যুবলীগ পরিচয়ে চাঁদাবাজি গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ

রংপুরে পেট্রল পাম্পে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী ইমরান হোসেন ও শামিম রহমান।

গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর হাজিরহাট থানার মুচির মোড় এলাকার রংপুর এলপিজি পেট্রল পাম্পে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানার ওসি রাজিব বসুনিয়া।

আটক দুই যুবলীগ নেতার মধ্যে ইমরান হোসেন রংপুর জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সুরাইয়া আকতারের স্বামী বলে নিশ্চিত করেছেন যুবলীগের নেতারা। তিনি নগরীর ধাপ পাশারী পাড়ার আবদুল মজিদের ছেলে। শামীম রহমান ধাপ শ্যামলী লেন এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বিকেলে নিজেদের যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় পেট্রল পাম্পের কর্মচারীদের সন্দেহ হলে তারা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষ্মিণ চন্দ্র দাসসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, তারা কখনো যুবলীগ করেননি। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে লোকজন দুজনকে গনপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে তাজহাট থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে হাজিরহাট থানার ওসি রাজিব বসুনিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পেট্রল পাম্পে চাঁদাবাজি করতে যাওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি ম-ল জানান, সুরাইয়া বেগম জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক। তার স্বামী ইমরান হোসেন কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। রংপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষ্মিণ চন্দ্র দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আটক ইকবাল হোসেন তপু যুবলীগ করেন না। তবে তার স্ত্রী সুরাইয়া আখতার রংপুর জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক।

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৭ আশ্বিন ১৪২৯ ২৫ সফর ১৪৪৪

যুবলীগ পরিচয়ে চাঁদাবাজি গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুরে পেট্রল পাম্পে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী ইমরান হোসেন ও শামিম রহমান।

গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর হাজিরহাট থানার মুচির মোড় এলাকার রংপুর এলপিজি পেট্রল পাম্পে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানার ওসি রাজিব বসুনিয়া।

আটক দুই যুবলীগ নেতার মধ্যে ইমরান হোসেন রংপুর জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সুরাইয়া আকতারের স্বামী বলে নিশ্চিত করেছেন যুবলীগের নেতারা। তিনি নগরীর ধাপ পাশারী পাড়ার আবদুল মজিদের ছেলে। শামীম রহমান ধাপ শ্যামলী লেন এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বিকেলে নিজেদের যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় পেট্রল পাম্পের কর্মচারীদের সন্দেহ হলে তারা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষ্মিণ চন্দ্র দাসসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, তারা কখনো যুবলীগ করেননি। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে লোকজন দুজনকে গনপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে তাজহাট থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে হাজিরহাট থানার ওসি রাজিব বসুনিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পেট্রল পাম্পে চাঁদাবাজি করতে যাওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি ম-ল জানান, সুরাইয়া বেগম জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক। তার স্বামী ইমরান হোসেন কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। রংপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষ্মিণ চন্দ্র দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আটক ইকবাল হোসেন তপু যুবলীগ করেন না। তবে তার স্ত্রী সুরাইয়া আখতার রংপুর জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক।