সেচ বোরিং লাইসেন্স পেতে পদে পদে ভোগান্তি কৃষকদের

গাইবান্ধার ,সুন্দরগঞ্জে সেচ বোরিং লাইসেন্স প্রাদানে ধাপে ধাপে কৃষকদের ভোগান্তি। কৃষি মন্ত্রানলয়ের নীতিমালা অনুযায়ী সেচকাজ করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সেচ শাখা থেকে বোরিং লাইসেন্স গ্রহন করে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ নিয়ে সেচ মোটর দিয়ে জমিতে পানি সেচ দিতে হয়। সেচ বোরিং লাইসেন্স নিতে ধাপে ধাপে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের। সেচ বোরিং রাইসেন্সের আবেদন করলে বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয় । কখন ইউনিয়ন সহকারী ভৃমি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা , উপজেলা সেচ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ও সদস্যসচিব সহকারি প্রকৌশলী। তদন্ত কর্মকর্তারা মাঠে আসলে অনেক কর্তাকে তেল খরচ নামক নিয়ামক হাতে ধরে দিতে হয়। কোন কোন কর্মকর্তাকে মোটা অংকের অর্থ দিলে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সেচ লাইসেন্স দিয়ে থাকে । কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩১-১২-১৯৮৭ ইং সালের গেজেটে দেখা যায় একটি অগভির নলকুপ থেকে আরেকটি নলকুপের দুরত্ব ৮শ ফুটের বেশি। একটি গভির নলকুপের দুরত্ব (বড়) ১ হাজার ৬শ ২০ ফুট থেকে ১ হাজার ১শ ৪০ ফুট ।

উপজেলার খামার ধুপনী গ্রামের মৃত হরলাল সরকারের পুত্র মিষ্টি ভুষন ও মৃত বাছরত আলীর পুত্র রাশেদুল ইসলামের অগভির নলকুপ থেকে ৫শ ফুট দুরত্বে ঐ গ্রামের মৃত ফনি ভুষনের পুত্র হিমাংশু কুমারের নামে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি সেচ লাইসেন্স দিলে লাইসেন্সটি বাতিল চেয়ে মিষ্টি ভুষন ও রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারি জজ আদালত সুন্দরগঞ্জ,গাইবান্ধায়, হিমাংশু ও সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ৭জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার নং-৬৪/২০২২। আদালতে মোকদ্দমা করার পর কর্তৃপক্ষের টনক নরেনি।

নিয়মানুযায়ী প্রকৌশলী দ্বারা তদন্ত করে লাইসেন্স দেয়ার কথা। সম্প্রতি সময়ে উপজেলায় সেচ লাইসেন্সের তদন্তের দায়িত্বে ১জন আফিস সহকারী। গত আগষ্ট মাসে ১৫০টি সেচ আবেদনের তদন্ত করে লাইসেন্স প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। যাহা এখনো জন সম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি ।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, দুলাল গ্রামের মছির উদ্দিনের পুত্র মুসলিম আলীর নামে সেচ লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে সেচ বোরিং এর জমি থেকে উত্তরে ময়েসের সেচ বোরিং ,পশ্চিমে সামাদের ,দক্ষিনে আব্দুর রহমানের ,পুর্বদিকে বাদশার বোরিং থাকলেও অবৈধভাবে একটি লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে । এ ছাড়াও উপজেলায় অনেক এলাকায় অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে নিরপেক্ষ তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সুধীমহল।

এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী আরমান বাদশার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি তদন্তের দায়িত্বে নেই।সহকারি প্রকৌশলী ও সদস্য সচিব আফিদ কামরুল আশরাফির নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ৮শ ২০ ফুট, ১১শ ৪০ ফুট দুরত্বে শ্রেণীভেদে লাইসেন্স দেয়ার নিয়ম এর ব্যতিক্রম করা হয়নি । চুড়ান্ত তালিকার আগে প্রয়োজনে আবারও তদন্ত করা হবে ।

