ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানারকম হয়রানি বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচির পর এবার আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ।
গতকাল বেলা দেড়টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাসনাতের এই কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় আট দাবি, গণস্বাক্ষরের কাগজ, জরিপ এবং নানা অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন হাসনাত।
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার পর হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, স্যার আমাদের যৌক্তিক আট দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কোন কথাই বলেননি। ভিসি স্যার আমার সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন। আমি স্যারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, স্যার আমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের কি বলবো?
হাসনাত জানান, ভিসি স্যার বলেছেন- আমি নাকি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছি। বলেছেন, আমরা যা ইচ্ছে তা করতে। স্যারের এই অসহযোগিতামূলক আচরণের প্রতিবাদে ও আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন ঘোষণা করছি।
গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। তার কর্মসূচি চলছিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এর আগে ৩০ আগস্ট আট দফা দাবি পূরণে প্রশাসনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন হাসনাত।
হাসনাত আবদুল্লাহর আট দাবি হলো-
১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন।
২. প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজ করা।
৩. নিরাপত্তা এবং হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে প্রতিকক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।
৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন।
৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার।
৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা।
৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোন কাজেই লিপ্ত না থাকা।
৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচার পরিবেশবান্ধব করা।
এসব দাবির পক্ষে হাসনাত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া তিনি সেখানে একটি অভিযোগ বক্স স্থাপন করেছেন। যাদের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ আছে তারা সেখানে অভিযোগ লিখে জমা দিয়েছেন।
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৫ আশ্বিন ১৪২৯ ২৩ সফর ১৪৪৪
প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানারকম হয়রানি বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচির পর এবার আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ।
গতকাল বেলা দেড়টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাসনাতের এই কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় আট দাবি, গণস্বাক্ষরের কাগজ, জরিপ এবং নানা অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন হাসনাত।
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার পর হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, স্যার আমাদের যৌক্তিক আট দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কোন কথাই বলেননি। ভিসি স্যার আমার সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন। আমি স্যারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, স্যার আমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের কি বলবো?
হাসনাত জানান, ভিসি স্যার বলেছেন- আমি নাকি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছি। বলেছেন, আমরা যা ইচ্ছে তা করতে। স্যারের এই অসহযোগিতামূলক আচরণের প্রতিবাদে ও আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন ঘোষণা করছি।
গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। তার কর্মসূচি চলছিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এর আগে ৩০ আগস্ট আট দফা দাবি পূরণে প্রশাসনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন হাসনাত।
হাসনাত আবদুল্লাহর আট দাবি হলো-
১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন।
২. প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজ করা।
৩. নিরাপত্তা এবং হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে প্রতিকক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।
৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন।
৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার।
৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা।
৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোন কাজেই লিপ্ত না থাকা।
৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচার পরিবেশবান্ধব করা।
এসব দাবির পক্ষে হাসনাত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া তিনি সেখানে একটি অভিযোগ বক্স স্থাপন করেছেন। যাদের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ আছে তারা সেখানে অভিযোগ লিখে জমা দিয়েছেন।