নেপালে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিয়ে গতকাল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে ইতিহাস গড়া বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বিমান থেকে নামার পর তাদের গলায় ফুলের মালা ও উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন সাবিনা-সানজিদারা। সেই সঙ্গে ছাদখোলা বাসে চড়ে সংবর্ধনা পাওয়ার ইচ্ছেও পূরণ হয়।
বিমানবন্দরে তাদের ফুলেল সংবর্ধনা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। আর বিমানবন্দরের বাইরে থেকে বাফুফে পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় দল-মত নির্বিশেষে হাজারো মানুষ উষ্ণ স্বাগত জানায় এই সোনার মেয়েদের ।
গতকাল দুপুরের বেশ আগে থেকে বিমানবন্দরের বাইরে সমর্থকরা ভিড় করতে শুরু করে। জনস্রোত রূপ নেয় জনজোয়ারে। মানুষের হাতে হাতে জাতীয় পতাকা ও ব্যানার, কণ্ঠে ছিল সেøাগান। সুসজ্জিত ব্যান্ড দল বাজাতে থাকে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়।’ বিমানবন্দরের ভেতরে তখন জয়ের গৌরব নিয়ে দেশে ফেরা নারী ফুটবল দলের প্রত্যেককে স্বাগত জানানো হয় ফুলের মালায়।
‘নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে’ ইতিহাস গড়া সাফল্য নিয়ে বাংলাদেশ দল কাঠমা-ু থেকে ঢাকায় পা রাখে দুপুর দেড়টার দিকে। এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ও অন্য কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সাফ শিরোপা বিজয়ী সাবিনা-মারিয়া-কৃষ্ণাদের।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিজয়ীদের সৌজন্যে কেক কাটা হয়। প্রতিমন্ত্রী কেক তুলে দেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের মুখে। সাবিনা শুধু শিরোপাজয়ী অধিনায়কই নন, তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোল স্কোরারও। বিজয়ী নারীদের কারিগর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকেও কেক খাইয়ে দেয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা।
এরপর ক্রীড়ামন্ত্রী একে একে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের গলায় পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এরপর দু’হাতে ট্রফি উঁচিয়ে বিজয়ের হাসিতে এগিয়ে যান অধিনায়ক সাবিনা। তাকে অনুসরণ করেন পুরো দল।
বিমানবন্দরের বাইরে তখন অপেক্ষমাণ হাজারো জনতা। বিকেএসপির একটি বড় দলও দেখা যায় সেখানে লাইন ধরে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে মেয়েদের বরণ করতে প্রস্তুত।
বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় মেয়েদের সেই স্বপ্নযাত্রার বাহন, ‘ছাদখোলা বাস।’ সেই বাসে উঠার সময়ও মেয়েদের আবার ফুল ছিটিয়ে বরণ করা হয়। সেøাগানে সেøাগানে মুখরিত ছিল পুরো বিমানবন্দর এলাকা।
সাফ জয়ীদের নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় ছাদখোলা বাসে শোভাযাত্রা শুরু হয়। এ সময় সাবিনাদের ঘিরে রাখেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। রাস্তার দুই পাশে সাফ বিজয়ীদের দেখে জনগণ হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। সাবিনারাও হাসিমুখে হাত নেড়ে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখান। খোলা ছাদের বাসে সামনে ট্রফি হাতে ছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার পাশে সানজিদা, মাসুরা পারভীনরা।
‘ছাদখোলা বাস’টি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত প্রদক্ষিণ করে পৌঁছে মতিঝিলে বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) ভবনে। বিমানবন্দর থেকে বাসটি কাকলী, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মৌচাক, কাকরাইল, আরামবাগ, মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে বাফুফে ভবনে পৌঁছে। সেখানে ইতিহাস গড়া মেয়েদের বরণ করে নেয়ার আনুষ্ঠানিকতা ছিল আগে থেকেই। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন অভ্যর্থনা জানান সাবিনাদের।
