বন্দরের লজিস্টিক খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা’ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বন্দরের লজিস্টিক খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা : ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যেকোন রাষ্ট্রের সক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বন্দরের লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার দক্ষতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর বিশ্বের ৬৪তম ব্যস্ত বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, কন্টেইনার হ্যান্ডিলিং বিবেচনায় দক্ষবন্দর ব্যবস্থাপনার অভাব, পোর্ট ইয়ার্ডের স্বল্পতা, পোর্ট শেড ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অনুপস্থিতি প্রভৃতির কারণে এশিয়ার সমুদ্রবন্দর সমূহের মধ্যে এ বন্দরের অবস্থান বেশ পেছনে। যেটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের সক্ষমতার নেতিবাচক দিককে তুলে ধরে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক সক্ষমতার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে পরিচালন ব্যয় উল্লেখজনক হারে হ্রাস করা সম্ভব।’
এছাড়াও মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বে-টার্মিনাল ও পতেঙ্গা টার্মিনালের কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং, জেটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেল পথের যোগাযোগ আরও উন্নয়নের প্রস্তাব করেন রিজওয়ান রাহমান।
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বন্দরের লজিস্টিক খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা’ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বন্দরের লজিস্টিক খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা : ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যেকোন রাষ্ট্রের সক্ষমতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বন্দরের লজিস্টিক ব্যবস্থাপনার দক্ষতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর বিশ্বের ৬৪তম ব্যস্ত বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, কন্টেইনার হ্যান্ডিলিং বিবেচনায় দক্ষবন্দর ব্যবস্থাপনার অভাব, পোর্ট ইয়ার্ডের স্বল্পতা, পোর্ট শেড ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অনুপস্থিতি প্রভৃতির কারণে এশিয়ার সমুদ্রবন্দর সমূহের মধ্যে এ বন্দরের অবস্থান বেশ পেছনে। যেটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের সক্ষমতার নেতিবাচক দিককে তুলে ধরে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক সক্ষমতার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে পরিচালন ব্যয় উল্লেখজনক হারে হ্রাস করা সম্ভব।’
এছাড়াও মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বে-টার্মিনাল ও পতেঙ্গা টার্মিনালের কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং, জেটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেল পথের যোগাযোগ আরও উন্নয়নের প্রস্তাব করেন রিজওয়ান রাহমান।