চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে হালাল মাংসসহ ৪৩টি পণ্য ও খাতকে রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেয়া হ?বে। গত অর্থবছরের মতো এবারও ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত এই নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে বস্ত্রখাতের ৫টি উপ-খাতসহ ৪৩টি পণ্যে রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে। গতবার ৪২টি পণ্য এ সহায়তা পেয়েছিল।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরে ১০০ শতাংশ হালাল মাংসের সঙ্গে ১০০ শতাংশ হালাল উপায়ে প্রক্রিয়াকৃত মাংসজাত পণ্যে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হবে। সফটওয়্যার ও আইটিএস সেবা রপ্তানির বিপরীতে ব্যক্তি পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সাররা ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন। তবে বস্ত্রখাতে যুক্তরাজ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা প্রযোজ্য হবে না।

গত বছরের মতো চলতি অর্থবছরেও বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সংশ্লিষ্ট পণ্যখাতে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য থাকছে। নগদ সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে ঘোষিত নগদ সহায়তা রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করবে। এ প্রণোদনা ডলার সঙ্কট কাটাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি আসবে। এছাড়া, এর মাধ্যমে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।