রক্ত তৃষ্ণায় কাতর হয়ে গেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। রক্তের ঘ্রাণ নেয়ার জন্যই বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। গণমাধ্যমে এসেছে কীভাবে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের বাড়িতে গিয়ে নেকড়ের মতো হামলা চালাচ্ছে তারা।
গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন হামলা করার জন্য আমরা কোন নির্দেশনা দেইনি। তার এ কথাতেই প্রমাণিত হয় ওবায়দুল কাদের সাহেবরাই নির্দেশ দিয়েছেন হামলা করার জন্য। না হলে একটা ছাত্রের হাতে চাইনিজ কুড়াল থাকবে কেন? রামদা থাকবে কেন? পাড়ায়-মহল্লায় গ্রামে-গঞ্জে থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ছাত্রলীগ মানেই হচ্ছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। এখন মায়েরা তার সন্তানকে ঘুম পাড়াবে ছাত্রলীগের ভয় দেখিয়ে। বলবে বাবা ঘুমিয়ে যা না হয় ছাত্রলীগ আসবে। ছাত্রলীগকে রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারে পরিণত করেছেন ওবায়দুল কাদেররা। এদের নাম শুনলেই প্রত্যেকটি জায়গায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
‘অবৈধ সত্ত্বা নিয়ে টিকে থাকার জন্য তারা এই রক্তগঙ্গা বইয়ে দিচ্ছেন। রাষ্ট্রশক্তিকে অবৈধভাবে দখল করে তারা এই কাজগুলো করছেন। এরই মধ্যে সবচেয়ে অমানবিক ও নজিরবিহীন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে করা সরকারি দলের তা-ব।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উগ্রতা ও বেপরোয়া ভাব। আপনারা দেখেছেন যারা এই তা-ব চালাচ্ছে তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের নেতা। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকে আপনারা দেখেছেন চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তার সঙ্গে ছাত্রত্বের কোন সম্পর্ক নেই। বিএনপি ও ছাত্রদলের যেসব নেতাকর্মী মশাল মিছিল করেছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ মা-বাবাকে এমন ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে যে তারা এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এছাড়া সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। যা দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে এসেছে।
রিজভী আরও বলেন, দেশব্যাপী এমন তা-ব চলছে। সহিংস রক্তপাতের যে পরিকাঠামো নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা তাতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। কেউ কেউ হয়েছেন পঙ্গু আবার কেউ হয়েছেন অন্ধ। একই সঙ্গে প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে তিনজনের ভোলাতে দু’জন ও নারায়ণগঞ্জে একজন।
এ সময় সংবাদ সম্মলেন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করিম শাহিন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সাইফুল আলম নীরব, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৫ আশ্বিন ১৪২৯ ২৩ সফর ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রক্ত তৃষ্ণায় কাতর হয়ে গেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। রক্তের ঘ্রাণ নেয়ার জন্যই বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। গণমাধ্যমে এসেছে কীভাবে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের বাড়িতে গিয়ে নেকড়ের মতো হামলা চালাচ্ছে তারা।
গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন হামলা করার জন্য আমরা কোন নির্দেশনা দেইনি। তার এ কথাতেই প্রমাণিত হয় ওবায়দুল কাদের সাহেবরাই নির্দেশ দিয়েছেন হামলা করার জন্য। না হলে একটা ছাত্রের হাতে চাইনিজ কুড়াল থাকবে কেন? রামদা থাকবে কেন? পাড়ায়-মহল্লায় গ্রামে-গঞ্জে থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ছাত্রলীগ মানেই হচ্ছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। এখন মায়েরা তার সন্তানকে ঘুম পাড়াবে ছাত্রলীগের ভয় দেখিয়ে। বলবে বাবা ঘুমিয়ে যা না হয় ছাত্রলীগ আসবে। ছাত্রলীগকে রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারে পরিণত করেছেন ওবায়দুল কাদেররা। এদের নাম শুনলেই প্রত্যেকটি জায়গায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
‘অবৈধ সত্ত্বা নিয়ে টিকে থাকার জন্য তারা এই রক্তগঙ্গা বইয়ে দিচ্ছেন। রাষ্ট্রশক্তিকে অবৈধভাবে দখল করে তারা এই কাজগুলো করছেন। এরই মধ্যে সবচেয়ে অমানবিক ও নজিরবিহীন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে করা সরকারি দলের তা-ব।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উগ্রতা ও বেপরোয়া ভাব। আপনারা দেখেছেন যারা এই তা-ব চালাচ্ছে তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের নেতা। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকে আপনারা দেখেছেন চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তার সঙ্গে ছাত্রত্বের কোন সম্পর্ক নেই। বিএনপি ও ছাত্রদলের যেসব নেতাকর্মী মশাল মিছিল করেছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ মা-বাবাকে এমন ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে যে তারা এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এছাড়া সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। যা দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে এসেছে।
রিজভী আরও বলেন, দেশব্যাপী এমন তা-ব চলছে। সহিংস রক্তপাতের যে পরিকাঠামো নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা তাতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। কেউ কেউ হয়েছেন পঙ্গু আবার কেউ হয়েছেন অন্ধ। একই সঙ্গে প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে তিনজনের ভোলাতে দু’জন ও নারায়ণগঞ্জে একজন।
এ সময় সংবাদ সম্মলেন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করিম শাহিন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সাইফুল আলম নীরব, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।