চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পুনঃগঠনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছে নেতাকর্মীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টা থেকে এ অবরোধ শুরু করে তারা। অবরোধকারীদের বাধার মুখে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস। স্থগিত করা হয়েছে বিভিন্ন বিভাগের চলমান পরীক্ষাও। শাটল ট্রেন অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে ষোলশহর স্টেশন মাস্টার ফখরুল পারভেজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল সাড়ে ৭টার শাটল ট্রেনটি ষোলশহর স্টেশনে আসার পর অবরোধ করেছে। ৮টার শাটল ট্রেনটি ঝাউতলা স্টেশনে আসার পর আটকে দেয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রুটে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে শিক্ষকবাহী কোন বাস শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবহন দপ্তরের সহকারী রেজিস্টার মোহাম্মদ নূরুল আবছার। তিনি বলেন, ভোরে পরিবহন দপ্তরে তালা দিয়েছে কয়েকজন যুবক। এরপর থেকে পরিবহন দপ্তর থেকে কোন শিক্ষক বাস বের হতে পারেনি। অবরোধের কারণে আরবি ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আরবি বিভাগের পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে অফিস সহকারী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, আরবি বিভাগের ৪র্থ বর্ষ বি.এ. অনার্স পরীক্ষা কমিটির ২০২১-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. এস.এম. রফিকুল ইসলাম-এর আদেশক্রমে (৪০৪নং কোর্স) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, অবরোধকারীরা শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কার নেতাকর্মী। সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
এদিকে তাদের দাবি হল ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ। কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, দীর্ঘ ৩ বছর পর চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে নিষ্ক্রিয়, জামায়াত, বিএনপি পরিবারের ছেলেদের স্থান দিয়ে কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পুনঃবার পদমূল্যায়নের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো মানা হয়নি। তাই, আমরা ক্যাম্পাস অবরোধের ডাক দিতে বাধ্য হলাম।
এর আগে গত জুলাইয়ে ঘোষণা করে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে মোট সদস্য হবেন ১৫১ জন। তবে গঠনতন্ত্র ভেঙ্গে চার শতাধিক সদস্যের বিশাল কমিটি গঠন করা হলেও সন্তুষ্ট হননি নেতাকর্মীরা। কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপগুলো।
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পুনঃগঠনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছে নেতাকর্মীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টা থেকে এ অবরোধ শুরু করে তারা। অবরোধকারীদের বাধার মুখে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস। স্থগিত করা হয়েছে বিভিন্ন বিভাগের চলমান পরীক্ষাও। শাটল ট্রেন অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে ষোলশহর স্টেশন মাস্টার ফখরুল পারভেজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল সাড়ে ৭টার শাটল ট্রেনটি ষোলশহর স্টেশনে আসার পর অবরোধ করেছে। ৮টার শাটল ট্রেনটি ঝাউতলা স্টেশনে আসার পর আটকে দেয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রুটে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে শিক্ষকবাহী কোন বাস শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবহন দপ্তরের সহকারী রেজিস্টার মোহাম্মদ নূরুল আবছার। তিনি বলেন, ভোরে পরিবহন দপ্তরে তালা দিয়েছে কয়েকজন যুবক। এরপর থেকে পরিবহন দপ্তর থেকে কোন শিক্ষক বাস বের হতে পারেনি। অবরোধের কারণে আরবি ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আরবি বিভাগের পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে অফিস সহকারী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, আরবি বিভাগের ৪র্থ বর্ষ বি.এ. অনার্স পরীক্ষা কমিটির ২০২১-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. এস.এম. রফিকুল ইসলাম-এর আদেশক্রমে (৪০৪নং কোর্স) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, অবরোধকারীরা শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কার নেতাকর্মী। সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
এদিকে তাদের দাবি হল ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ। কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, দীর্ঘ ৩ বছর পর চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে নিষ্ক্রিয়, জামায়াত, বিএনপি পরিবারের ছেলেদের স্থান দিয়ে কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পুনঃবার পদমূল্যায়নের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো মানা হয়নি। তাই, আমরা ক্যাম্পাস অবরোধের ডাক দিতে বাধ্য হলাম।
এর আগে গত জুলাইয়ে ঘোষণা করে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে মোট সদস্য হবেন ১৫১ জন। তবে গঠনতন্ত্র ভেঙ্গে চার শতাধিক সদস্যের বিশাল কমিটি গঠন করা হলেও সন্তুষ্ট হননি নেতাকর্মীরা। কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপগুলো।