রানীর শেষকৃত্য, বিশ্ব নেতাদের শ্রদ্ধা

যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে উইন্ডসর ক্যাসেলে স্বামী ফিলিপের সমাধির পাশে সমাহিত করার কথা। ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডে নিজের দুর্গ বালমোরালে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান ৭০ বছর ধরে সিংহাসনে থাকা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

ব্যাপক ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রয়াত রানীকে শেষ বিদায় জানানো হয়। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

রানীর স্মরণে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের বাইরে ঘণ্টাধ্বনি হয়। তার আয়ুষ্কালের ৯৬ বছরকে স্মরণ করার জন্য যতক্ষণ শেষকৃত্য চলে, প্রতি বছরের জন্য প্রতি মিনিটে একবার করে এই ঘণ্টা বাজানো হয়।

এরইমধ্যে রানীর কফিন নিয়ে শোভাযাত্রা ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। গান ক্যারিজ থেকে কফিন তুলে নিয়ে রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যের জন্য ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভেতরে নেয়ার পর কফিনটি উঁচু বেদির সামনে একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর রাখা হবে।

ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের গির্জায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের পর ৪৫ মিনিটের যাত্রা শেষে ওয়েলিংটন আর্চে পৌঁছে ব্রিটিশ রানীর শোভাযাত্রা।

স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টার দিকে দিনের প্রথম শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শুরু করেন গ্যারিসন সার্জেন্ট মেজর অ্যান্ড্রু স্ট্রোক। শোভাযাত্রা দেখার জন্য উইন্ডসরে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন।

৫০০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান এবং বিদেশি নেতারা এই আয়োজনে যোগ দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এজন্য গত রোববার লন্ডন পৌঁছেন। তিনি শোক বইতে স্বাক্ষর করেছেন এবং ওয়েস্টমিনস্টার হলে শায়িত রানীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। ভারতের পক্ষে অংশ নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দৌপদি মুর্মু। চীনের পক্ষ থেকে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াঙ কাইশান।

কয়েকদিন ধরে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে শায়িত থাকার পর স্থানীয় সময় গতকাল ভোর থেকে রানীকে চিরবিদায় দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা এতে অংশ নেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাজপরিবারের সদস্য, যুক্তরাজ্যের সাবেক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীরাও এতে অংশ নেন।

ইউরোপের প্রায় সবকটি রাজপরিবারের সদস্যরা রানীকে শেষ বিদায় জানান। তাদের অনেকেই রানীর রক্তের সম্পর্কে আত্মীয়। বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, রানী মাথিল্ড এবং স্পেনের রাজা ফেলিপে, রানী লেতিতিয়াও রানীকে শেষ বিদায় জানান।

image

শেষকৃত্যে নেয়ার সময় সড়কে রানীর কফিন

আরও খবর
রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী
গজারিয়ায় সৌরবিদ্যুৎ, ইইউর অর্থায়নের সম্ভাবনা
ফের লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
মাগুরায় পাচারের সময় বিরল প্রজাতির হনুমান উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
শাবিপ্রবিতে ডিউটিতে না থেকেও পরীক্ষার উত্তরপত্রে তিন শিক্ষকের স্বাক্ষর!
করোনা : একদিনে শনাক্ত ৬০০ ছাড়ালো এক সপ্তাহে শনাক্ত বাড়লো ২৮.৩ শতাংশ
ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৩৯২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে
উড়োজাহাজ লিজ দুর্নীতি : বিমানের ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নিচ্ছে আজ
কারাগারে নড়াইলের আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল!
একই জমিতে আবাদ হবে অন্য ফসলও

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪

রানীর শেষকৃত্য, বিশ্ব নেতাদের শ্রদ্ধা

সংবাদ ডেস্ক

image

শেষকৃত্যে নেয়ার সময় সড়কে রানীর কফিন

যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে উইন্ডসর ক্যাসেলে স্বামী ফিলিপের সমাধির পাশে সমাহিত করার কথা। ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডে নিজের দুর্গ বালমোরালে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান ৭০ বছর ধরে সিংহাসনে থাকা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

ব্যাপক ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রয়াত রানীকে শেষ বিদায় জানানো হয়। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

রানীর স্মরণে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের বাইরে ঘণ্টাধ্বনি হয়। তার আয়ুষ্কালের ৯৬ বছরকে স্মরণ করার জন্য যতক্ষণ শেষকৃত্য চলে, প্রতি বছরের জন্য প্রতি মিনিটে একবার করে এই ঘণ্টা বাজানো হয়।

এরইমধ্যে রানীর কফিন নিয়ে শোভাযাত্রা ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। গান ক্যারিজ থেকে কফিন তুলে নিয়ে রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যের জন্য ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভেতরে নেয়ার পর কফিনটি উঁচু বেদির সামনে একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর রাখা হবে।

ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের গির্জায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের পর ৪৫ মিনিটের যাত্রা শেষে ওয়েলিংটন আর্চে পৌঁছে ব্রিটিশ রানীর শোভাযাত্রা।

স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টার দিকে দিনের প্রথম শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শুরু করেন গ্যারিসন সার্জেন্ট মেজর অ্যান্ড্রু স্ট্রোক। শোভাযাত্রা দেখার জন্য উইন্ডসরে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন।

৫০০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান এবং বিদেশি নেতারা এই আয়োজনে যোগ দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এজন্য গত রোববার লন্ডন পৌঁছেন। তিনি শোক বইতে স্বাক্ষর করেছেন এবং ওয়েস্টমিনস্টার হলে শায়িত রানীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। ভারতের পক্ষে অংশ নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দৌপদি মুর্মু। চীনের পক্ষ থেকে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াঙ কাইশান।

কয়েকদিন ধরে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে শায়িত থাকার পর স্থানীয় সময় গতকাল ভোর থেকে রানীকে চিরবিদায় দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা এতে অংশ নেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাজপরিবারের সদস্য, যুক্তরাজ্যের সাবেক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীরাও এতে অংশ নেন।

ইউরোপের প্রায় সবকটি রাজপরিবারের সদস্যরা রানীকে শেষ বিদায় জানান। তাদের অনেকেই রানীর রক্তের সম্পর্কে আত্মীয়। বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, রানী মাথিল্ড এবং স্পেনের রাজা ফেলিপে, রানী লেতিতিয়াও রানীকে শেষ বিদায় জানান।