নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফের বিএনপি নেতাকর্মীদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজনকে পিটিয়ে আহতও করা হয়। গত রোববার রাতে চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড়’শ জন বিএনপি সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ এনে গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হানিফ মিয়া। মামলার আসামীরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, মাসুম, সাহাবুদ্দিন, ওমাইনি, বাবু, শিশির, রনি হাসান মাটি, সাব্বির, রাতুল, আলামিন। এদিকে, মামলা করার পর থেকেই নেতাকর্মীসহ বিএনপি সমর্থকরা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে। অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বাদী ও ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হানিফ মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে উল্লেখিত ওই ১০ জনসহ অজ্ঞাত প্রায় দেড়’শ লোক লাঠিসোটা, ককটেল, পিস্তল, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আউখাব অনুপম গার্মেন্টেসের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল বের করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় চাচা রুহুল আমিন ও সানিকে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩টি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা করে আহতের ঘটনা ঘটায়। এরপর আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাংচুরে বাঁধা দিতে গেলে বাবা সাহাবুদ্দিন ও মাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়া যুবদল নেতা নুরুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং লুটপাট করে। মাসুদুর অভিযোগ করে আরো বলেন, আমাদের উপর হামলা করে আহতের ঘটনা ঘটিয়ে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো আমাদের নামেই মামলা দেয়া হয়েছে। চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রের বিএনপির সভাপতি হারুন মিজি অভিযোগ করে জানান, গডফাদার ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর নির্দেশনায় সন্ত্রাসী সিটি শাহিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রোবার রাত ১১টার দিকে চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর তান্ডব চালায়। হামলা ভাংচুর চালানো হয়, বিএনপি কর্মী হযরত আলীর বাড়িতে। ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মাসমকে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। বিএনপি নেতা ইউসুফ আলীর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালানো হয়। তবে, ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মাহাফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট চালানো হচ্ছে। আহত করা হচ্ছে নেতাকর্মীসহ পরিবারের সদস্যদের। এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করা না হলে কঠোর ভাবে জবাব দেয়া হবে। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছেন মামলা নিয়েছি। আরেক পক্ষ অভিযোগ দিলে সেটাও তদন্ত করে মামলা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৬ আশ্বিন ১৪২৯ ২৪ সফর ১৪৪৪
প্রতিনিধি, রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফের বিএনপি নেতাকর্মীদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজনকে পিটিয়ে আহতও করা হয়। গত রোববার রাতে চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দেড়’শ জন বিএনপি সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ এনে গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হানিফ মিয়া। মামলার আসামীরা হলেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, মাসুম, সাহাবুদ্দিন, ওমাইনি, বাবু, শিশির, রনি হাসান মাটি, সাব্বির, রাতুল, আলামিন। এদিকে, মামলা করার পর থেকেই নেতাকর্মীসহ বিএনপি সমর্থকরা গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে। অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বাদী ও ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হানিফ মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে উল্লেখিত ওই ১০ জনসহ অজ্ঞাত প্রায় দেড়’শ লোক লাঠিসোটা, ককটেল, পিস্তল, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আউখাব অনুপম গার্মেন্টেসের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল বের করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় চাচা রুহুল আমিন ও সানিকে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩টি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা করে আহতের ঘটনা ঘটায়। এরপর আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাংচুরে বাঁধা দিতে গেলে বাবা সাহাবুদ্দিন ও মাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়া যুবদল নেতা নুরুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং লুটপাট করে। মাসুদুর অভিযোগ করে আরো বলেন, আমাদের উপর হামলা করে আহতের ঘটনা ঘটিয়ে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো আমাদের নামেই মামলা দেয়া হয়েছে। চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রের বিএনপির সভাপতি হারুন মিজি অভিযোগ করে জানান, গডফাদার ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর নির্দেশনায় সন্ত্রাসী সিটি শাহিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রোবার রাত ১১টার দিকে চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর তান্ডব চালায়। হামলা ভাংচুর চালানো হয়, বিএনপি কর্মী হযরত আলীর বাড়িতে। ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মাসমকে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। বিএনপি নেতা ইউসুফ আলীর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালানো হয়। তবে, ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মাহাফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট চালানো হচ্ছে। আহত করা হচ্ছে নেতাকর্মীসহ পরিবারের সদস্যদের। এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করা না হলে কঠোর ভাবে জবাব দেয়া হবে। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছেন মামলা নিয়েছি। আরেক পক্ষ অভিযোগ দিলে সেটাও তদন্ত করে মামলা নেয়া হবে।