অভিভূত সাবিনা, দেশের মানুষকে উৎসর্গ করলেন এই বিজয়

হিমালয় জয় করে গতকাল দুপুরে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে অভিভূত বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি গর্বিত কণ্ঠে এই সাফল্য উৎসর্গ করলেন দেশের মানুষকে। বিমানবন্দরেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাবিনা বলেন, ‘আমাদের এত সুন্দর করে বরণ করে নেয়ার জন্য আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী মহোদয় ও ফেডারেশনের যারা এসেছেন, সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের মেয়েদের, বাংলাদেশের ফুটবল যে আপনারা এত ভালোবাসেন, এসব দেখে আমরা অনেক অনেক গর্বিত।’

বিমানবন্দরে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন দল। এতে যেন তাদের কোন দুঃখ নেই। সাবিনা বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ, আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ বলুন বা ১৮ কোটি কিংবা ২০ কোটি, এই ট্রফি বাংলাদেশের সব মানুষের।’

সামনের দিনে আরও বড় সাফল্যের আশার কথা জানিয়ে সাবিনা বলেন, ‘আমাদের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন স্যার, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রী মহোদয়ের সহায়তায় ২০১২ সাল থেকে মহিলা ফুটবল ভালোভাবে চলছে। মেয়েদের পরিশ্রম যদি দেখেন, ৪-৫ বছরের সাফল্য দেখেন, এতেই সব বোঝা যায়। সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাদের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে সামনের দিকে আরও কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

দীর্ঘদিনের খেলার ক্লান্তি ভ্রমণের ধকলকে সঙ্গী সারাক্ষণই মুখে চওড়া হাসি ঝুলিয়ে রেখে ছোট ছোট পায়ে বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে আসা এই সাবিনা একের পর এক জয় ও প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনিই।

জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া সাবিনা বলেন, ‘সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাদের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে সামনের দিকে আরও কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সাজিয়ে রাখা ছাদখোলা বাসে উঠে যান দলের সবাই। পথজুড়ে দুই পাশে দেখা যায় জনতার ভিড়। হাত নাড়িয়ে গলা ফাটিয়ে তারা অভিবাদন জানান মেয়েদের। ট্রফি উঁচিয়ে, জাতীয় পতাকা উড়িয়ে অভিনন্দনের জবাব দেন সাবিনারা।

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৬ আশ্বিন ১৪২৯ ২৪ সফর ১৪৪৪

অভিভূত সাবিনা, দেশের মানুষকে উৎসর্গ করলেন এই বিজয়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

হিমালয় জয় করে গতকাল দুপুরে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে অভিভূত বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি গর্বিত কণ্ঠে এই সাফল্য উৎসর্গ করলেন দেশের মানুষকে। বিমানবন্দরেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাবিনা বলেন, ‘আমাদের এত সুন্দর করে বরণ করে নেয়ার জন্য আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী মহোদয় ও ফেডারেশনের যারা এসেছেন, সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের মেয়েদের, বাংলাদেশের ফুটবল যে আপনারা এত ভালোবাসেন, এসব দেখে আমরা অনেক অনেক গর্বিত।’

বিমানবন্দরে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন দল। এতে যেন তাদের কোন দুঃখ নেই। সাবিনা বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ, আমাদের জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ বলুন বা ১৮ কোটি কিংবা ২০ কোটি, এই ট্রফি বাংলাদেশের সব মানুষের।’

সামনের দিনে আরও বড় সাফল্যের আশার কথা জানিয়ে সাবিনা বলেন, ‘আমাদের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন স্যার, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রী মহোদয়ের সহায়তায় ২০১২ সাল থেকে মহিলা ফুটবল ভালোভাবে চলছে। মেয়েদের পরিশ্রম যদি দেখেন, ৪-৫ বছরের সাফল্য দেখেন, এতেই সব বোঝা যায়। সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাদের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে সামনের দিকে আরও কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

দীর্ঘদিনের খেলার ক্লান্তি ভ্রমণের ধকলকে সঙ্গী সারাক্ষণই মুখে চওড়া হাসি ঝুলিয়ে রেখে ছোট ছোট পায়ে বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে আসা এই সাবিনা একের পর এক জয় ও প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনিই।

জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া সাবিনা বলেন, ‘সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমাদের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে সামনের দিকে আরও কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সাজিয়ে রাখা ছাদখোলা বাসে উঠে যান দলের সবাই। পথজুড়ে দুই পাশে দেখা যায় জনতার ভিড়। হাত নাড়িয়ে গলা ফাটিয়ে তারা অভিবাদন জানান মেয়েদের। ট্রফি উঁচিয়ে, জাতীয় পতাকা উড়িয়ে অভিনন্দনের জবাব দেন সাবিনারা।