‘কৃত্রিম সংকট, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি’ : ৪৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি, ও নিত্যপণ্যের ‘অস্বাভাবিক’ মূল্যবৃদ্ধি ও বাজার ‘অস্থিতিশীল’ করার অভিযোগে নিত্যপণ্য প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী ৪৫টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। কমিশন বলছে, এসব প্রতিষ্ঠানের ‘কারসাজির’ জন্যই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কোম্পানিগুলো সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে। সেজন্য প্রতিযোগিতা কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে।

চাল, তেল, সাবান, আটা, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ও সরবরাহ খাতের এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে দাম বাড়ানোসহ আরও কিছু অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় কমিশনেই পৃথকভাবে এসব মামলা করা হয়েছে।

কমিশনের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বেশি মামলা করা হয়েছে চাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে। এ খাতের ১১টি বড় প্রতিষ্ঠান ও ৮টি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এছাড়া আটা ময়দা উৎপাদন ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ৮টি, ডিম উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ৬টি, ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত ৬টি, সাবান ও ডিটারজেন্ট উৎপাদন ও বিপণনে যুক্ত ৬টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাজারের সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার ‘নিয়ম ভেঙে’ ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কমিশন নিজেই মামলা করেছে। তবে কমিশনের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাননি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বেশকিছু কোম্পানির মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি মামলার শুনানি হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ট্রয়লেট্রিজ পণ্যর জন্য বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার, ডিমের বাজারে কৃত্রিম সংকটের জন্য কাজী ফামর্স, প্যারাগন পোলট্রি, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্ট লিমিটেডসহ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের সচিব মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে চাল, আটা, মুরগির মাংস, ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী শুনানি শেষে এসব মামলা নিষ্পত্তি করা হবে।’

প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের ১৫ ও ১৬ ধারা অনুযায়ী এ মামলা হয়েছে। ধারা ১৫-তে বলা হয়েছে, বাজারে প্রভাব বিস্তার করে একচেটিয়া পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তারা শাস্তির আওতায় আসবে। আর ধারা ১৬-তে বলা হয়েছে, কোন পণ্যের বাজারজাত বা উৎপাদনে শীর্ষে থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পণ্যের দামে কারসাজি করলে সেই অপরাধও শাস্তিযোগ্য।

কমিশন থেকে পাওয়া তালিকায় দেখা গেছে, চালের বাজারে সংকট সৃষ্টির জন্য কুষ্টিয়ার রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ ও নওগাঁর বেলকন গ্রুপের বেলকন প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী বেলাল হোসেনের নামে মামলা করা হয়েছে।

একই কারণে বাজারে চাল সরবরাহকারী আরও দুটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আটা-ময়দার বাজারেও সংকট তৈরির অভিযোগে সিটি গ্রুপের নামে পৃথক মামলা করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিলিভার বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের পরিচালক শামীমা আক্তার সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এখনও নোটিশটি হাতে পাইনি। আমরা এই তথ্যটা জেনেছি মিডিয়ার মাধ্যমে। আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত কোন নোটিশ আসেনি। নোটিশ যেহেতু আসেনাই সেজন্য এটা সংক্রান্ত কোন কমেন্ট করতে পারছি না।’

‘আমরা ৬০ বছরের বেশি এই দেশে ব্যবসা করি। আর আমরা সবচেয়ে বিশ্বস্ত কোম্পানির একটা। সুতরাং আমরা এখন পর্যন্ত কনফিডেন্ট, আমরা যে ব্যবসা করেছি তা দেশের সব নিয়মকানুন মেনেই। আর সরকার আমাদের যেভাবে সহযোগিতা করতে বলবে আমরা সেভাবে সহযোগিতা করবো’, জানান তিনি।

কয়েক মাস ধরে দেশে নিত্যপণ্যর বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার তদারকির পাশাপাশি এসব পণ্যের উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে সভা করেছে, যেখানে অস্বাভাবিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ ওঠে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘যারা বাজারে অস্থিরতা তৈরির জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোক্তা অধিদপ্তর ডিমের বাজারে কারসাজিতে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে।’

মাসখানেক আগে মোটা ও চিকন চালের দাম যেভাবে উঠেছিল বাজারে অভিযান শুরু ও চাল আমদানির কারণে তা আবার কমতে শুরু করেছে। একইভাবে মাসখানেক আগে ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়।

তখন ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকার উপরে ওঠে। অভিযানের কারণে ডিম ও মুরগির দাম মাঝে কিছুদিন কম থাকলেও এখন আবার বেড়েছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য নিত্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডলারের বাড়তি দাম ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দিলেও সরকারি-বেসরকারি একাধিক মতবিনিময় সভায় মূল্য যতটা বৃদ্ধির কথা, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে বলে মত দিয়েছেন অনেকে।

