আর্মেনিয়া সফরে পেলোসি

সংঘর্ষের জন্য আজারবাইজানকে দোষারোপ

সীমান্ত নিয়ে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সেনাদের সংঘর্ষের মাঝেই আর্মেনিয়া সফরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিন দিনের সফরে মার্কিন স্পিকার গেছেন দেশটিতে। শুধু তাই নয়, এ সংঘর্ষের জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করেছেন তিনি।

দেশটি সফরে গিয়ে ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘আর্মেনিয়ার সীমান্তে আজারবাইজান অবৈধ ও অন্যায়ভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে।’ তবে পেলোসির এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আজারবাইজান। তারা বলছে, মার্কিন স্পিকার যে মন্তব্য করেছেন তা ভিত্তিহীন এবং এর প্রমাণ নেই। তিনি একতরফা অভিযোগ শুনে এমন মন্তব্য করেছেন। দেশ দুটির মধ্যে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য তার এ বক্তব্য গুরুতর আঘাত বলেও মনে করছে আজারবাইজান।

১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম কোনো শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা আর্মেনিয়া সফর করছেন। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও)-এর একটি প্রতিনিধিদল ইয়েরেভানে পৌঁছেছে। আর্মেনিয়া এটির সদস্য হলেও আজারবাইজান নয়। সে হিসাবে আর্মেনিয়াকে সামরিকভাবে সাহায্য করার কথা রাশিয়ার। কিন্তু রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে আর্মেনিয়া অসন্তুষ্ট, তা এখন স্পষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আর্মেনিয়ায় পেলোসির সফর কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে চলে দু’পক্ষের তুমুল লড়াই। ইয়েরেভান ও বাকু এই সংঘাতের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। গত দুই বছর ধরে দ্বন্দ্বে লিপ্ত দেশ দুটির সেনাবাহিনী। ককেশাসের প্রতিবেশি দেশ দুটির যুদ্ধ শুরু হয় ২০২০ সালে। এর আগে ৯০ এর দশকে যুদ্ধে জড়ায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।

দেশ দুটির মধ্যে দ্বন্দ্ব মূলত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলকে ঘিরে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমানা অনুযায়ী নাগোর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ। তবে সেখানকার বাসিন্দারা জাতিগতভাবে আর্মেনীয়।

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪

আর্মেনিয়া সফরে পেলোসি

সংঘর্ষের জন্য আজারবাইজানকে দোষারোপ

image

সীমান্ত নিয়ে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সেনাদের সংঘর্ষের মাঝেই আর্মেনিয়া সফরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিন দিনের সফরে মার্কিন স্পিকার গেছেন দেশটিতে। শুধু তাই নয়, এ সংঘর্ষের জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করেছেন তিনি।

দেশটি সফরে গিয়ে ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘আর্মেনিয়ার সীমান্তে আজারবাইজান অবৈধ ও অন্যায়ভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে।’ তবে পেলোসির এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আজারবাইজান। তারা বলছে, মার্কিন স্পিকার যে মন্তব্য করেছেন তা ভিত্তিহীন এবং এর প্রমাণ নেই। তিনি একতরফা অভিযোগ শুনে এমন মন্তব্য করেছেন। দেশ দুটির মধ্যে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য তার এ বক্তব্য গুরুতর আঘাত বলেও মনে করছে আজারবাইজান।

১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম কোনো শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা আর্মেনিয়া সফর করছেন। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও)-এর একটি প্রতিনিধিদল ইয়েরেভানে পৌঁছেছে। আর্মেনিয়া এটির সদস্য হলেও আজারবাইজান নয়। সে হিসাবে আর্মেনিয়াকে সামরিকভাবে সাহায্য করার কথা রাশিয়ার। কিন্তু রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে আর্মেনিয়া অসন্তুষ্ট, তা এখন স্পষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আর্মেনিয়ায় পেলোসির সফর কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে চলে দু’পক্ষের তুমুল লড়াই। ইয়েরেভান ও বাকু এই সংঘাতের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। গত দুই বছর ধরে দ্বন্দ্বে লিপ্ত দেশ দুটির সেনাবাহিনী। ককেশাসের প্রতিবেশি দেশ দুটির যুদ্ধ শুরু হয় ২০২০ সালে। এর আগে ৯০ এর দশকে যুদ্ধে জড়ায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।

দেশ দুটির মধ্যে দ্বন্দ্ব মূলত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলকে ঘিরে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমানা অনুযায়ী নাগোর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ। তবে সেখানকার বাসিন্দারা জাতিগতভাবে আর্মেনীয়।