স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় হত্যাচেষ্টা : মামলা

রংপুরের বদরগঞ্জে ধর্ষণের মামলা থেকে রেহাই পেতে ধর্ষক কর্তৃক ধর্ষিতাকে বিয়ে করলেও দেয়া হয়নি স্ত্রীর মর্যাদা। বরং স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর এলাকার আফানের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ জুলাই মধুপুর ইউনিয়নের উত্তর বাওচ-ি এলাকার কাজীপাড়ার আজম আলীর মেয়ে নাজমুন নাহারকে ধর্ষণ করেন সন্তোষপুর এলাকার আফানের পাড়ার জয়নাল আবেদীনের ছেলে উজ্জ্বল সরকার। এ ঘটনায় গত ৫ জুলাই বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় নিশ্চিত শাস্তি জেনে উজ্জ্বল কৌশলে নাজমুনকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালের ৩ জুন সম্পাদিত ওই বিয়েতে দেনমোহর ঠিক হয় এক লাখ ৫০ হাজার ১০১ টাকা। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এরপর মামলা উঠে গেলেও স্ত্রীর মর্যাদা পাননি নাজমুন নাহার। এ অবস্থায় চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর সকালে নাজমুন নাহার স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে উজ্জ্বলের বাড়িতে অবস্থান নেন। এসময় উজ্জ্বলের হুকুমে পরিবারের সদস্যরা নাজমুন নাহারকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন এবং একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দিনভর আটকে রেখে দফায় দফায় পেটানো হয়। এমনকি তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে নাজমুন নাহারের মা-বাবা এলাকার লোকজনের সহায়তায় তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পর নাজমুন নাহার বাদী হয়ে উজ্জ্বল সরকারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন(মামলা নং-১০, তারিখ-১১/০৯/২০২২)। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নাজমুন নাহার ও তার পরিবার। এবিষয়ে জানতে বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, মামলার আইও এসআই আলতাফ হোসেন বিষয়টি ভাল জানেন। এদিকে এসআই আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামিরা গা ঢাকা দেয়ায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪

স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় হত্যাচেষ্টা : মামলা

প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জে ধর্ষণের মামলা থেকে রেহাই পেতে ধর্ষক কর্তৃক ধর্ষিতাকে বিয়ে করলেও দেয়া হয়নি স্ত্রীর মর্যাদা। বরং স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর এলাকার আফানের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ জুলাই মধুপুর ইউনিয়নের উত্তর বাওচ-ি এলাকার কাজীপাড়ার আজম আলীর মেয়ে নাজমুন নাহারকে ধর্ষণ করেন সন্তোষপুর এলাকার আফানের পাড়ার জয়নাল আবেদীনের ছেলে উজ্জ্বল সরকার। এ ঘটনায় গত ৫ জুলাই বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় নিশ্চিত শাস্তি জেনে উজ্জ্বল কৌশলে নাজমুনকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালের ৩ জুন সম্পাদিত ওই বিয়েতে দেনমোহর ঠিক হয় এক লাখ ৫০ হাজার ১০১ টাকা। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এরপর মামলা উঠে গেলেও স্ত্রীর মর্যাদা পাননি নাজমুন নাহার। এ অবস্থায় চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর সকালে নাজমুন নাহার স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে উজ্জ্বলের বাড়িতে অবস্থান নেন। এসময় উজ্জ্বলের হুকুমে পরিবারের সদস্যরা নাজমুন নাহারকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন এবং একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দিনভর আটকে রেখে দফায় দফায় পেটানো হয়। এমনকি তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে নাজমুন নাহারের মা-বাবা এলাকার লোকজনের সহায়তায় তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পর নাজমুন নাহার বাদী হয়ে উজ্জ্বল সরকারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন(মামলা নং-১০, তারিখ-১১/০৯/২০২২)। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নাজমুন নাহার ও তার পরিবার। এবিষয়ে জানতে বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, মামলার আইও এসআই আলতাফ হোসেন বিষয়টি ভাল জানেন। এদিকে এসআই আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামিরা গা ঢাকা দেয়ায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।