মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকেল ৩টার দিকে মুক্তারপুরের ফেরিঘাট এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সার্কেল এসপি মিনহাজুল ইসলাম, সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান, এসআই সুকান্ত বাউল, দাজল দাস, মাইনুদ্দিন, আসিনুল, অজিদ, মোজাম্মেলহক, কং রায়হান, ইলিয়াস খানসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ, সমকালের সাংবাদিক কাজী সাব্বির আহম্মেদ দীপু, কালবেলার সাংবাদিক মো. রুবেল, দিনকালের সাংবাদিক গোলজার হোসেন, রজত রেখার সাংবাদিক নাজির হোসেন আহত হয়েছে। এই সংঘর্ষে ৫-৬ জন গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। জবাবে পুলিশও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করি। লাঠিচার্জেও নিয়ন্ত্রণ না আসলে এক পর্যায়ে টিয়ার্শেল গ্যাস নিক্ষেপ করেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তাদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ৩০-৩৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৬ আশ্বিন ১৪২৯ ২৪ সফর ১৪৪৪
প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকেল ৩টার দিকে মুক্তারপুরের ফেরিঘাট এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সার্কেল এসপি মিনহাজুল ইসলাম, সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান, এসআই সুকান্ত বাউল, দাজল দাস, মাইনুদ্দিন, আসিনুল, অজিদ, মোজাম্মেলহক, কং রায়হান, ইলিয়াস খানসহ অন্তত ১৫ জন পুলিশ, সমকালের সাংবাদিক কাজী সাব্বির আহম্মেদ দীপু, কালবেলার সাংবাদিক মো. রুবেল, দিনকালের সাংবাদিক গোলজার হোসেন, রজত রেখার সাংবাদিক নাজির হোসেন আহত হয়েছে। এই সংঘর্ষে ৫-৬ জন গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। জবাবে পুলিশও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করি। লাঠিচার্জেও নিয়ন্ত্রণ না আসলে এক পর্যায়ে টিয়ার্শেল গ্যাস নিক্ষেপ করেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তাদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ৩০-৩৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।