে সময় দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে তার ভাষ্য, “দুর্গাপূজা উপলক্ষে সম্প্রীতি সভায় আমি বক্তব্য দিয়েছি। সেখানে যে বক্তব্য তা বিকৃত করা হচ্ছে। অন্য বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এটা ডিসটর্ট করা হচ্ছে। আর কিছু বলতে চাই না।”

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৩ আশ্বিন ১৪২৯ ২১ সফর ১৪৪৪

ভোটের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে চট্টগ্রামের ডিসিকে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের পর তার মোনাজাতে অংশ নিয়ে বক্তৃতা দেয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা গতকাল ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, কী ঘটেছিল তা তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে ডিসি “মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শীঘ্রই আপনারা জানতে পারবেন। উনাকে আমরা রাখব না, সরিয়ে দেব।”

তিনি বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া কঠিন। এজন্য তদন্ত হতে হবে। এটা লঘু শাস্তি নয়। এই মুহূর্তে করণীয় একটাই, তাকে সরিয়ে দেয়া। পরেরটা পরে দেখা যাবে। এখন কাজ হলো উনাকে সরিয়ে দিয়ে উপযুক্ত অন্য একজনকে নিয়োগ দেয়া।”

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সরকারদলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের একজন নেতা দলীয় প্রার্থীর জয় কামনা করে মোনাজাত ধরেন।

জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানও মোনাজাতে হাত তোলেন। মোনাজাত শেষে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বক্তৃতাও করেন। উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলাম। এখানে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেউ হঠাৎ মোনাজাত ধরলে তখন কিছু করার থাকে না।”

তবে সে সময় দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে তার ভাষ্য, “দুর্গাপূজা উপলক্ষে সম্প্রীতি সভায় আমি বক্তব্য দিয়েছি। সেখানে যে বক্তব্য তা বিকৃত করা হচ্ছে। অন্য বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এটা ডিসটর্ট করা হচ্ছে। আর কিছু বলতে চাই না।”