ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাজ নয় : স্বাস্থ্য সচিব

‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাজ নয়, আমরা সেবা দিয়ে থাকি’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় প্রচুর মানুষ ডাব খেয়ে থাকে, এগুলো অনেক সময় পরিষ্কার করা হয় না। এতে এডিস মশার প্রকোপ বাড়ে। তবে সবাইকে (ডেঙ্গু) প্রতিরোধের কাজটা করতে হবে। এ জন্য আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। প্রথম দিকে যদি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে চিকিৎসা দেয়া অনেক সহজ হয়।’

ডেঙ্গু সংক্রান্ত এক জরিপের ফল প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘এখনও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। নিয়মিত বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে, ফলে এডিস মশার জন্ম হয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন নিজ বাসাতেই মশার উৎপাদন না হয়।’

তিনি বলেন, ‘ডাম্পিং স্টেশনগুলোতে নজর দিতে হবে। ২০১৯ সালে যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা বলার মতো নয় সিটি করপোরেশনকে অনেক দৌড়াতে হয়েছে। এজন্য আমাদের নিজেদের সচেতনতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলোর বাগানের ছাদে যাতে পানি না জমে, কমিউনিটির সেই দায়িত্ব নেয়া উচিত’।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

নাজমুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসির ৪০ ওয়ার্ডে ৪৮টি সাইট এবং ডিএসসিসির ৫৮টি ওয়ার্ডে ৬২টি সাইটসহ মোট ১১০টি সাইটে তিন হাজার ১৫০টি বাড়িতে জরিপ চালানো হয়েছে। ২১টি টিমের মাধ্যমে ১০ দিনব্যাপী জরিপটি চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জরিপের ফলে দেখা গেছে, তিন হাজার ১৫০টি বাড়ির মধ্যে ২ হাজার ৮২৯টির নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে। ১৫৯টি বাড়িতে ফল পজেটিভ এসেছে। মোট পজেটিভ আসা বাড়িগুলোর মধ্যে ৬৩টি ডিএনসিসিতে এবং ৯৬টি ডিএসসিসিতে অবস্থিত।

আরও খবর
গৃহহীনতার অভিশাপ দূর করতে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ বিশ্ব নাগরিক হিসেবে শিশুদের গড়ে তুলবে : প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়ার ‘ভারী’ তেল দেশে পরিশোধন ‘সম্ভব নয়’
যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি আমাদের এখানে আসেনি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাপানি নাগরিক হত্যা : ৪ জঙ্গির মৃত্যুদ- বহাল, একজন খালাস
রংপুরে জাপার জেলা কমিটি থেকে বাদ রাঙ্গা
মায়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ কীভাবে ‘স্ট্রং’ অবস্থান নিয়েছে, ব্যাখ্যা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বছরজুড়ে মশা দমনে দেশে স্বতন্ত্র অধিদপ্তর নেই
দেশে ৫ জনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : সাংবাদিক, ওসিসহ আহত দেড় শতাধিক
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : সাংবাদিক, ওসিসহ আহত দেড় শতাধিক

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৬ আশ্বিন ১৪২৯ ২৪ সফর ১৪৪৪

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাজ নয় : স্বাস্থ্য সচিব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাজ নয়, আমরা সেবা দিয়ে থাকি’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় প্রচুর মানুষ ডাব খেয়ে থাকে, এগুলো অনেক সময় পরিষ্কার করা হয় না। এতে এডিস মশার প্রকোপ বাড়ে। তবে সবাইকে (ডেঙ্গু) প্রতিরোধের কাজটা করতে হবে। এ জন্য আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। প্রথম দিকে যদি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে চিকিৎসা দেয়া অনেক সহজ হয়।’

ডেঙ্গু সংক্রান্ত এক জরিপের ফল প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘এখনও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। নিয়মিত বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে, ফলে এডিস মশার জন্ম হয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন নিজ বাসাতেই মশার উৎপাদন না হয়।’

তিনি বলেন, ‘ডাম্পিং স্টেশনগুলোতে নজর দিতে হবে। ২০১৯ সালে যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা বলার মতো নয় সিটি করপোরেশনকে অনেক দৌড়াতে হয়েছে। এজন্য আমাদের নিজেদের সচেতনতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলোর বাগানের ছাদে যাতে পানি না জমে, কমিউনিটির সেই দায়িত্ব নেয়া উচিত’।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

নাজমুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসির ৪০ ওয়ার্ডে ৪৮টি সাইট এবং ডিএসসিসির ৫৮টি ওয়ার্ডে ৬২টি সাইটসহ মোট ১১০টি সাইটে তিন হাজার ১৫০টি বাড়িতে জরিপ চালানো হয়েছে। ২১টি টিমের মাধ্যমে ১০ দিনব্যাপী জরিপটি চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জরিপের ফলে দেখা গেছে, তিন হাজার ১৫০টি বাড়ির মধ্যে ২ হাজার ৮২৯টির নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এসেছে। ১৫৯টি বাড়িতে ফল পজেটিভ এসেছে। মোট পজেটিভ আসা বাড়িগুলোর মধ্যে ৬৩টি ডিএনসিসিতে এবং ৯৬টি ডিএসসিসিতে অবস্থিত।