কিশোরগঞ্জ
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৩ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে। রোববার জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম আলম ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম বাছাইকাজ পরিচালনা করেন। বাছাইয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন রেনু, আওয়ামী লীগ কর্মি মো. আজিজুল হক ও ঠিকাদার মো. জুয়েলের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আশরাফ উদ্দিন রেনু তার এলএলবির সনদের মূল কপি দেখাতে না পারায়, আজিজুল হক মামলার তথ্য গোপন করায় এবং মো. জুয়েল জেলা পরিষদের ঠিকাদার হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া একজন সংরক্ষিত সদস্য পদের প্রার্থী এবং ৯ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন মামলার তথ্য গোপন করা, ঋণ খেলাপি হওয়ায় এবং জেলা পরিষদের ঠিকাদার হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। এখন চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী আছেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট হামিদুল আলম চৌধুরী নিউটন ও যুবলীগ নেতা আশিক জামান এলিন। আর সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী আছেন ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী আছেন ৪০ জন। তবে ২ নং সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন একমাত্র প্রার্থী ইয়াছমীন আক্তার। তার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। এবার জেলা পরিষদের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৫৫০ জন।
দিনাজপুরে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপীর অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল ইমাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়। তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক।
গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম প্রামাণিক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই পর্বে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সদর উপজেলার কর্মকর্তা জায়েদ ইবনে ফজল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) থেকে জানানো হয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল ইমাম চৌধুরী এবং সাধারণ সদস্য প্রার্থী কাহারোলের মোস্তফা হোসেন আলম এবং ঘোড়াঘাটের আব্দুর রহিম মিয়া ব্যাংক ঋণ খেলাপী রয়েছেন। সেই কারণে এই ২ সদস্য প্রার্থীরও মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
তিনি জানান, ১৩টি সাধারণ সদস্যের পদের বিপরীতে ৪৮ জন ও ৫ টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের বিপরীতে ১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৯ জন সাধারণ ও ২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নপত্র পূরণের কারনে সাধারণ সদস্য পদে বোচাগঞ্জের জুলফিকার আলী ভুট্টু, বিরলের মোশারফ হোসেন মানিক, সদরের ফয়সাল হাবীব সুমন ও আলী আজগর, পার্বতীপুরের নুরুজ্জামান নুর, ফুলবাড়ীর কামরুজ্জামান ও আবুল কাশেম এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (নবাবগঞ্জ-বিরামপুর-হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট) রাজিয়া সুলতানা ও (বীরগঞ্জ-কাহারোল-খানসামা) শাহানাজ পারভীনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
তিনি জানান, বাছাই শেষে জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারন সদস্য পদে ৩৯ জন, এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩ জনের প্রার্থিতা বহাল থাকল। জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার মোট ভোটার হচ্ছেন ১ হাজার ৪শ’৭৯ জন। সোনালী ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আজিজুল ইমাম চৌধুরীর নিজ নামে ৩৪ কোটি টাকার ওপরে ঋণ রয়েছে এবং তার স্ত্রী জিনাত আরা অটোরাইস মিলের নামে নেয়া সাড়ে ৭ কোটি টাকার ওপরে ঋণের জামিনদার (গ্রান্টার) হয়েছেনে তিনি। দুটি ঋণই খেলাপীতে পরিণত হয়েছে অনেক আগেই। এছাড়াও প্রাইম ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিঃ, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স লিঃ, ব্র্যাক ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক হতে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঋণ গ্রহণ করেছেন বলে ওই নির্ভরযোগ্য সূত্রটি জানিয়েছে।
এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আজিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের বাকী ২ জন এই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ওই সময়ে ব্যাংকে ঋণ খেলাপীর বিষয়টিও গোপন করেছিলেন তিনি।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম এবং এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ জেলা কমিটির দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা। যাদের মধ্যে একজন থাকবেন। তারা আরও জানিয়েছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর ঋণ খেলাপি রয়েছেন এটা তারা জানেন। পরে যা ইমাম চৌধুরী তাদের কাছে স্বীকার করেছিলেন, ‘তার ব্যাংকে সমস্যা আছে।’ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তারা।
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪
কিশোরগঞ্জ
