সহকারী শিক্ষক পদবি সংশোধন প্রসঙ্গে

মাধ্যমিক কিংবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোতে সহকারী শিক্ষক নামে পদ রয়েছে। একজন শিক্ষককে নিয়োগের/যোগদানের শুরুতে সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত করা হয়। বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোতে একজন প্রধান শিক্ষক ও বাকিরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা শিক্ষকদের প্রধান হিসেবে প্রধান শিক্ষক নিয়োজিত থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষকরা কাদের সহকারী ? এসব শিক্ষক তো কারও সহকারী হিসেবে চাকরি করছেন না! তিনি তো একজন শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। তাহলে অযথা কেন তাদের পদবিতে সহকারী তকমাটি জুড়ে দেওয়া হয়?

বিষয়টিতো এমনো হতে পারত একজন নবাগত, শুরুতেই শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে পরে চাকরির বয়স অনুযায়ী সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করবেন। কিন্তু কোন ক্রমেই তার পদমর্যাদা সহকারী শিক্ষক হিসেবে থাকা উচিত নয়! প্রধান শিক্ষকের একজন সহকারী হতে পারে। মাধ্যমিকের জনবল কাঠামোতে সহকারী প্রধান শিক্ষক নামে একটি পদও রয়েছে। তাই শিক্ষকদের কোনোভাবেই সহকারী শিক্ষক পদবিতে চিহ্নিত না করে শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত করা উচিত। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

গাজী আরিফ মান্নান

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৫ আশ্বিন ১৪২৯ ২৩ সফর ১৪৪৪

সহকারী শিক্ষক পদবি সংশোধন প্রসঙ্গে

মাধ্যমিক কিংবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোতে সহকারী শিক্ষক নামে পদ রয়েছে। একজন শিক্ষককে নিয়োগের/যোগদানের শুরুতে সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত করা হয়। বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোতে একজন প্রধান শিক্ষক ও বাকিরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা শিক্ষকদের প্রধান হিসেবে প্রধান শিক্ষক নিয়োজিত থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষকরা কাদের সহকারী ? এসব শিক্ষক তো কারও সহকারী হিসেবে চাকরি করছেন না! তিনি তো একজন শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। তাহলে অযথা কেন তাদের পদবিতে সহকারী তকমাটি জুড়ে দেওয়া হয়?

বিষয়টিতো এমনো হতে পারত একজন নবাগত, শুরুতেই শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে পরে চাকরির বয়স অনুযায়ী সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করবেন। কিন্তু কোন ক্রমেই তার পদমর্যাদা সহকারী শিক্ষক হিসেবে থাকা উচিত নয়! প্রধান শিক্ষকের একজন সহকারী হতে পারে। মাধ্যমিকের জনবল কাঠামোতে সহকারী প্রধান শিক্ষক নামে একটি পদও রয়েছে। তাই শিক্ষকদের কোনোভাবেই সহকারী শিক্ষক পদবিতে চিহ্নিত না করে শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত করা উচিত। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

গাজী আরিফ মান্নান