নতুন রাজা চার্লসকে স্বাগত জানালেন বিশ্ব নেতারা

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগের দিন লন্ডনে উপস্থিত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে মিলিত হলেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও কনসোর্ট ক্যামিলা। বিভিন্ন দেশের রাজ পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি মিলিয়ে প্রায় পাঁচশ অতিথি এদিন ব্রিটেনের নতুন রাজাকে স্বাগত জানান, মাতৃবিয়োগের জন্য জানান সমবেদনা। শোকের সময়ে পাশে থাকায় এবং সমব্যথী হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাজা চার্লস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা, নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভা-ারীসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে তিনি ঐতিহাসিক ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানান এবং রানীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খোলা শোক বইতে সই করেন। দীর্ঘ ৭০ বছর ব্রিটিশ সিংহাসনে আসীন থাকার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি ব্রিটেন ছাড়াও আরও ১৪টি রাষ্ট্রের প্রধান এবং বাংলাদেশসহ ৫৬ সদস্যের কমনওয়েলথের প্রধান ছিলেন।

রানীর মৃত্যুতে তার সম্মানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। রানীর আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা করা হয়।

বিয়োগান্তক এই আনুষ্ঠানিকতা আর শোকাবহ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি লন্ডন বিশ্ব নেতা ও রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে বড় সমাবেশও দেখতে যাচ্ছে। প্রধানত, রানিকে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, যে অনুষ্ঠানে বিশ্ব একসঙ্গে এমন এক নারীকে বিদায় জানাবে, বিশ্ব নেতা হিসেবে যিনি দীর্ঘ সময় ধরে স্বীকৃত ছিলেন।

“প্রত্যেকেই রানীর শেষকৃত্যে আসতে চান। কারণ, তিনি ছিলেন পরিবারের অন্যতম। এক ধরনের অনুভূতি আছে সবার, যে এটি একটি পারিবারিক শেষকৃত্য,” বলেছেন এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক।

আরেক কূটনীতিক বলেছেন, “এটি শতাব্দীর (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ) শেষকৃত্য। প্রত্যেক বিশ্ব নেতা এটি দেখতে এবং তাকেও যেন দেখা যায়, তা চাইবেন। যারা এখানে থাকবেন না বা যাদের দেখা যাবে না, তারা আমাদের সময়ের সেরা ফটো সেশনের সুযোগ হারাবেন।

বছরের পর বছর ধরে তিনি অনেকবারই বিভিন্ন সম্মেলন উপলক্ষে যুক্তরাজ্যে যাওয়া অতিথিদের ওপর রাজপরিবারের সদস্যদের প্রভাব দেখেছেন। রানির সঙ্গে ছবি তুলতে অনেককে হুড়োহুড়ি, ছোটাছুটিও করতে দেখা গেছে।

রানীর কাছাকাছি যেতে প্রধানমন্ত্রীদেরকে কার্যত একে অন্যকে কনুই দিয়ে গুঁতা মারতেও দেখার কথা জানিয়েছেন তিনি। “এই শেষকৃত্য বিশ্বের জন্য, এমনকী নেতাদের জন্যও বড় সুযোগ, একে অপরকে খুব কাছ থেকে দেখার”, বলেছেন লরা।

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪

নতুন রাজা চার্লসকে স্বাগত জানালেন বিশ্ব নেতারা

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগের দিন লন্ডনে উপস্থিত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে মিলিত হলেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও কনসোর্ট ক্যামিলা। বিভিন্ন দেশের রাজ পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি মিলিয়ে প্রায় পাঁচশ অতিথি এদিন ব্রিটেনের নতুন রাজাকে স্বাগত জানান, মাতৃবিয়োগের জন্য জানান সমবেদনা। শোকের সময়ে পাশে থাকায় এবং সমব্যথী হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাজা চার্লস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা, নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভা-ারীসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে তিনি ঐতিহাসিক ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানান এবং রানীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খোলা শোক বইতে সই করেন। দীর্ঘ ৭০ বছর ব্রিটিশ সিংহাসনে আসীন থাকার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি ব্রিটেন ছাড়াও আরও ১৪টি রাষ্ট্রের প্রধান এবং বাংলাদেশসহ ৫৬ সদস্যের কমনওয়েলথের প্রধান ছিলেন।

রানীর মৃত্যুতে তার সম্মানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। রানীর আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা করা হয়।

বিয়োগান্তক এই আনুষ্ঠানিকতা আর শোকাবহ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি লন্ডন বিশ্ব নেতা ও রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে বড় সমাবেশও দেখতে যাচ্ছে। প্রধানত, রানিকে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, যে অনুষ্ঠানে বিশ্ব একসঙ্গে এমন এক নারীকে বিদায় জানাবে, বিশ্ব নেতা হিসেবে যিনি দীর্ঘ সময় ধরে স্বীকৃত ছিলেন।

“প্রত্যেকেই রানীর শেষকৃত্যে আসতে চান। কারণ, তিনি ছিলেন পরিবারের অন্যতম। এক ধরনের অনুভূতি আছে সবার, যে এটি একটি পারিবারিক শেষকৃত্য,” বলেছেন এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক।

আরেক কূটনীতিক বলেছেন, “এটি শতাব্দীর (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ) শেষকৃত্য। প্রত্যেক বিশ্ব নেতা এটি দেখতে এবং তাকেও যেন দেখা যায়, তা চাইবেন। যারা এখানে থাকবেন না বা যাদের দেখা যাবে না, তারা আমাদের সময়ের সেরা ফটো সেশনের সুযোগ হারাবেন।

বছরের পর বছর ধরে তিনি অনেকবারই বিভিন্ন সম্মেলন উপলক্ষে যুক্তরাজ্যে যাওয়া অতিথিদের ওপর রাজপরিবারের সদস্যদের প্রভাব দেখেছেন। রানির সঙ্গে ছবি তুলতে অনেককে হুড়োহুড়ি, ছোটাছুটিও করতে দেখা গেছে।

রানীর কাছাকাছি যেতে প্রধানমন্ত্রীদেরকে কার্যত একে অন্যকে কনুই দিয়ে গুঁতা মারতেও দেখার কথা জানিয়েছেন তিনি। “এই শেষকৃত্য বিশ্বের জন্য, এমনকী নেতাদের জন্যও বড় সুযোগ, একে অপরকে খুব কাছ থেকে দেখার”, বলেছেন লরা।