রংপুরে তথ্য অধিকার আইন মানছে না মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়। দৈনিক সংবাদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে আবেদন করা হলেও আবেদন পত্রটি গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের আইজিপি বরাবর আপিল দায়ের করার পর আইজিপির আদেশও অমান্য করা হচ্ছে। একইভাবে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করার পর দু’মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তথ্য প্রদান করা হয়নি। এ ঘটনায় রংপুরের পুলিশ তথ্য অধিকার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এতে চাহিত তথ্য না পাওয়ায় পেশাগত দায়িত্বপালন বিঘিœত হচ্ছে। অন্যদিকে তথ্য না দিয়ে বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সংবাদ প্রতিনিধিকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১ আগস্ট তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ৮(১) ধারা অনুযায়ী রংপুরে দৈনিক সংবাদের নিজস্ব বার্তা পরিবেশক লিয়াকত আলী বাদল সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কাার্যালয়ে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আবেদন করেন। পরের দিন আবেদনটি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয় গ্রহণ না করে ডাকঘর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর কাছে ফেরত দেয়। সেই সঙ্গে ডাক বিভাগের প্রাপ্তিস্বীকার পত্রে প্রথমে কার্যালয়ের সিল দিয়ে সেটা আবার লালকালি দিয়ে কাটাকাটি করে ফেরত দেয়া হয়।
পরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন পত্রটি গ্রহণ না করার বিষয়টি জানানো হয়। একইসঙ্গে প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে সিল দিয়ে লালকালি দিয়ে কাটাকাটি করার বিষয়টি তাকে দেখানো হলেও তিনি কোন মন্তব্য না করে নীরবতা পালন করেন।
এদিকে আবেদন পত্রটি গ্রহণ না করায় গত ১৭ আগস্ট পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে আপিল দায়ের করা হয়। পুলিশের আইজিপির দপ্তর থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত চাহিত তথ্য সরবরাহ করার নির্দেশ দেয়া হলেও সেটি মানা হচ্ছে না।
এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুরের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রইছ উদ্দিন বাদশা সংবাদকে বলেন, তথ্য অধিকার আইনটি সাংবিধানিক আইন। বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক তথ্য চেয়ে আবেদন করতে পারেন। আইন অনুযায়ী আবেদন পাওয়ার ৬ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য কবে দেয়া হবে এবং দেয়া যাবে না তার সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করে লিখিতভাবে জানাতে হবে। না হলে আইনের লঙ্ঘন হবে।
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৫ আশ্বিন ১৪২৯ ২৩ সফর ১৪৪৪
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
রংপুরে তথ্য অধিকার আইন মানছে না মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়। দৈনিক সংবাদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে আবেদন করা হলেও আবেদন পত্রটি গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের আইজিপি বরাবর আপিল দায়ের করার পর আইজিপির আদেশও অমান্য করা হচ্ছে। একইভাবে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করার পর দু’মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তথ্য প্রদান করা হয়নি। এ ঘটনায় রংপুরের পুলিশ তথ্য অধিকার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এতে চাহিত তথ্য না পাওয়ায় পেশাগত দায়িত্বপালন বিঘিœত হচ্ছে। অন্যদিকে তথ্য না দিয়ে বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সংবাদ প্রতিনিধিকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১ আগস্ট তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর ৮(১) ধারা অনুযায়ী রংপুরে দৈনিক সংবাদের নিজস্ব বার্তা পরিবেশক লিয়াকত আলী বাদল সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কাার্যালয়ে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আবেদন করেন। পরের দিন আবেদনটি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয় গ্রহণ না করে ডাকঘর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর কাছে ফেরত দেয়। সেই সঙ্গে ডাক বিভাগের প্রাপ্তিস্বীকার পত্রে প্রথমে কার্যালয়ের সিল দিয়ে সেটা আবার লালকালি দিয়ে কাটাকাটি করে ফেরত দেয়া হয়।
পরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন পত্রটি গ্রহণ না করার বিষয়টি জানানো হয়। একইসঙ্গে প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে সিল দিয়ে লালকালি দিয়ে কাটাকাটি করার বিষয়টি তাকে দেখানো হলেও তিনি কোন মন্তব্য না করে নীরবতা পালন করেন।
এদিকে আবেদন পত্রটি গ্রহণ না করায় গত ১৭ আগস্ট পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে আপিল দায়ের করা হয়। পুলিশের আইজিপির দপ্তর থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত চাহিত তথ্য সরবরাহ করার নির্দেশ দেয়া হলেও সেটি মানা হচ্ছে না।
এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুরের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রইছ উদ্দিন বাদশা সংবাদকে বলেন, তথ্য অধিকার আইনটি সাংবিধানিক আইন। বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক তথ্য চেয়ে আবেদন করতে পারেন। আইন অনুযায়ী আবেদন পাওয়ার ৬ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য কবে দেয়া হবে এবং দেয়া যাবে না তার সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করে লিখিতভাবে জানাতে হবে। না হলে আইনের লঙ্ঘন হবে।