যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারী সমাপ্ত :

বাইডেনমার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারী শেষ হয়েছে। তবে দেশটিতে এখনও করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমাদের এখনও সমস্যা রয়ে গেছে তবে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।

এর আগে গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বলেছিলেন, আপাত দৃষ্টিতে মহামারীর সমাপ্তি ঘটেছে। ?‘সিক্সটি মিনিটস’ নামে সিবিএস-এর এক অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘অনেক কাজ’ করছে।

বাইডেন বলেন, আপনি যদি খেয়াল করেন দেখবেন কেউ এখন মাস্ক পরছে না। সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। আমি মনে করি সব কিছুতেই পরিবর্তন আসছে। তবে করোনার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক স্বাস্থ্য সতর্কতায় এখনই কোনো পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্টের মন্তব্যগুলো নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে না এবং চলতি করোনা জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। গত আগস্টে মার্কিন কর্মকর্তারা জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকেই এই অবস্থা জারি রয়েছে।

শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা বাইডেনের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটে লিখেছেন, “তার করোনা টিকার নির্দেশনার মাধ্যমে লাখো স্বাস্থ্যবান সেনাকে সামরিক বাহিনী থেকে বের করে দেয়ার পর এখন বাইডেন বলেছেন ‘মহামারী শেষ হয়েছে’।”

সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিশ্ব মহামারী পরিস্থিতি কাটিয় ওঠা শুরু করেছে, এমন সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন; তবে তারা মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানোও অব্যাহত রেখেছেন।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসজনিত রোগে ১০ লাখেরও বেশি আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন সাত দিনের গড় মৃত্যু চারশোরও বেশিতে দাঁড়িয়েছে আর গত সপ্তাহে তিন হাজার জনের বেশি মারা গেছে।

২০২১ এর জানুয়ারিতে এ ভাইরাসটিতে এক একটি সপ্তাহে ২৩ হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশের পুরোপুরি টিকা নেওয়া আছে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মী, সামরিক বাহিনীর সদস্য ও বিমানযোগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী বিদেশি নাগরিকদের জন্য এখনও দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা নেয়ার বাধ্যবাধকতা বজায় আছে।

বিশ্বজুড়ে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, তারপর ভারত ও ব্রাজিলে।

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৫ আশ্বিন ১৪২৯ ২৩ সফর ১৪৪৪

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারী সমাপ্ত :

image

বাইডেনমার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারী শেষ হয়েছে। তবে দেশটিতে এখনও করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমাদের এখনও সমস্যা রয়ে গেছে তবে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।

এর আগে গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বলেছিলেন, আপাত দৃষ্টিতে মহামারীর সমাপ্তি ঘটেছে। ?‘সিক্সটি মিনিটস’ নামে সিবিএস-এর এক অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘অনেক কাজ’ করছে।

বাইডেন বলেন, আপনি যদি খেয়াল করেন দেখবেন কেউ এখন মাস্ক পরছে না। সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। আমি মনে করি সব কিছুতেই পরিবর্তন আসছে। তবে করোনার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক স্বাস্থ্য সতর্কতায় এখনই কোনো পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্টের মন্তব্যগুলো নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে না এবং চলতি করোনা জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। গত আগস্টে মার্কিন কর্মকর্তারা জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকেই এই অবস্থা জারি রয়েছে।

শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা বাইডেনের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও টুইটে লিখেছেন, “তার করোনা টিকার নির্দেশনার মাধ্যমে লাখো স্বাস্থ্যবান সেনাকে সামরিক বাহিনী থেকে বের করে দেয়ার পর এখন বাইডেন বলেছেন ‘মহামারী শেষ হয়েছে’।”

সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিশ্ব মহামারী পরিস্থিতি কাটিয় ওঠা শুরু করেছে, এমন সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন; তবে তারা মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানোও অব্যাহত রেখেছেন।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসজনিত রোগে ১০ লাখেরও বেশি আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন সাত দিনের গড় মৃত্যু চারশোরও বেশিতে দাঁড়িয়েছে আর গত সপ্তাহে তিন হাজার জনের বেশি মারা গেছে।

২০২১ এর জানুয়ারিতে এ ভাইরাসটিতে এক একটি সপ্তাহে ২৩ হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশের পুরোপুরি টিকা নেওয়া আছে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মী, সামরিক বাহিনীর সদস্য ও বিমানযোগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী বিদেশি নাগরিকদের জন্য এখনও দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা নেয়ার বাধ্যবাধকতা বজায় আছে।

বিশ্বজুড়ে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, তারপর ভারত ও ব্রাজিলে।