এর আগে নেপালের রাজধানী কাঠমা-ু থেকে ফেরার পথে ফ্লাইটেও এক দফায় উদ্যাপন হয়। সেখানে দলকে অভিনন্দন জানানো হয় বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে। সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও বিমানের ক্রু সানোয়ার হোসেন মিষ্টিমুখ করান বিজয়ীদের। বিমানেও কেক কাটার পর্ব ছিল।
জনতার স্রোতে বিমানবন্দরে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন দল। তবে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন দলের অধিনায়ক সাবিনা।
তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ বলুন বা ১৮ কোটি কিংবা ২০ কোটি এই ট্রফি বাংলাদেশের সব মানুষের। আমাদের এত সুন্দর করে বরণ করে নেয়ার জন্য আমরা অনেক কৃতজ্ঞ।’
সাবিনা আরও বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় ও ফেডারেশনের যারা এসেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের মেয়েদের, বাংলাদেশের ফুটবল যে আপনারা এত ভালোবাসেন, এসব দেখে আমরা অনেক অনেক গর্বিত।’
দামাল মেয়েদের স্বাগত জানাতে বনানী কাকলী ওভারব্রিজের কাছে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। বিশেষত মেয়েদের জন্য।’ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে দেখে তিনি একজনকে বললেন, ‘ওরা ওখান থেকে (বিমানবন্দর) ভিড়ে বেরিয়ে আসতে পারছে না হয়তো। বনানীর রাস্তায় ফুট ওভারব্রিজ ছাড়িয়ে রাস্তার মাঝখান পর্যন্ত অপেক্ষমাণ মানুষ।’
মামাকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর থেকে বরণ করতে এসেছে দুই জমজ ভাই সিয়াম খন্দকার আর নিয়াম খন্দকার। দুজনই ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। নিয়াম সিয়ামের মামা মেঘদীপ বলেন, ওদের জেদেই তিনি এসেছেন। এসে এত লোক দেখে খুব ভালো লাগছে। না আসলে মানুষের মধ্যে এমন আবেগ জানতে পারতাম না।’
গত ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক এই জয়ে শামসুন্নাহার করেন একটি গোল। আর দুটি গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার।
বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৬ আশ্বিন ১৪২৯ ২৪ সফর ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
নেপালে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিয়ে গতকাল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে ইতিহাস গড়া বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বিমান থেকে নামার পর তাদের গলায় ফুলের মালা ও উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন সাবিনা-সানজিদারা। সেই সঙ্গে ছাদখোলা বাসে চড়ে সংবর্ধনা পাওয়ার ইচ্ছেও পূরণ হয়।
বিমানবন্দরে তাদের ফুলেল সংবর্ধনা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। আর বিমানবন্দরের বাইরে থেকে বাফুফে পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় দল-মত নির্বিশেষে হাজারো মানুষ উষ্ণ স্বাগত জানায় এই সোনার মেয়েদের ।
গতকাল দুপুরের বেশ আগে থেকে বিমানবন্দরের বাইরে সমর্থকরা ভিড় করতে শুরু করে। জনস্রোত রূপ নেয় জনজোয়ারে। মানুষের হাতে হাতে জাতীয় পতাকা ও ব্যানার, কণ্ঠে ছিল সেøাগান। সুসজ্জিত ব্যান্ড দল বাজাতে থাকে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়।’ বিমানবন্দরের ভেতরে তখন জয়ের গৌরব নিয়ে দেশে ফেরা নারী ফুটবল দলের প্রত্যেককে স্বাগত জানানো হয় ফুলের মালায়।
‘নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে’ ইতিহাস গড়া সাফল্য নিয়ে বাংলাদেশ দল কাঠমা-ু থেকে ঢাকায় পা রাখে দুপুর দেড়টার দিকে। এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ও অন্য কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সাফ শিরোপা বিজয়ী সাবিনা-মারিয়া-কৃষ্ণাদের।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিজয়ীদের সৌজন্যে কেক কাটা হয়। প্রতিমন্ত্রী কেক তুলে দেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের মুখে। সাবিনা শুধু শিরোপাজয়ী অধিনায়কই নন, তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোল স্কোরারও। বিজয়ী নারীদের কারিগর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকেও কেক খাইয়ে দেয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা।
