রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চলবে : জেলেনস্কি

রাশিয়ার কাছে হারানো ভূখ- পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পিছু হটবে না কিয়েভ। ইউক্রেন যুদ্ধে বিপর্যয়ের ফলে দেশটির বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনীÑ এমনটাই দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

এক মার্কিন শীর্ষ জেনারেল সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে বিপত্তিতে মস্কো কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের কারণে সম্প্রতি যুদ্ধের ময়দানে বিপর্যস্ত রাশিয়া। ইজিউমসহ ৬ হাজারের বেশি কিলোমিটার ভূখ- পুনরুদ্ধার করেছে কিয়েভ।

ভার্চুয়ালি ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপ অব্যাহত রাখবে। আপনাদের কারও কাছে মনে হতে পারে, ধারাবাহিক জয়ে আমারা থেমে গেছি। কিন্তু এটি আমাদের নীরবতা নয়। বরং পরবর্তী অভিযানের জন্য প্রস্তুতি... কারণ পুরো ইউক্রেনকে অবশ্যই শত্রুমুক্ত করতে হবে।’

এদিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডি আর কঙ্গো) জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ছেড়ে দেশে ফিরেছেন ইউক্রেনের ২৫০ সেনা। মার্চে ইউক্রেনের এই বিমান শাখা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এতে জাতিসংঘের ওই মিশনে মারাত্মক হেলিকপ্টার স্বল্পতা দেখা দিতে পারে বলে কূটনীতিকেরা সতর্ক করেছিলেন।

ডি আর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় ঘন অরণ্যে থাকা বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসব হেলিকপ্টার গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে জাতিসংঘ বহরের এক-তৃতীয়াংশই আটটি ইউক্রেনীয় হেলিকপ্টার দিয়ে গঠিত।

ইউক্রেনীয় সেনাদের মিশন ছেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ব্রাজিলিয়ান কমান্ডার জেনারেল মারকোস দা কস্তা বলেন, তাদের ১০ বছরের অসামান্য অবদান ‘ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে’।

এমনিতেই ডি আর কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশন মোনুস্কো চাপের মধ্যে রয়েছে। পূর্বাঞ্চলে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার জন্য এই মিশন ব্যাপকভাবে সমালোচিত। এই অঞ্চলে বহু বিদ্রোহী গোষ্ঠী তিন দশক ধরে সক্রিয়। তারা খুন, ধর্ষণ, স্বর্ণ, হীরাসহ ওই অঞ্চলের খনিজসম্পদ লুটপাটে জড়িত।

গত জুলাইতে ডি আর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে জাতিসংঘের ভবনগুলোতে ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা। ওই সহিংস ঘটনায় চার শান্তিরক্ষীসহ ৩৪ জন নিহত হন। দেশটিতে ২২ বছর ধরে চলা মিশনটি বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কবেনাগাদ এর কার্যক্রম শেষ হবে, সেই তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। জাতিসংঘের ১২টি শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যে এই মিশন অন্যতম বৃহৎ ও ব্যয়বহুল।

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চলবে : জেলেনস্কি

রাশিয়ার কাছে হারানো ভূখ- পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পিছু হটবে না কিয়েভ। ইউক্রেন যুদ্ধে বিপর্যয়ের ফলে দেশটির বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনীÑ এমনটাই দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

এক মার্কিন শীর্ষ জেনারেল সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে বিপত্তিতে মস্কো কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের কারণে সম্প্রতি যুদ্ধের ময়দানে বিপর্যস্ত রাশিয়া। ইজিউমসহ ৬ হাজারের বেশি কিলোমিটার ভূখ- পুনরুদ্ধার করেছে কিয়েভ।

ভার্চুয়ালি ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপ অব্যাহত রাখবে। আপনাদের কারও কাছে মনে হতে পারে, ধারাবাহিক জয়ে আমারা থেমে গেছি। কিন্তু এটি আমাদের নীরবতা নয়। বরং পরবর্তী অভিযানের জন্য প্রস্তুতি... কারণ পুরো ইউক্রেনকে অবশ্যই শত্রুমুক্ত করতে হবে।’

এদিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডি আর কঙ্গো) জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ছেড়ে দেশে ফিরেছেন ইউক্রেনের ২৫০ সেনা। মার্চে ইউক্রেনের এই বিমান শাখা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এতে জাতিসংঘের ওই মিশনে মারাত্মক হেলিকপ্টার স্বল্পতা দেখা দিতে পারে বলে কূটনীতিকেরা সতর্ক করেছিলেন।

ডি আর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় ঘন অরণ্যে থাকা বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসব হেলিকপ্টার গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে জাতিসংঘ বহরের এক-তৃতীয়াংশই আটটি ইউক্রেনীয় হেলিকপ্টার দিয়ে গঠিত।

ইউক্রেনীয় সেনাদের মিশন ছেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ব্রাজিলিয়ান কমান্ডার জেনারেল মারকোস দা কস্তা বলেন, তাদের ১০ বছরের অসামান্য অবদান ‘ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে’।

এমনিতেই ডি আর কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশন মোনুস্কো চাপের মধ্যে রয়েছে। পূর্বাঞ্চলে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার জন্য এই মিশন ব্যাপকভাবে সমালোচিত। এই অঞ্চলে বহু বিদ্রোহী গোষ্ঠী তিন দশক ধরে সক্রিয়। তারা খুন, ধর্ষণ, স্বর্ণ, হীরাসহ ওই অঞ্চলের খনিজসম্পদ লুটপাটে জড়িত।

গত জুলাইতে ডি আর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে জাতিসংঘের ভবনগুলোতে ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা। ওই সহিংস ঘটনায় চার শান্তিরক্ষীসহ ৩৪ জন নিহত হন। দেশটিতে ২২ বছর ধরে চলা মিশনটি বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কবেনাগাদ এর কার্যক্রম শেষ হবে, সেই তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। জাতিসংঘের ১২টি শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যে এই মিশন অন্যতম বৃহৎ ও ব্যয়বহুল।