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৭ আশ্বিন ১৪২৯ ২৫ সফর ১৪৪৪

‘কৃত্রিম সংকট, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি’ : ৪৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি, ও নিত্যপণ্যের ‘অস্বাভাবিক’ মূল্যবৃদ্ধি ও বাজার ‘অস্থিতিশীল’ করার অভিযোগে নিত্যপণ্য প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী ৪৫টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। কমিশন বলছে, এসব প্রতিষ্ঠানের ‘কারসাজির’ জন্যই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কোম্পানিগুলো সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে। সেজন্য প্রতিযোগিতা কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে।

চাল, তেল, সাবান, আটা, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ও সরবরাহ খাতের এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে দাম বাড়ানোসহ আরও কিছু অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় কমিশনেই পৃথকভাবে এসব মামলা করা হয়েছে।

কমিশনের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বেশি মামলা করা হয়েছে চাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে। এ খাতের ১১টি বড় প্রতিষ্ঠান ও ৮টি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এছাড়া আটা ময়দা উৎপাদন ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ৮টি, ডিম উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ৬টি, ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত ৬টি, সাবান ও ডিটারজেন্ট উৎপাদন ও বিপণনে যুক্ত ৬টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাজারের সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার ‘নিয়ম ভেঙে’ ‘অস্বাভাবিকভাবে’ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কমিশন নিজেই মামলা করেছে। তবে কমিশনের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানিগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাননি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বেশকিছু কোম্পানির মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি মামলার শুনানি হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ট্রয়লেট্রিজ পণ্যর জন্য বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার, ডিমের বাজারে কৃত্রিম সংকটের জন্য কাজী ফামর্স, প্যারাগন পোলট্রি, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্ট লিমিটেডসহ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের সচিব মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে চাল, আটা, মুরগির মাংস, ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী শুনানি শেষে এসব মামলা নিষ্পত্তি করা হবে।’

প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের ১৫ ও ১৬ ধারা অনুযায়ী এ মামলা হয়েছে। ধারা ১৫-তে বলা হয়েছে, বাজারে প্রভাব বিস্তার করে একচেটিয়া পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তারা শাস্তির আওতায় আসবে। আর ধারা ১৬-তে বলা হয়েছে, কোন পণ্যের বাজারজাত বা উৎপাদনে শীর্ষে থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পণ্যের দামে কারসাজি করলে সেই অপরাধও শাস্তিযোগ্য।

কমিশন থেকে পাওয়া তালিকায় দেখা গেছে, চালের বাজারে সংকট সৃষ্টির জন্য কুষ্টিয়ার রশিদ অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ ও নওগাঁর বেলকন গ্রুপের বেলকন প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী বেলাল হোসেনের নামে মামলা করা হয়েছে।

একই কারণে বাজারে চাল সরবরাহকারী আরও দুটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আটা-ময়দার বাজারেও সংকট তৈরির অভিযোগে সিটি গ্রুপের নামে পৃথক মামলা করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিলিভার বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের পরিচালক শামীমা আক্তার সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এখনও নোটিশটি হাতে পাইনি। আমরা এই তথ্যটা জেনেছি মিডিয়ার মাধ্যমে। আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত কোন নোটিশ আসেনি। নোটিশ যেহেতু আসেনাই সেজন্য এটা সংক্রান্ত কোন কমেন্ট করতে পারছি না।’

‘আমরা ৬০ বছরের বেশি এই দেশে ব্যবসা করি। আর আমরা সবচেয়ে বিশ্বস্ত কোম্পানির একটা। সুতরাং আমরা এখন পর্যন্ত কনফিডেন্ট, আমরা যে ব্যবসা করেছি তা দেশের সব নিয়মকানুন মেনেই। আর সরকার আমাদের যেভাবে সহযোগিতা করতে বলবে আমরা সেভাবে সহযোগিতা করবো’, জানান তিনি।

কয়েক মাস ধরে দেশে নিত্যপণ্যর বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার তদারকির পাশাপাশি এসব পণ্যের উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে সভা করেছে, যেখানে অস্বাভাবিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ ওঠে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘যারা বাজারে অস্থিরতা তৈরির জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোক্তা অধিদপ্তর ডিমের বাজারে কারসাজিতে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে।’

মাসখানেক আগে মোটা ও চিকন চালের দাম যেভাবে উঠেছিল বাজারে অভিযান শুরু ও চাল আমদানির কারণে তা আবার কমতে শুরু করেছে। একইভাবে মাসখানেক আগে ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়।

তখন ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকার উপরে ওঠে। অভিযানের কারণে ডিম ও মুরগির দাম মাঝে কিছুদিন কম থাকলেও এখন আবার বেড়েছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য নিত্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডলারের বাড়তি দাম ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দিলেও সরকারি-বেসরকারি একাধিক মতবিনিময় সভায় মূল্য যতটা বৃদ্ধির কথা, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে বলে মত দিয়েছেন অনেকে।