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৫ আশ্বিন ১৪২৯ ২৩ সফর ১৪৪৪

সেচ বোরিং লাইসেন্স পেতে পদে পদে ভোগান্তি কৃষকদের

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

গাইবান্ধার ,সুন্দরগঞ্জে সেচ বোরিং লাইসেন্স প্রাদানে ধাপে ধাপে কৃষকদের ভোগান্তি। কৃষি মন্ত্রানলয়ের নীতিমালা অনুযায়ী সেচকাজ করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সেচ শাখা থেকে বোরিং লাইসেন্স গ্রহন করে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ নিয়ে সেচ মোটর দিয়ে জমিতে পানি সেচ দিতে হয়। সেচ বোরিং লাইসেন্স নিতে ধাপে ধাপে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের। সেচ বোরিং রাইসেন্সের আবেদন করলে বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয় । কখন ইউনিয়ন সহকারী ভৃমি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা , উপজেলা সেচ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ও সদস্যসচিব সহকারি প্রকৌশলী। তদন্ত কর্মকর্তারা মাঠে আসলে অনেক কর্তাকে তেল খরচ নামক নিয়ামক হাতে ধরে দিতে হয়। কোন কোন কর্মকর্তাকে মোটা অংকের অর্থ দিলে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সেচ লাইসেন্স দিয়ে থাকে । কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩১-১২-১৯৮৭ ইং সালের গেজেটে দেখা যায় একটি অগভির নলকুপ থেকে আরেকটি নলকুপের দুরত্ব ৮শ ফুটের বেশি। একটি গভির নলকুপের দুরত্ব (বড়) ১ হাজার ৬শ ২০ ফুট থেকে ১ হাজার ১শ ৪০ ফুট ।

উপজেলার খামার ধুপনী গ্রামের মৃত হরলাল সরকারের পুত্র মিষ্টি ভুষন ও মৃত বাছরত আলীর পুত্র রাশেদুল ইসলামের অগভির নলকুপ থেকে ৫শ ফুট দুরত্বে ঐ গ্রামের মৃত ফনি ভুষনের পুত্র হিমাংশু কুমারের নামে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি সেচ লাইসেন্স দিলে লাইসেন্সটি বাতিল চেয়ে মিষ্টি ভুষন ও রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারি জজ আদালত সুন্দরগঞ্জ,গাইবান্ধায়, হিমাংশু ও সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ৭জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার নং-৬৪/২০২২। আদালতে মোকদ্দমা করার পর কর্তৃপক্ষের টনক নরেনি।

নিয়মানুযায়ী প্রকৌশলী দ্বারা তদন্ত করে লাইসেন্স দেয়ার কথা। সম্প্রতি সময়ে উপজেলায় সেচ লাইসেন্সের তদন্তের দায়িত্বে ১জন আফিস সহকারী। গত আগষ্ট মাসে ১৫০টি সেচ আবেদনের তদন্ত করে লাইসেন্স প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। যাহা এখনো জন সম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি ।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, দুলাল গ্রামের মছির উদ্দিনের পুত্র মুসলিম আলীর নামে সেচ লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে সেচ বোরিং এর জমি থেকে উত্তরে ময়েসের সেচ বোরিং ,পশ্চিমে সামাদের ,দক্ষিনে আব্দুর রহমানের ,পুর্বদিকে বাদশার বোরিং থাকলেও অবৈধভাবে একটি লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে । এ ছাড়াও উপজেলায় অনেক এলাকায় অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে নিরপেক্ষ তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সুধীমহল।

এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী আরমান বাদশার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি তদন্তের দায়িত্বে নেই।সহকারি প্রকৌশলী ও সদস্য সচিব আফিদ কামরুল আশরাফির নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ৮শ ২০ ফুট, ১১শ ৪০ ফুট দুরত্বে শ্রেণীভেদে লাইসেন্স দেয়ার নিয়ম এর ব্যতিক্রম করা হয়নি । চুড়ান্ত তালিকার আগে প্রয়োজনে আবারও তদন্ত করা হবে ।