হিজাব ইস্যুতে তরুণীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক

ইরানের পুলিশ প্রধান

হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটক তরুণীর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন ইরানের পুলিশ প্রধান। তদন্তেও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মারধরে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এবং মাহশা আমিনির পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন এই পুলিশ প্রধান।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাহশা আমিনিকে পুলিশ কর্মকর্তারা ভ্যানে তোলার পর তাকে মারধর করে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেন রাহিমি।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবারও দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। ‘কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কয়েকশ মানুষ স্লোগান দেন এবং কয়েকজন প্রতিবাদস্বরূপ তাদের হিজাব খুলে ফেলেন।’ এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, নারীসহ কিছুসংখ্যক মানুষের একটি জমায়েত থেকে ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়া হচ্ছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা তাঁদের মাথার হিজাব খুলে নিয়েছেন।

ইরানে জনপরিসরে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দাবিধি রয়েছে। এ বিধিগুলো কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে দেশটির নৈতিকতা-বিষয়ক পুলিশ। এ বিধির আওতায় নৈতিকতা-বিষয়ক পুলিশ দল ১৩ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। তিনি পরিবারের সঙ্গে তেহরান সফরে গিয়েছিলেন। আটকের পর তিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিনির মৃত্যু হয়।

গতকাল তেহরান পুলিশের প্রধান জেনারেল হোসেন রাহিমি বলেন, মাহসা আমিনি পর্দাবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। পুলিশ আমিনির স্বজনদের বলেছিল, তাঁর জন্য ‘শালীন পোশাক’ নিয়ে আসতে। পুলিশ আমিনির ওপর নির্যাতন করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন রাহিমি। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অবহেলা বা অযাচিত আচরণ করা হয়নি।

সিসিটিভির ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ভিডিও সংক্ষিপ্ত আকারে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এক নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পর তিনি মাটিতে গড়িয়ে পড়ছেন।

মাহসা আমিনির বাবা আমজাদ আমিনি বলেন, পুলিশ তাকে যা দেখিয়েছে, তা তিনি মানতে পারছেন না। ভিডিও ফুটেজের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মাহসাকে দেরি করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।’

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৫ আশ্বিন ১৪২৯ ২৩ সফর ১৪৪৪

হিজাব ইস্যুতে তরুণীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক

ইরানের পুলিশ প্রধান

হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটক তরুণীর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন ইরানের পুলিশ প্রধান। তদন্তেও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মারধরে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এবং মাহশা আমিনির পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন এই পুলিশ প্রধান।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাহশা আমিনিকে পুলিশ কর্মকর্তারা ভ্যানে তোলার পর তাকে মারধর করে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেন রাহিমি।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবারও দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। ‘কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কয়েকশ মানুষ স্লোগান দেন এবং কয়েকজন প্রতিবাদস্বরূপ তাদের হিজাব খুলে ফেলেন।’ এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, নারীসহ কিছুসংখ্যক মানুষের একটি জমায়েত থেকে ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়া হচ্ছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা তাঁদের মাথার হিজাব খুলে নিয়েছেন।

ইরানে জনপরিসরে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দাবিধি রয়েছে। এ বিধিগুলো কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে দেশটির নৈতিকতা-বিষয়ক পুলিশ। এ বিধির আওতায় নৈতিকতা-বিষয়ক পুলিশ দল ১৩ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। তিনি পরিবারের সঙ্গে তেহরান সফরে গিয়েছিলেন। আটকের পর তিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিনির মৃত্যু হয়।

গতকাল তেহরান পুলিশের প্রধান জেনারেল হোসেন রাহিমি বলেন, মাহসা আমিনি পর্দাবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। পুলিশ আমিনির স্বজনদের বলেছিল, তাঁর জন্য ‘শালীন পোশাক’ নিয়ে আসতে। পুলিশ আমিনির ওপর নির্যাতন করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন রাহিমি। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অবহেলা বা অযাচিত আচরণ করা হয়নি।

সিসিটিভির ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ভিডিও সংক্ষিপ্ত আকারে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এক নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পর তিনি মাটিতে গড়িয়ে পড়ছেন।

মাহসা আমিনির বাবা আমজাদ আমিনি বলেন, পুলিশ তাকে যা দেখিয়েছে, তা তিনি মানতে পারছেন না। ভিডিও ফুটেজের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মাহসাকে দেরি করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।’