এরপর ক্রীড়ামন্ত্রী একে একে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের গলায় পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এরপর দু’হাতে ট্রফি উঁচিয়ে বিজয়ের হাসিতে এগিয়ে যান অধিনায়ক সাবিনা। তাকে অনুসরণ করেন পুরো দল।
বিমানবন্দরের বাইরে তখন অপেক্ষমাণ হাজারো জনতা। বিকেএসপির একটি বড় দলও দেখা যায় সেখানে লাইন ধরে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে মেয়েদের বরণ করতে প্রস্তুত।
বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় মেয়েদের সেই স্বপ্নযাত্রার বাহন, ‘ছাদখোলা বাস।’ সেই বাসে উঠার সময়ও মেয়েদের আবার ফুল ছিটিয়ে বরণ করা হয়। সেøাগানে সেøাগানে মুখরিত ছিল পুরো বিমানবন্দর এলাকা।
সাফ জয়ীদের নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় ছাদখোলা বাসে শোভাযাত্রা শুরু হয়। এ সময় সাবিনাদের ঘিরে রাখেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। রাস্তার দুই পাশে সাফ বিজয়ীদের দেখে জনগণ হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। সাবিনারাও হাসিমুখে হাত নেড়ে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখান। খোলা ছাদের বাসে সামনে ট্রফি হাতে ছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার পাশে সানজিদা, মাসুরা পারভীনরা।
‘ছাদখোলা বাস’টি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত প্রদক্ষিণ করে পৌঁছে মতিঝিলে বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) ভবনে। বিমানবন্দর থেকে বাসটি কাকলী, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মৌচাক, কাকরাইল, আরামবাগ, মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে বাফুফে ভবনে পৌঁছে। সেখানে ইতিহাস গড়া মেয়েদের বরণ করে নেয়ার আনুষ্ঠানিকতা ছিল আগে থেকেই। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন অভ্যর্থনা জানান সাবিনাদের।
এর আগে নেপালের রাজধানী কাঠমা-ু থেকে ফেরার পথে ফ্লাইটেও এক দফায় উদ্যাপন হয়। সেখানে দলকে অভিনন্দন জানানো হয় বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে। সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও বিমানের ক্রু সানোয়ার হোসেন মিষ্টিমুখ করান বিজয়ীদের। বিমানেও কেক কাটার পর্ব ছিল।
জনতার স্রোতে বিমানবন্দরে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন দল। তবে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন দলের অধিনায়ক সাবিনা।
তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ বলুন বা ১৮ কোটি কিংবা ২০ কোটি এই ট্রফি বাংলাদেশের সব মানুষের। আমাদের এত সুন্দর করে বরণ করে নেয়ার জন্য আমরা অনেক কৃতজ্ঞ।’
সাবিনা আরও বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় ও ফেডারেশনের যারা এসেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের মেয়েদের, বাংলাদেশের ফুটবল যে আপনারা এত ভালোবাসেন, এসব দেখে আমরা অনেক অনেক গর্বিত।’
দামাল মেয়েদের স্বাগত জানাতে বনানী কাকলী ওভারব্রিজের কাছে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। বিশেষত মেয়েদের জন্য।’ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে দেখে তিনি একজনকে বললেন, ‘ওরা ওখান থেকে (বিমানবন্দর) ভিড়ে বেরিয়ে আসতে পারছে না হয়তো। বনানীর রাস্তায় ফুট ওভারব্রিজ ছাড়িয়ে রাস্তার মাঝখান পর্যন্ত অপেক্ষমাণ মানুষ।’
মামাকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর থেকে বরণ করতে এসেছে দুই জমজ ভাই সিয়াম খন্দকার আর নিয়াম খন্দকার। দুজনই ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। নিয়াম সিয়ামের মামা মেঘদীপ বলেন, ওদের জেদেই তিনি এসেছেন। এসে এত লোক দেখে খুব ভালো লাগছে। না আসলে মানুষের মধ্যে এমন আবেগ জানতে পারতাম না।’
গত ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক এই জয়ে শামসুন্নাহার করেন একটি গোল। আর দুটি গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার।