দিনাজপুরে আগাম জাতের ধান

একই জমিতে আবাদ হবে অন্য ফসলও

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার রামপুর গ্রামের কৃষক শওকত আলীর রোপা আমন ধানের জমিতে আগাম জাতের আমন ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। তিনি দেড় একর জমিতে আগাম জাতের হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এসিআই এর হাইব্রিড-১ জাতের ধান আবাদ করে হেক্টর প্রতি ৫ টন ফলন পেয়েছেন। ধান কাটার পর ওই জমিতে তিনি আগাম আলু ফসল করবেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, জেলার কাহারোল, বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলায় অনেক কৃষক ব্রি ধান ৭৫ ও এসিআই এর হাইব্রিড-১ জাতের ধান চাষ করেছেন। ওই এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে প্রচুর পরিমাণে সবজির চাষ করে এজন্য তারা আগাম ধানের জাতগুলো আবাদ করে। সেখানকার মাটি দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ হওয়ার কারণে ফলনও ভালো হয়। নদী থাকার পরও বন্যামুক্ত এলাকা হওয়ায় কৃষক আগাম ফসল হিসেবে আলু, ভুট্টা, সরিষা, রবি সবজি যেমন : ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, বেগুন এসব সবজির চাষ করে। এজন্য আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘এই ধানের জাতের সুবিধা হলো ১০০ দিনের মধ্যেই কৃষক কাটতে পারে। এছাড়া ধানটিতে সার কম লাগে, একটু আগাম হয়, খরচও একটু কম লাগে। এই জাতের ধানটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো; ফলন বেশি আর কৃষক ক্ষেত থেকে আগেই কেটে আনার কারণে আরেকটি আগাম ফসল করতে পারে।’

ধানটি আগাম কাটার ফলে কৃষকরা অনেক সুবিধা পাবেন বলের জানান তিনি। তিনি বলেন,‘এই জাতের ধানের আবাদের ফলে কৃষক খড়টা আগাম বিক্রি করতে পারবে। এ সময়টাতে গবদি পশুর জন্য খড়ের খুব সংকট হয়। কৃষক কাচা খড়গুলো প্রতিটি আটি ৫-৭ টাকায় বিক্রি করতে পারে। এর ফলে, কৃষক চাইলেই একর প্রতি ৭-৮ হাজার টাকার খড় বিক্রি করতে পারে।’

‘যে সময় কৃষক ধানটি ঘরে তোলে সে সময় ধানের দাম বেশি। অন্যদিকে ধানটি আগাম আসায় কৃষক অন্য ফসলও চাষ করতে পারছে। এরফলে; আগাম আলু, অন্য কোন সবজি সেখান থেকে একজন কৃষক ভালো লাভ করতে পারে। চাইলে কৃষক ওই জমিতে চার ফসলও করতে পারে’ বলেও জানান।

এখন যদি কোন কৃষক ধান কাটতে পারে তবে দুইবার আলুর চাষ করেও বোরোর মৌসুমে ধানের চাষ করতে পারবে বলে জানান এসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এফ এইচ আনসারী। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ আমাদের এই ভ্যারাইটিটা বোরোতে হলে আরও বেশি ফলন হইতো তবে আউস মৌসুমে ৫ টনের ফলন কমনা, অনেক ভালো। কারণ এ মৌসুমে সাড়ে তিন টন হিসাব করা হয়।’

image
আরও খবর
রানীর শেষকৃত্য, বিশ্ব নেতাদের শ্রদ্ধা
রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী
গজারিয়ায় সৌরবিদ্যুৎ, ইইউর অর্থায়নের সম্ভাবনা
ফের লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
মাগুরায় পাচারের সময় বিরল প্রজাতির হনুমান উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
শাবিপ্রবিতে ডিউটিতে না থেকেও পরীক্ষার উত্তরপত্রে তিন শিক্ষকের স্বাক্ষর!
করোনা : একদিনে শনাক্ত ৬০০ ছাড়ালো এক সপ্তাহে শনাক্ত বাড়লো ২৮.৩ শতাংশ
ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৩৯২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে
উড়োজাহাজ লিজ দুর্নীতি : বিমানের ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নিচ্ছে আজ
কারাগারে নড়াইলের আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল!

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৪ আশ্বিন ১৪২৯ ২২ সফর ১৪৪৪

দিনাজপুরে আগাম জাতের ধান

একই জমিতে আবাদ হবে অন্য ফসলও

শাফিউল ইমরান

image

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার রামপুর গ্রামের কৃষক শওকত আলীর রোপা আমন ধানের জমিতে আগাম জাতের আমন ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। তিনি দেড় একর জমিতে আগাম জাতের হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এসিআই এর হাইব্রিড-১ জাতের ধান আবাদ করে হেক্টর প্রতি ৫ টন ফলন পেয়েছেন। ধান কাটার পর ওই জমিতে তিনি আগাম আলু ফসল করবেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, জেলার কাহারোল, বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলায় অনেক কৃষক ব্রি ধান ৭৫ ও এসিআই এর হাইব্রিড-১ জাতের ধান চাষ করেছেন। ওই এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে প্রচুর পরিমাণে সবজির চাষ করে এজন্য তারা আগাম ধানের জাতগুলো আবাদ করে। সেখানকার মাটি দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ হওয়ার কারণে ফলনও ভালো হয়। নদী থাকার পরও বন্যামুক্ত এলাকা হওয়ায় কৃষক আগাম ফসল হিসেবে আলু, ভুট্টা, সরিষা, রবি সবজি যেমন : ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, বেগুন এসব সবজির চাষ করে। এজন্য আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘এই ধানের জাতের সুবিধা হলো ১০০ দিনের মধ্যেই কৃষক কাটতে পারে। এছাড়া ধানটিতে সার কম লাগে, একটু আগাম হয়, খরচও একটু কম লাগে। এই জাতের ধানটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো; ফলন বেশি আর কৃষক ক্ষেত থেকে আগেই কেটে আনার কারণে আরেকটি আগাম ফসল করতে পারে।’

ধানটি আগাম কাটার ফলে কৃষকরা অনেক সুবিধা পাবেন বলের জানান তিনি। তিনি বলেন,‘এই জাতের ধানের আবাদের ফলে কৃষক খড়টা আগাম বিক্রি করতে পারবে। এ সময়টাতে গবদি পশুর জন্য খড়ের খুব সংকট হয়। কৃষক কাচা খড়গুলো প্রতিটি আটি ৫-৭ টাকায় বিক্রি করতে পারে। এর ফলে, কৃষক চাইলেই একর প্রতি ৭-৮ হাজার টাকার খড় বিক্রি করতে পারে।’

‘যে সময় কৃষক ধানটি ঘরে তোলে সে সময় ধানের দাম বেশি। অন্যদিকে ধানটি আগাম আসায় কৃষক অন্য ফসলও চাষ করতে পারছে। এরফলে; আগাম আলু, অন্য কোন সবজি সেখান থেকে একজন কৃষক ভালো লাভ করতে পারে। চাইলে কৃষক ওই জমিতে চার ফসলও করতে পারে’ বলেও জানান।

এখন যদি কোন কৃষক ধান কাটতে পারে তবে দুইবার আলুর চাষ করেও বোরোর মৌসুমে ধানের চাষ করতে পারবে বলে জানান এসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এফ এইচ আনসারী। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ আমাদের এই ভ্যারাইটিটা বোরোতে হলে আরও বেশি ফলন হইতো তবে আউস মৌসুমে ৫ টনের ফলন কমনা, অনেক ভালো। কারণ এ মৌসুমে সাড়ে তিন টন হিসাব করা হয়।’