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৩ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে। রোববার জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম আলম ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম বাছাইকাজ পরিচালনা করেন। বাছাইয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন রেনু, আওয়ামী লীগ কর্মি মো. আজিজুল হক ও ঠিকাদার মো. জুয়েলের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আশরাফ উদ্দিন রেনু তার এলএলবির সনদের মূল কপি দেখাতে না পারায়, আজিজুল হক মামলার তথ্য গোপন করায় এবং মো. জুয়েল জেলা পরিষদের ঠিকাদার হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া একজন সংরক্ষিত সদস্য পদের প্রার্থী এবং ৯ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন মামলার তথ্য গোপন করা, ঋণ খেলাপি হওয়ায় এবং জেলা পরিষদের ঠিকাদার হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। এখন চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী আছেন জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট হামিদুল আলম চৌধুরী নিউটন ও যুবলীগ নেতা আশিক জামান এলিন। আর সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী আছেন ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী আছেন ৪০ জন। তবে ২ নং সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন একমাত্র প্রার্থী ইয়াছমীন আক্তার। তার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। এবার জেলা পরিষদের ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৫৫০ জন।
দিনাজপুরে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর
দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপীর অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল ইমাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়। তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক।
গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম প্রামাণিক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই পর্বে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সদর উপজেলার কর্মকর্তা জায়েদ ইবনে ফজল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) থেকে জানানো হয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল ইমাম চৌধুরী এবং সাধারণ সদস্য প্রার্থী কাহারোলের মোস্তফা হোসেন আলম এবং ঘোড়াঘাটের আব্দুর রহিম মিয়া ব্যাংক ঋণ খেলাপী রয়েছেন। সেই কারণে এই ২ সদস্য প্রার্থীরও মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
তিনি জানান, ১৩টি সাধারণ সদস্যের পদের বিপরীতে ৪৮ জন ও ৫ টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের বিপরীতে ১৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৯ জন সাধারণ ও ২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নপত্র পূরণের কারনে সাধারণ সদস্য পদে বোচাগঞ্জের জুলফিকার আলী ভুট্টু, বিরলের মোশারফ হোসেন মানিক, সদরের ফয়সাল হাবীব সুমন ও আলী আজগর, পার্বতীপুরের নুরুজ্জামান নুর, ফুলবাড়ীর কামরুজ্জামান ও আবুল কাশেম এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (নবাবগঞ্জ-বিরামপুর-হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট) রাজিয়া সুলতানা ও (বীরগঞ্জ-কাহারোল-খানসামা) শাহানাজ পারভীনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
তিনি জানান, বাছাই শেষে জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারন সদস্য পদে ৩৯ জন, এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩ জনের প্রার্থিতা বহাল থাকল। জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার মোট ভোটার হচ্ছেন ১ হাজার ৪শ’৭৯ জন। সোনালী ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আজিজুল ইমাম চৌধুরীর নিজ নামে ৩৪ কোটি টাকার ওপরে ঋণ রয়েছে এবং তার স্ত্রী জিনাত আরা অটোরাইস মিলের নামে নেয়া সাড়ে ৭ কোটি টাকার ওপরে ঋণের জামিনদার (গ্রান্টার) হয়েছেনে তিনি। দুটি ঋণই খেলাপীতে পরিণত হয়েছে অনেক আগেই। এছাড়াও প্রাইম ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিঃ, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স লিঃ, ব্র্যাক ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক হতে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঋণ গ্রহণ করেছেন বলে ওই নির্ভরযোগ্য সূত্রটি জানিয়েছে।
এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আজিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের বাকী ২ জন এই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ওই সময়ে ব্যাংকে ঋণ খেলাপীর বিষয়টিও গোপন করেছিলেন তিনি।
তবে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলাম এবং এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ জেলা কমিটির দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা। যাদের মধ্যে একজন থাকবেন। তারা আরও জানিয়েছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর ঋণ খেলাপি রয়েছেন এটা তারা জানেন। পরে যা ইমাম চৌধুরী তাদের কাছে স্বীকার করেছিলেন, ‘তার ব্যাংকে সমস্যা আছে।’ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তারা।